বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

নবম পে স্কেল ২০২৫ । সচিবদের মতামত সংগ্রহ, দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার আশা?

পে কমিশন নবম পে স্কেল প্রণয়নের কাজে দ্রুত অগ্রগতি করছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৭০-এর বেশি সচিবের সঙ্গে চার দফায় মতবিনিময় করে কমিশন তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও সুপারিশ সংগ্রহ করেছে।

কমিশনের একটি সূত্র রবিবার (৩০ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে জানায়, সচিবদের মতামত সংগ্রহের পাশাপাশি কমিশন অনলাইনেও মতামত গ্রহণ করেছে এবং এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছ থেকে পাওয়া এসব মতামত ও সুপারিশকে সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

🗣️ ৭০-এর বেশি সচিবের অংশগ্রহণ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, ৭০-এর বেশি সচিবের মতামত নেওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব না হওয়ায় চার ধাপে এই সভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি ধাপে ১৭ বা তার বেশি সচিব অংশ নেন এবং পে স্কেল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। এসব মতামত বর্তমানে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

⏳ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট

কমিশন আশা করছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা তাদের সুপারিশমালা সরকারের কাছে জমা দিতে পারবে। গত সোমবার প্রথমবার সচিবদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান জানিয়েছিলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও সবাই উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাই পরবর্তী ধাপেও তাদের নিয়ে আবারও বৈঠক করা হয়েছে। আলাপ-আলোচনা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

🎯 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: সর্বনিম্ন বেতন ও গ্রেড পুনর্বিন্যাস

কমিশনের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন যে সুপারিশ চূড়ান্ত করার কাজ পূর্ণোদ্যমে চলছে এবং ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসেই (ডিসেম্বর) চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়া হতে পারে। এই সুপারিশমালায় সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো এবং গ্রেড পুনর্বিন্যাসের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির পে কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, কমিশনের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিশন সদস্যদের মতামতই প্রাধান্য পাবে।

সচিবদের মতামতকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে?

  • সচিবদের মতামতকে ‘গুরুত্ব সহকারে’ বিবেচনা করা হচ্ছে: প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা সুপারিশ প্রণয়নে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।

  • সংগঠনগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে: একই সাথে, কমিশন আড়াই শতাধিক সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা করেছে এবং অনলাইনে মতামত গ্রহণ করেছে। সুতরাং, কর্মচারী সংগঠনের মতামত নেওয়া হয়েছে।

  • কমিশন সদস্যদের মতামতের প্রাধান্য: বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের মন্তব্যে বলা হয়েছে, “চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কমিশন সদস্যদের মতামতই প্রাধান্য পাবে।” এর মানে হলো, সচিব বা কর্মচারী সংগঠন—উভয়ের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও সুপারিশ বিশ্লেষণ করে পে কমিশনের সদস্যরা চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরি করবেন, এবং তাদের বিশ্লেষণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।

সংক্ষেপে, সচিবদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটি একমাত্র বা চূড়ান্ত বিবেচ্য নয়। কমিশন সব পক্ষের মতামত (সচিব, সংগঠন, অনলাইন) বিশ্লেষণ করে তাদের নিজস্ব সুপারিশমালা তৈরি করবে, এবং সেই সুপারিশেই কমিশনের সদস্যদের বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে।

কমিশনের কাজের অগ্রগতি কতদূর?

কমিশনের কাজের অগ্রগতি অনেক ভালো এবং সন্তোষজনকঅর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন যে সুপারিশ চূড়ান্ত করার কাজের অর্ধেকের বেশি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সচিবদের মতামত সংগ্রহ ৭০-এর বেশি সচিবের সঙ্গে চার দফায় মতবিনিময় করে তাদের প্রয়োজনীয় মতামত ও সুপারিশ সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো বর্তমানে পর্যালোচনা চলছে। সংগঠন ও অনলাইন মতামত আড়াই শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং অনলাইনেও মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত রিপোর্ট জমার আশা: কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান এবং কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা আশা করছেন যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বা আগামী মাসেই (অর্থাৎ ডিসেম্বরে) চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়া সম্ভব হবে। সংক্ষেপে, কমিশন তাদের সুপারিশমালা চূড়ান্ত করার পথে বেশ এগিয়ে গেছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *