সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষ ২০২৫ । সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ টাকার দাবি, প্রজ্ঞাপন জারি নিয়েও ধোঁয়াশা?
সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন ও বৃদ্ধির বিষয়টি বর্তমানে তীব্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। কর্মচারীরা বলছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ১৬,৫০০/- টাকার মতো বেতন কাঠামোতে জীবনযাপন করা ‘অন্ধকার যুগ’-এর সমান এবং এমন পরিস্থিতিতে জীবনধারণ অসম্ভব। তাই বেতন উপরে যা-ই বাড়ুক না কেন, সর্বনিম্ন গ্রেডের বেতন ৩৫,০০০/- টাকা করার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ বেতন কাঠামোয় ১০০% বৃদ্ধি হলেও নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীর মূল বেতন ১৬,৫০০/- টাকার আশেপাশে থাকতে পারে, যা ১০ বছর আগের প্রেক্ষাপটে নির্ধারিত। কিন্তু বর্তমান আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের নিরিখে এই বেতন কাঠামো আগামী ৫ বছর তো দূর, বর্তমান সময়েও চলতে পারবেন না বলে মনে করছেন কর্মচারীরা। তারা বলছেন, ১০ বছর আগে যা ছিল, তার উপর ১০০% বৃদ্ধিও বর্তমান বাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সবমিলিয়ে ১৫ বছর ধরে এই সামান্য বেতনের মধ্যে থাকলে কর্মচারীদের ভবিষ্যত চরম অনিশ্চিত। এদিকে, সরকারি কর্মচারীরা চাইছেন চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নতুন বেতন কাঠামো বা বিশেষ সুবিধার প্রজ্ঞাপন জারি হোক। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ভিন্ন বার্তা আসছে। জানা যাচ্ছে, নতুন বেতন কমিশন বা কমিটি তাদের প্রতিবেদন জানুয়ারি ২০২৬-এ জমা দেবে এবং এর ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন ইতোমধ্যে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরব হয়েছে। তাদের মূল দাবি, নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য যেন এমন একটি বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়, যা মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনধারণের সুযোগ করে দেয়। তারা জোর দিয়ে বলছেন, “বেতন উপরে যাই বাড়ুক, নিম্নে ৩৫,০০০ করা হোক।” প্রজ্ঞাপন জারির সময় নিয়ে কর্মচারী ও সরকারের এই মতপার্থক্য কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। কর্মচারীরা দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদের অর্থনৈতিক দুর্ভোগ লাঘবের প্রত্যাশা করছেন, অন্যদিকে সরকার নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে ধীরে চলার ইঙ্গিত দিয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে প্রতিবেদন ও প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার জন্ম দিয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে স্কেল বা বেতন কাঠামো নিয়ে মূল চাওয়াগুলো বিভিন্ন গ্রেডের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে উঠে আসছে। মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এই চাওয়াগুলো এখন খুবই জোরালো। প্রধান দাবিগুলো নিম্নরূপ:
১. বৈষম্যহীন নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন:
- ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল: কর্মচারীরা বিদ্যমান বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায্য ও বৈষম্যমুক্ত নতুন পে স্কেল চান।
- দ্রুত বাস্তবায়নের সময়সীমা: ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
২. সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের হার বৃদ্ধি:
- সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ বা তার বেশি: কর্মচারীরা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য সর্বনিম্ন গ্রেডের (যেমন ২০তম গ্রেড) বেতন কমপক্ষে ৩৫,০০০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছে।
- ১১-২০ গ্রেডের প্রস্তাবিত কাঠামো: ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে সর্বনিম্ন বেতন ৩২,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ১,২৮,০০০ টাকা ধরে ১৩ গ্রেডের নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
- অনুপাত নির্ধারণ: সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ বা ১:৬ নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়েছে।
৩. বিভিন্ন ভাতা পুনর্নির্ধারণ ও বৃদ্ধি:
