বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠন ২০২৫ । আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশনা?
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ থেকে সব অ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠন ২০২৫
এডহক কমিটি কি? এডহক কমিটি (Ad-hoc committee) হলো একটি অস্থায়ী কমিটি যা একটি নির্দিষ্ট কাজ বা উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গঠন করা হয়। বাংলায় এটিকে “তদর্থে গঠিত কমিটি” বা “বিশেষ কমিটি” বলা যেতে পারে। সাধারণত, নিয়মিত কমিটি গঠন করা সম্ভব না হলে বা কোনো জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলে এই ধরনের কমিটি গঠন করা হয়। এডহক কমিটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করে এবং এর উদ্দেশ্য পূরণ হলে বা নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিয়মিত গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি গঠন করতে দেরি হলে বা কোনো জটিলতা দেখা দিলে, শিক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সাময়িকভাবে এডহক কমিটি গঠন করা হয়।
পরিপত্রে যা বলা হয়েছে-৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত কমিটি যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি বর্তমানে চলমান আছে বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অবশ্যই নিয়মিত কমিটি গঠন করতে হবে। নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনের সময়সীমা: যেসব প্রতিষ্ঠানে এখনো কোনো অ্যাডহক কমিটি গঠিত হয়নি, তাদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এটি গঠন করতে হবে। এরপর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠন করতে হবে। অ্যাডহক কমিটির বিলুপ্তি: আগামী ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখ থেকে সব অ্যাডহক কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ব্যর্থ হলে প্রধান দায়ী কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে দায়ী করা হবে এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সায়েদ এ. জে. মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রটি সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক এবং অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। যেসব প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি চলমান আছে বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের ৩০ নভেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে অবশ্যই নিয়মিত কমিটি গঠন করতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠানে এখনো এডহক কমিটি গঠন হয়নি, তাদের পরিপত্র জারির ১৫ দিনের মধ্যে এডহক কমিটি গঠন করতে হবে এবং এরপর ৩০ নভেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠন করতে হবে। সকল এডহক কমিটি ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ থেকে বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। সংক্ষেপে, নিয়মিত কমিটি গঠনের মূল সময়সীমা হলো ৩০ নভেম্বর, ২০২৫।

Caption: Ad Hoc Committee
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির কাজ কি? বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির প্রধান কাজ হলো নিয়মিত কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বা কোনো বিশেষ প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। এটি একটি অস্থায়ী কমিটি, তাই এর ক্ষমতা ও কার্যপরিধি সাধারণত সীমিত থাকে। এডহক কমিটির কিছু মূল কাজ নিচে দেওয়া হলো:
- দৈনন্দিন পরিচালনা: প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা, যাতে শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
- শিক্ষকদের বেতন-ভাতা: শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা নিশ্চিত করা।
- আর্থিক ব্যবস্থাপনা: প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন, বাজেট এবং অন্যান্য হিসাব পরিচালনা করা।
- প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত: জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, যেমন—পরীক্ষা পরিচালনা বা নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি।
- নতুন কমিটি গঠন: নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
- সহজ কথায়, এডহক কমিটি হলো একটি সাময়িক সমাধান। এর উদ্দেশ্য হলো একটি স্থায়ী ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কাজ চালিয়ে নেওয়া।
স্কুলের কোন শিক্ষক কি এডহক কমিটির সদস্য থাকতে পারবে?
হ্যাঁ, স্কুলের শিক্ষকগণ এডহক কমিটির সদস্য থাকতে পারবেন। সাধারণত, এডহক কমিটি গঠনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষক প্রতিনিধি রাখা হয়। এটি নিয়মমাফিক এবং এতে কোনো বাধা নেই। তবে, কমিটির সভাপতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ বাইরের ব্যক্তিদের দ্বারা পূরণ করা হয়ে থাকে, যেমন—প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী বা সরকারি কর্মকর্তা। শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ও শিক্ষার মান সম্পর্কে কমিটির সঠিক ধারণা রাখা।



