NID card download bd 2025 । ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি কিভাবে পাবেন?
আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন এবং আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে ডাউনলোড করতে চান, তবে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করতে হবে।সাধারণত, ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এবং আপনার NID কার্ড প্রস্তুত হয়ে গেলে, আপনার নিবন্ধনের সময় দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি SMS আসতে পারে। তবে SMS না পেলেও, কার্ড প্রস্তুত হয়েছে কিনা তা আপনি নিজেই অনলাইনে চেক ও ডাউনলোড করতে পারবেন–নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
নতুন ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া কি? নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়, যেখানে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য এবং প্রমাণপত্র আপলোড করতে হয়। আবেদন সফল হলে, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়। 1. অনলাইনে আবেদন: প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (https://services.nidw.gov.bd/) যান। সেখানে নতুন ভোটার হিসেবে আবেদন করার জন্য একটি ফর্ম পাওয়া যায়। ফর্মটি পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। 2. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইন)। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। নাগরিকত্ব সনদ। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)। স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে)।বিদ্যুৎ বিল/পানির বিল/গ্যাস বিলের কপি। চৌকিদারি করের রশিদ বা পৌরকর রশিদের কপি। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট। 3. আবেদন জমা দেওয়া: সব তথ্য ও কাগজপত্র পূরণ করে আবেদন জমা দিন। 4. বায়োমেট্রিক প্রদান: নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে বায়োমেট্রিক প্রদান করতে হবে। 5. ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড: আবেদন সফল হলে, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের (বিবাহিতদের ক্ষেত্রে) ফটোকপি প্রয়োজন। আবেদন করার পূর্বে ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র হাতের কাছে রাখুন। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনার এলাকার নির্বাচন অফিসেও নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
নতুন ভোটার হওয়ার পর কি জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন হতে ডাউনলোড করা যায়? হ্যাঁ। হ্যাঁ, নতুন ভোটার হওয়ার পর অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ডাউনলোড করা সম্ভব। ডাউনলোড করার পদ্ধতি: ১. জাতীয় পরিচয়পত্র উইং এর ওয়েবসাইটে (https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/) যান। ২. “রেজিস্টার” বা “লগইন” বাটনে ক্লিক করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর অথবা দেওয়া কোড ব্যবহার করে লগইন করুন। ৩. আপনার প্রোফাইল অ্যাক্সেস করুন এবং “ডাউনলোড” অপশনটি নির্বাচন করুন। ৪. আপনার এনআইডি কার্ডের পিডিএফ (PDF) কপি ডাউনলোড করুন। আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর অথবা দেওয়া কোড ব্যবহার করে লগইন করার জন্য একটি আইডি (ID) এবং পাসওয়ার্ড (Password) তৈরি করতে হতে পারে। ডাউনলোড করা এনআইডি কার্ডের পিডিএফ (PDF) কপি বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য ভুল থাকে, তাহলে অনলাইনে সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
অনলাইনে কি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা যায়? হ্যাঁ, অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সংশোধন করা যায়। এর জন্য প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়ক ওয়েবসাইটে (services.nidw.gov.bd) গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর লগইন করে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সংশোধন প্রক্রিয়া: 1. অ্যাকাউন্ট তৈরি: জাতীয় পরিচয়পত্র বিষয়ক ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। 2. লগইন: আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। 3. আবেদন: সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে আবেদন করুন। 4. কাগজপত্র জমা: সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন – জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ইত্যাদি) অনলাইনে আপলোড অথবা সরাসরি জমা দিতে পারেন। 5. সংশোধন: কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন যাচাই করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে। 6. নতুন কার্ড: সংশোধিত তথ্য অনুযায়ী আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি হবে। সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: জন্ম সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (এসএসসি/এইচএসসি ইত্যাদি), পিতা/মাতার নাম সংশোধনের জন্য তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, বিবাহিত হলে, বিবাহের সনদপত্র। সংশোধনের জন্য সঠিক তথ্য দিতে হবে।
নতুন ভোটার আবেদন ফরম এবং অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি নতুন ফরম তৈরী করা হয়েছে। প্রতিটি ফরমে নম্বরযুক্ত এবং প্রশাসনের ক্ষুদ্রতম ইউনিটের জিওকোড এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন।Caption: ফরমের নমুনা (বাংলা) ডাউনলোড
এনআইডি ডাউনলোড ২০২৫ । জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি কিভাবে ডাউনলোড করে?
- জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে হলে, প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যান। এরপর আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে সাবমিট করুন। এরপর আপনার NID Wallet অ্যাপের মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। সবশেষে ডাউনলোড অপশন থেকে অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
- ১. ওয়েবসাইটে যান: নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যান।
- ২. ফর্ম পূরণ করুন: আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ লিখুন।
- ৩. সাবমিট করুন: “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন।
- ৪. ফেস ভেরিফিকেশন: NID Wallet অ্যাপের মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।
- ৫. ডাউনলোড করুন: ড্যাশবোর্ডের ডাউনলোড অপশন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করুন।
ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স কত?
বাংলাদেশে ভোটার হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স বর্তমানে ১৮ বছর। এটি সংবিধানের ১২২(২)(ক) অনুচ্ছেদে নির্ধারিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, একজন নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন যদি তিনি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের হন এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে কোনো আদালতের ঘোষণার অধীন না থাকেন। তবে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৭ বছরে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, তরুণদের দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই পরিবর্তন করা উচিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নির্বাচন সংস্কার কমিশন এই বিষয়ে সুপারিশ করবে। এছাড়াও, ২০২৫ সালের মার্চে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP) ভোটার হওয়ার বয়স ১৬ বছরে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেয়। তবে এই প্রস্তাবগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। সুতরাং, বর্তমানে বাংলাদেশে ভোটার হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। ভবিষ্যতে এই বয়সসীমা পরিবর্তন হতে পারে, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো আইনগত পরিবর্তন কার্যকর হয়নি।
একজনের এনআইডি অন্যজন ডাউনলোড করতে পারবে না | এনআইডি নম্বর দিয়ে যে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র বের করতে পারবে না | এনআইডি ডাউনলোড করার সময় পাসওয়ার্ড এবং ইউজার আইডি সেট করলে বারবার ফেস ভেরিফিকেশন লাগে না। |
আপনার এনআইডি তথ্য জাতীয় সার্ভারে সুরক্ষিত। | অনলাইনেই যে কোন পরিবর্তন করা যায়। | জন্ম তারিখ পরিবর্তন বা ভোটার স্থানান্তর অনলাইনে করা যায় না। |
ছবি পরিবর্তন বা স্বাক্ষর পরিবর্তনের জন্য ফিজিক্যালি যেতে হয়। |