- বাড়িভাড়া ভাতা: ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মূল বেতনের ৮০ শতাংশ এবং অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৭০ শতাংশ ও অন্য এলাকায় ৬০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
- চিকিৎসা ভাতা: বর্তমানের ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬,০০০ টাকা করার দাবি।
- শিক্ষা ভাতা: সন্তান প্রতি ৩,০০০ টাকা করার দাবি।
- যাতায়াত ভাতা: ঢাকা ও অন্যান্য এলাকার জন্য ভিন্ন হারে (যেমন ঢাকায় ৩,০০০ ও অন্যান্য এলাকায় ২,০০০ টাকা) বৃদ্ধির দাবি।
- অন্যান্য ভাতা: ইউটিলিটি ভাতা ২,০০০ টাকা এবং দৈনিক টিফিন ভাতা বৃদ্ধির দাবি।
৪. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দাবি:
- টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল: ২০১৫ সালের পে স্কেলে বাতিল হওয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।
- এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন।
- শতভাগ পেনশন প্রবর্তন।
- ব্লক পদ বাতিল করে পদোন্নতির ব্যবস্থা।
- রেশন ব্যবস্থা চালু।
- বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা।
মূলত, কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন না আসা এবং মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় একটি সময়োপযোগী, ন্যায্য এবং জীবনধারণের ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামো চাইছেন।
সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো বা পে স্কেল নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এবং বেতন কমিশন সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে কিছু নির্দিষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যদিও চূড়ান্ত সুপারিশ এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবুও সরকারের অবস্থান ও চিন্তাভাবনার কয়েকটি মূল দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
১. দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি (অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই):
- অর্থ উপদেষ্টা এবং কমিশন সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার জন্য পরবর্তী নির্বাচিত সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই এটি গেজেট আকারে বাস্তবায়ন করা হবে।
- বাজেট সংশোধনের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরেই নতুন পে স্কেল কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।
- নতুন পে স্কেল সম্ভবত ২০২৬ সালের জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হতে পারে।
২. বেতন বৃদ্ধির হার নিয়ে ধারণা:
- শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের ইঙ্গিত অনুযায়ী, নতুন পে স্কেলে বেতন বৃদ্ধির হার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ, এমনকি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
- কমিশনের একজন সদস্যের ইঙ্গিতে জানা যায়, নতুন স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হতে পারে। অর্থাৎ, বিদ্যমান সর্বোচ্চ মূল বেতন (৭৮,০০০ টাকা) প্রায় ১,৫৬,০০০ টাকা হতে পারে।
৩. সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত বজায় রাখা:
- কমিশনের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে যে, বর্তমানে সর্বোচ্চ (গ্রেড-১) ও সর্বনিম্ন (গ্রেড-২০) বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১।
- নতুন কাঠামোতেও এই অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে বজায় রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। এর অর্থ হলো, সর্বনিম্ন গ্রেডের বেতন যদি X হয়, তবে সর্বোচ্চ গ্রেডের বেতন হবে 8X থেকে 10X-এর মধ্যে।
৪. গ্রেড সংখ্যা কমানো এবং ভাতা বৃদ্ধি:
- বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের সংখ্যা কমানো হতে পারে।
- চিকিৎসা ও শিক্ষা ভাতা বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানের ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকবে এবং অবসরের পরেও সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
- কমিশন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ করার বিষয়েও কাজ করছে, যাতে কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে মূল্যস্ফীতির শিকার না হন।
৫. বেতন কমিশনের কার্যপরিধি:
- কমিশনকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।
