পেনশন । লাম্পগ্র্যান্ট I পিআরএল

স্বামী-স্ত্রীর অবর্তমানে সন্তানের পেনশন ২০২৫ । সর্বোচ্চ ১৫ বছরের অবশিষ্ট সময়ের জন্য পেনশন পাওয়া যায়?

স্বামী-স্ত্রী পেনশনার হিসেবে মৃত্যু হলে ৩য় ব্যক্তি হিসেবে সন্তান পেনশন পান-এক্ষেত্রে সন্তানের বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অথবা চাকরিজীবীর পেনশনে যাওয়ার কাল হতে ১৫ বছর পূর্ণ হতে অবশিষ্ট সময়ের জন্য পেনশন প্রাপ্ত হয় তা সন্তানের বয়স ৩০ বছর অতিক্রম করলেও পাবেন –স্বামী-স্ত্রীর অবর্তমানে সন্তানের পেনশন ২০২৫

সন্তান পেনশন পায়? হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে সন্তান পেনশন পেতে পারে। সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী এবং সন্তানদের পারিবারিক পেনশন দেওয়া হয়। তবে কিছু শর্ত রয়েছে। ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী পুত্র এবং বিবাহিত কন্যা পেনশন পাবে না। প্রতিবন্ধী সন্তান, যে কোনো বয়সের হোক না কেন, আজীবন পেনশন পাবে। সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী এবং সন্তানদের পারিবারিক পেনশন দেওয়া হয়। এই পেনশনের পরিমাণ এবং শর্তাবলী সরকারের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী পুত্র সন্তান, সাধারণভাবে, পারিবারিক পেনশন পাবে না। তবে, যদি তাদের কোনো শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা থাকে, তাহলে তারা পেনশন পেতে পারে।

পেনশনারের ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই দুজনে মারা গেলে? সন্তান অবশ্যই পেনশন পাবেন। বিবাহিত কন্যাও সাধারণত পারিবারিক পেনশন পাবে না। তবে, যদি তার স্বামী মারা গিয়ে থাকে, তাহলে সে পেনশন পেতে পারে। প্রতিবন্ধী সন্তান, যে কোনো বয়সের হোক না কেন, আজীবন পারিবারিক পেনশন পাবে। পেনশন সাধারণত স্ত্রী এবং সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। পেনশনের পরিমাণ এবং ভাগ করার অনুপাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার শর্ত মূলত পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী, অবিবাহিতা বা বিধবা কন্যা, এবং প্রতিবন্ধী সন্তানরা আজীবন পারিবারিক পেনশন পেতে পারেন. এছাড়া, সন্তানের ক্ষেত্রে, পেনশন পাওয়ার জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত একটা সময়সীমা থাকে, যা পেনশন শুরু হওয়ার তারিখ থেকে গণনা করা হয়। যদি পেনশনারের পেনশন শুরু হওয়ার ১৫ বছরের মধ্যে তিনি মারা যান, তাহলে তাঁর মনোনীত সুবিধাভোগীরা এই ১৫ বছরের গ্যারান্টিযুক্ত সময়কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত পেনশন পেতে থাকবেন।

অন্যদিকে, ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সের পুত্র সন্তান এবং বিবাহিত কন্যা সন্তানরা এই সময়ে পেনশন পাওয়ার যোগ্য নয়, তবে তারা আনুতোষিক পেতে পারেন। বিশেষভাবে, প্রতিবন্ধী সন্তানরা আজীবন পারিবারিক পেনশন পাওয়ার জন্য যোগ্য।সুতরাং, ১৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত সন্তানের পেনশন পাওয়ার বিষয়টি মূলত পারিবারিক পেনশনের সাথে সম্পর্কিত, যেখানে পেনশন পাওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে, যা পেনশন শুরু হওয়ার তারিখ থেকে গণনা করা হয়।

সরকারি চাকরিজীবীদের পারিবারিক পেনশন নীতিমালা ২০২৫ । মৃত ব্যক্তির পেনশন কে পাবে

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আবেদন ফরম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য মৃত পেনশনভোগীর শেষ কর্মস্থল বা হিসাবরক্ষণ অফিসের পেনশন বিভাগে যোগাযোগ করুন। কাগজপত্রের সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিল থাকতে হবে। নিয়ম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সর্বশেষ তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করা অত্যাবশ্যক। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।

