One Rank One Pension 2025 । সেনা সদস্যের মাসিক ১১,৮১০ টাকা পেনশন জীবনযাপন বড়ই কঠিন হয়ে পড়ছে?
আমি একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য। ২০০২ এ অবসরে এসেছি। যেই পরিমান পেনশন ভাতা তখন পাই। বর্তমান সময়ে তা যৎ সামান্য। সংসারের নিয়ম নীতি, সমাজিক আচার আচরন ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বন্ধন রক্ষা করতে এই সামান্য অবসর ভাতায় (২৩ বছর শেষে বর্তমান বেতন ভাতা ১১৮১০ টাকা) কুলায় না-One Rank One Pension 2025
এক পদ এক পেনশন পদ্ধতি কি? স্বল্প পেনশনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে হয়। অনেক সময় বিভিন্ন অজুহাতে সামাজিক,পারিবারিক বা আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হই। ৯ম পে কমিশনে যদি পেনশনারদের জন্য, ” One Rank One Penson” পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। তা হলে সমাজিক ও পরিবারিক ভাবে অবসর প্রাপ্ত লাখো কর্মকর্তা কর্মচারী সম্মানের সহিত জীবন যাপন করতে পারে। “এক পদ এক পেনশন” (One Rank One Pension বা OROP) একটি দাবি যা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে কর্মরত এবং বিভিন্ন সময়ে অবসর নেওয়া সকল কর্মীর জন্য একই হারে পেনশন প্রদানের জন্য করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে, একই পদে কর্মরত এবং একই সময়ে অবসর গ্রহণকারী সকল কর্মীর পেনশন একই হবে, যদিও তারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে চাকরিতে যোগদান করে থাকেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি দুইজন ব্যক্তি একই পদে কর্মরত থাকেন, কিন্তু একজন ১০ বছর আগে এবং অন্যজন সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেন, তবে তাদের উভয়কেই একই হারে পেনশন দেওয়া হবে। এই পদ্ধতির মূল ধারণা হলো, একই পদে থেকে একই সময়ে অবসর গ্রহণকারী সকল কর্মীর পেনশন একই হওয়া উচিত, কারণ তারা একই কাজ করেছেন এবং একই ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। সংক্ষেপে, এক পদ এক পেনশন মানে হল, একই পদে চাকরিরত সকল প্রাক্তন কর্মীর জন্য পেনশনের হার একই হবে, যা তাদের চাকরির সময়কালের উপর নির্ভর করে না। অনেক দেশের এমন পেনশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে তাতে করে পুরাতন পেনশনারগণ বঞ্চিত হন না।
অবসরপ্রাপ্ত বিমান সেনা: সামান্য পেনশনে জীবনধারণে হিমশিম, রাষ্ট্রীয় সহায়তার আবেদন কি? প্রায় পঁচিশ বছর আগে দেশের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে অবসর নিয়েছেন, কিন্তু এখন সামান্য পেনশনের ভারে নুয়ে পড়েছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট (ওয়ারেন্ট অফিসার) মোঃ আব্দুল গণি ভূঁইয়া। ২০০০ সালে অবসরগ্রহণের পর থেকে তার মাসিক মূল পেনশন মাত্র ৪৪২২ টাকা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন সিনিয়র সিটিজেনের পক্ষে এই সামান্য অর্থ দিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ৬৫ বছর বয়সের এই প্রবীণ সামরিক সদস্য এখন নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসার খরচ, ওষুধপত্র এবং দৈনন্দিন সেবার জন্য তার আর্থিক সচ্ছলতা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বর্তমান পেনশন তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