- তারা একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয়, সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়, এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে সুপারিশ করবে।
মোটকথা, সরকারের কথাবার্তায় এটি স্পষ্ট যে তারা অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনায় নিয়ে একটি নতুন এবং উল্লেখযোগ্যভাবে বর্ধিত বেতন কাঠামো প্রণয়ন করতে চায়, যেখানে বেতন বৃদ্ধির হার ৫০% থেকে ১০০% পর্যন্ত হতে পারে। তবে কর্মচারীদের দাবি (যেমন সর্বনিম্ন ৩৫,০০০ টাকা এবং অনুপাত ১:৪) পুরোপুরি গৃহীত হবে কিনা, তা কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরই জানা যাবে।
সরকারের ইঙ্গিত, বর্তমান মূল্যস্ফীতি এবং কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতন কাঠামোতে (সম্ভাব্য নবম পে স্কেল) কেমন হতে পারে তার একটি ধারণা নিচে দেওয়া হলো। এটি কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ নয়, বরং পাওয়া তথ্যগুলোর ভিত্তিতে একটি আনুমানিক কাঠামো মাত্র।
আনুমানিক নতুন বেতন কাঠামো ২০২৬
(সরকারের ইঙ্গিত: বেতন বৃদ্ধি ৫০% থেকে ১০০%, অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১, গ্রেড কমানোর সম্ভাবনা)
| গ্রেড | পদবি (সাধারণত) | ২০১৫ সালের বর্তমান মূল বেতন (শুরুতে) | সম্ভাব্য নতুন মূল বেতন (শুরুতে) | প্রায় কত শতাংশ বৃদ্ধি |
| ১ | সিনিয়র সচিব/গ্রেড-১ | ৭৮,০০০ টাকা | ১,৫৫,০০০ টাকা – ১,৬২,০০০ টাকা | ~৯৫% – ১০৮% |
| ২ | সচিব/গ্রেড-২ | ৬৬,০০০ টাকা | ১,২৫,০০০ টাকা – ১,৩০,০০০ টাকা | ~৮৯% – ৯৭% |
| ৩ | অতিরিক্ত সচিব/গ্রেড-৩ | ৫৬,০০০ টাকা | ১,০৮,০০০ টাকা – ১,১২,০০০ টাকা | ~৯৩% – ১০০% |
| ৪ | যুগ্ম সচিব/গ্রেড-৪ | ৫০,০০০ টাকা | ৯৫,০০০ টাকা – ৯৮,০০০ টাকা | ~৯০% – ৯৬% |
| ৫ | উপসচিব/গ্রেড-৫ | ৪৩,০০০ টাকা | ৮০,০০০ টাকা – ৮৩,০০০ টাকা | ~৮৬% – ৯৩% |
| ৯ | প্রথম শ্রেণি (নন-ক্যাডার) | ২২,০০০ টাকা | ৪০,০০০ টাকা – ৪৪,০০০ টাকা | ~৮২% – ১০০% |
| ১০ | প্রথম শ্রেণি (নন-ক্যাডার) | ১৬,০০০ টাকা | ৩০,০০০ টাকা – ৩৩,০০০ টাকা | ~৮৭% – ১০৬% |
| ১১ | দ্বিতীয় শ্রেণি | ১২,৫০০ টাকা | ২৩,০০০ টাকা – ২৫,০০০ টাকা | ~৮৪% – ১০০% |
| ১৩ | তৃতীয় শ্রেণি (ইউডি/এসএ) | ১১,০০০ টাকা | ২১,০০০ টাকা – ২৩,০০০ টাকা | ~৯০% – ১০৯% |
| ১৫ | তৃতীয় শ্রেণি (এলডিএ/অফিস সহকারী) | ৯,৭০০ টাকা | ১৮,০০০ টাকা – ২০,০০০ টাকা | ~৮৫% – ১০৬% |
| ২০ | চতুর্থ শ্রেণি (এমএলএসএস) | ৮,২৫০ টাকা | ১৬,০০০ টাকা – ২০,০০০ টাকা | ~৯৪% – ১৪২% |
এই কাঠামোর ভিত্তি ও প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. বেতন বৃদ্ধির হার (৫০% – ১০০%):
* শিক্ষা উপদেষ্টার ইঙ্গিত অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধির যে হার (৫০% থেকে ১০০%) জানানো হয়েছে, তাতে দেখা যায় সর্বনিম্ন গ্রেডে (গ্রেড-২০) বেতন বৃদ্ধির হার বেশি রাখার চেষ্টা করা হবে।
* গ্রেড-২০ এর সর্বনিম্ন বেতন ১৬,০০০ টাকা ধরা হলে এটি প্রায় ৯৪% বৃদ্ধি। কমিশনের সদস্যের ইঙ্গিতে ১৬,৫০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
* গ্রেড-১ এর সর্বোচ্চ বেতন ১,৬২,০০০ টাকা ধরা হলে এটি প্রায় ১০৮% বৃদ্ধি। কমিশনের সদস্যের ইঙ্গিতে ১,৫৬,০০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২. সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত (৮:১ থেকে ১০:১):
* যদি গ্রেড-২০ এর সর্বনিম্ন বেতন ১৬,০০০ টাকা হয় এবং গ্রেড-১ এর সর্বোচ্চ বেতন ১,৬০,০০০ টাকা হয়, তবে অনুপাত হবে ১:১০। এটি সরকারের ইঙ্গিত দেওয়া সীমার মধ্যেই (৮:১ থেকে ১০:১)।
৩. গ্রেড কমানোর সম্ভাবনা:
* সরকার ২০টি গ্রেড ভেঙে গ্রেড সংখ্যা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। উপরের সারণিতে সব গ্রেড দেখানো হলেও, চূড়ান্ত কাঠামোতে হয়তো ১৫টি বা ১২টি গ্রেড রাখা হতে পারে। সেক্ষেত্রে কাছাকাছি গ্রেডগুলো বিলুপ্ত হয়ে নতুন স্কেলে মার্জ হয়ে যাবে।
৪. ভাতা বৃদ্ধির নিশ্চয়তা:
* সরকার নিশ্চিত করেছে যে, মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা ভাতা এবং শিক্ষা ভাতা বাড়ানোর সুপারিশ করবে কমিশন। এর মধ্যে চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫. বাস্তবায়নের সময়কাল:
* এই কাঠামোটি ২০২৬ সালের প্রথম দিকে (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) গেজেট আকারে বাস্তবায়ন হতে পারে।