মোঃ আব্দুল গণি ভূঁইয়া জানান, “দেশের জন্য আমরা যৌবন উৎসর্গ করেছি। কিন্তু অবসরের পর রাষ্ট্রের কাছ থেকে যে করুণা পাচ্ছি, তা আমাদের মতো প্রবীণদের জন্য যথেষ্ট নয়। বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এই পেনশন বৈষম্য আমাদের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।” তিনি পাকিস্তান ও ভারতের সামরিক বাহিনীর মতো ‘ওয়ান র্যাঙ্ক, ওয়ান পেনশন’ (One Rank One Pension) নীতি চালুর দাবি জানিয়েছেন। এই নীতি কার্যকর হলে একই পদমর্যাদার সকল অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্যের পেনশন সমান হবে, যা পেনশন বৈষম্য দূর করবে। তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রের কাছে আর্থিক সচ্ছলতা চাই না, শুধু সুস্থ সামাজিক জীবনযাপনের মতো একটা সম্মানজনক পেনশন চাই। আমাদের মতো প্রবীণ পেনশনারদের প্রতি রাষ্ট্রের দয়া প্রদর্শন করা উচিত।” দেশের প্রবীণ সামরিক সদস্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং তাদের প্রাপ্য সম্মান নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
একজন সেনা সদস্যের মৃত্যু ২০২৫ । যে সকল অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করবেন তাদের কাপন দাফন বাবদ পূর্বের ১০,০০০/= (দশ হাজার) টাকার পরিবর্তে এখন হতে ২০,০০০/= (বিশ হাজার) টাকা পাবেন।
সেনাবাহিনীকে মূলত তিন শ্রেনীর? হ্যাঁ। N.C.O – Non Commissioned Officer (নন কমিশন্ড অফিসার)।J.C.O – Junior Commissioned Officer (জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার)। C.O – Commissioned Officer (কমিশন্ড অফিসার)। সৈনিক থেকে সার্জেন্টকে বলা হয় N.C.O. ওয়ারেন্ট অফিসার থেকে মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার এবং অনারারি লেফটেন্যান্ট ও অনারারি ক্যাপ্টেনদের বলা হয় J.C.O এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট থেকে জেনারেল পর্যন্ত বলা হয় C.O. এভাবেই পদ বিন্যাস করা হয়েছে।
২০২৫ সনে মূল বেতন ২২৭০০টাকা এবং ২০২৫ সনে ১লা জুলাই শতকরা ৫ টাকা হারে, ১৮ মাসে এল পি আর এর টাকা এবং পেনশনের টাকা কত?
- সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মাসিক পেনশন তাদের চাকরির মেয়াদ এবং শেষ বেতনের উপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়। সাধারণত, ২০ বছর চাকরি করার পর একজন সেনা সদস্য আজীবন মাসিক অবসরপ্রাপ্ত বেতন পাওয়ার যোগ্য হন। এই পেনশনের পরিমাণ সাধারণত শেষ বেতনের ৯০% এর কাছাকাছি হয়ে থাকে।
- ২০ বছর বা তার বেশি চাকরির পর একজন সেনা সদস্য পেনশনের জন্য বিবেচিত হন। পেনশনের পরিমাণ সাধারণত শেষ বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ হয়, যা চা্রিএর মেয়াদের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, ২০ বছর চাকরির পর একজন সেনা সদস্য তার শেষ বেতনের ৭০% পেতে পারেন।
- পেনশন ছাড়াও, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা স্বাস্থ্যসেবা এবং বীমা সহ অন্যান্য সুবিধাও পেয়ে থাকেন। পেনশন ছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে এককালীন অর্থও প্রদান করা হয়, যা বার্ষিক পেনশনের মোট পরিমাণের একটি অংশ হতে পারে।
- বর্তমানে, পেনশন সাধারণত ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) এর মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। পেনশনের পরিমাণ গণনা করার জন্য, সাধারণত শেষ বেতনের একটি নির্দিষ্ট হার (যেমন, ৯০%) এবং চাকরির মেয়াদ ব্যবহার করা হয়।
- উদাহরণস্বরূপ, যদি কারো শেষ মূল বেতন ৪০,০০০ টাকা হয় এবং পেনশনের হার ৯০% হয়, তবে তার মাসিক পেনশন হবে (৪০,০০০ * ৯০%) / ২ = ১৮,০০০ টাকা।
এক পদ এক পেনশন কিভাবে হিসাব করে?
‘এক পদ এক পেনশন’ স্কিমে একই পদে কাজ করা দু’জন ব্যক্তি আলাদা আলাদা সময়ে কাজ করে অবসর নিলেও একই অর্থের পেনশন পাবেন। ধরুন, কোন সৈনিক ২০০০ সালে অবসর নিয়েছেন। তিনি ঠিক ততটাই পেনশন পাবেন যতটা আগামী ২০২৫ বা ২০২৬ সালে অবসর নিতে চলা সৈনিকেরা পাবেন। বেতন কমিশনের টাকা বাড়া-কমার জন্য পেনশনের টাকা একেক জনের জন্য একেক রকম হয়। কারণ প্রতি বেতন কমিশনে টাকা বাড়ে। ফলে পরে অবসর নিলে বেশি বেতন নিয়ে যাঁরা শেষ করেন, পেনশনও তারা বেশি পান। উদাহরণ সরূপ বলতে পারি ২০ বছর পূর্বে পেনশন যাওয়া একটি পদবীর (কৌশলগত কারণে পদবী উল্লেখ করলাম না) বর্তমানে নীট পেনশন পেয়ে থাকেন ৫৩৮০/- এবং ২০২০ সালে একই পদবীতে পেনশন গমন করা ব্যক্তিটি নীট পেনশন পাচ্ছেন ২৫০০০/- টাকা। উল্লেখ্য যে ২০২০ সালে পেনশন গমন করা একই পদবীর ব্যক্তিটি ২০০০ সালে পেনশন গমন করা ব্যক্তিটির ছাত্র। যা সেনবাহিনী ও সিনিয়র সিটিজেনের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত দুঃখজনক। ভারত পাকিস্তানসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই পদ্ধতিটি চালু আছে। আমাদের নিকটবর্তী দেশ ভারতে ২০ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে গত ২০১৫ সালে সংসদে বিল পাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে যারা পেনশন যাচ্ছেন তারা বিষয়টি নেতিবাচক হিসেবে না নিয়ে সমবেদনা হিসেবে নিবেন। ভবিষ্যতে আপনারাও এই পদ্ধতির সুবিধা পাবেন। এই সুবিধা চালু হলে সেনাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সরকারি কর্মচারীরাও এর আওতায় আসবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খসড়া প্রস্তাবটি দেখে বলেছিলেন যে, ২০২৪ সালে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠন করতে পারলে, এটা ২০২৪ সালের জুনের বাজেটে পাশ করে দিবেন মর্মে কথা দিয়েছিলেন।
পেনশনে গিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করলে কিভাবে স্ত্রীকে অন্তর্ভূক্ত করা যায়? অবসরে আসার পর কারো স্ত্রী মৃত্যু বরণ করলে, কেউ যদি ২য় বিবাহ করেন। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করতঃ সোলজার বোর্ডের মাধ্যমে ওআইসি রেকর্ডস বরাবর আবেদন করলে কোন আর্থিক সুযোগ সুবিধা ছাড়া ২য় স্ত্রীর নাম সার্ভিস ডকুমেন্টে এন্ট্রি করা যাবে।
আবেদন পত্রে যে সকল নথিপত্র সংযুক্ত করতে হবে-
১। স্ত্রীর মৃত্যু সনদপত্র।
২। মৃত স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
৩। ২য় বিবাহের কাবিন নামা
৪। ২য় স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
৫। ইউপি চেয়ারম্যান/ মেয়র কর্তৃক ১ম স্ত্রী মৃত্যু এবং ২য় বিবাহের স্বপক্ষে প্রত্যয়ন পত্র।
৬। খালাসী বই এর ফটোকপি।
আবেদনের বিষয়: ১ম স্ত্রী মৃত্যু বরণ করায় ২য় বিবাহীত স্ত্রীর নাম সার্ভিস ডকুমেন্টে এন্ট্রির জন্য আবেদন। আবেদন করা হলে, সেটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেনাসদর তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট সোলজার বোর্ডের উপর দায়িত্ব দেয়া হবে। সোলজার বোর্ডের তদন্তের প্রতিবেদন অনুসারে কার্যক্রম করা হবে।