অবসরভাতা ভোগরত অবস্থায় পেনশনভোগীর মৃত্যু হলে ফরম PDF লিংক

সন্তান পেনশনার হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২৫ । স্বামী/স্ত্রীর অবর্তমানে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের অবশিষ্ট সময়ের জন্য পেনশন পেতে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলির প্রয়োজন হবে

  1. পারিবারিক পেনশন আবেদন ফরম: যথাযথভাবে পূরণকৃত পারিবারিক পেনশন আবেদন ফরম (সরকার কর্তৃক নির্ধারিত)। এটি সাধারণত মৃত পেনশনভোগীর শেষ কর্মস্থল বা হিসাবরক্ষণ অফিসে পাওয়া যায়।
  2. মৃত্যু সনদ: স্বামী/স্ত্রীর মৃত্যু সনদপত্রের মূল কপি অথবা সত্যায়িত অনুলিপি। এটি ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
  3. উত্তরাধিকার সনদ ও নন-ম্যারিজ সার্টিফিকেট: উত্তরাধিকারীদের তালিকা এবং অবিবাহিত থাকার প্রমাণপত্র (নন-ম্যারিজ সার্টিফিকেট)। এটিও ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
  4. নমুনা স্বাক্ষর ও পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ: পেনশন উত্তোলনকারী নমিনীর নমুনা স্বাক্ষর এবং পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ নির্ধারিত ফরমে দিতে হবে।
  5. সত্যায়িত ছবি: পেনশন উত্তোলনকারী নমিনীর সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি (সাধারণত ২-৪ কপি)।
  6. জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড: পেনশন উত্তোলনকারী নমিনীর জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা স্মার্ট কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি।
  7. পেনশন মঞ্জুরীর আদেশ ও পি পি ও (PPO) বই: মৃত পেনশনভোগীর পেনশন মঞ্জুরীর মূল আদেশ এবং পি পি ও বই (যদি থাকে)।
  8. ব্যাংক হিসাবের বিবরণী: পেনশন উত্তোলনকারীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের (সঞ্চয়ী অথবা চলতি) বিবরণে ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত সিল ও স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  9. ক্ষমতা অর্পণ ও অভিভাবক মনোনয়ন এর প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে): যদি পেনশন উত্তোলনকারী নাবালক হন বা অন্য কোনো কারণে অক্ষম হন, তবে আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষমতা অর্পণ ও মনোনয়ন সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
  10. অন্যান্য কাগজপত্র (প্রয়োজনে): কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময়ে সময়ে চাহিত অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র।

কখন পেনশন ল্যাপস হয়ে যায়?

পেনশন সাধারণত পেনশনারের মৃত্যুর পর বা নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে ল্যাপ্স হয়ে যায়। সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পেনশন সাধারণত ১৫ বছর মেয়াদকালের জন্য থাকে। ১৫ বছর পর তা পুনরায় চালু হতে পারে। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে পেনশন অন্য কারণেও ল্যাপ্স হতে পারে। পেনশনারের মৃত্যুর পর পেনশন সাধারণত ল্যাপ্স হয়ে যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে পেনশনারের মৃত্যুর পর তার মনোনীত সুবিধাভোগী বা উত্তরাধিকারী পেনশন পেতে পারেন। কিছু পেনশন স্কিমের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। এই সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে পেনশন ল্যাপ্স হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, কিছু পেনশন স্কিমে ১৫ বছর মেয়াদকালের পর পেনশন পুনরায় চালু হতে পারে। কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন – পেনশনারের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়া বা পেনশন স্কিমের নিয়ম পরিবর্তন হলে, পেনশন ল্যাপ্স হতে পারে।

পরিবারের কে কে পেনশনের অংশীদার হতে পারে?
পেনশনের অংশীদার হতে পারে এমন পরিবারের সদস্যরা হলেন: স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান এবং ক্ষেত্র বিশেষে নির্ভরশীল পিতা-মাতা, ভাই-বোন. সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর, তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বামী বা স্ত্রী পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন. যদি কোনো নমিনি না থাকে, তাহলে উত্তরাধিকার সূত্রে পেনশনের অধিকার জন্মায়।স্বামী বা স্ত্রী: সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু হলে, তার স্বামী বা স্ত্রী পেনশন পাওয়ার যোগ্য। যদি কোনো নমিনি না থাকে, তাহলে স্বামী বা স্ত্রী উত্তরাধিকার সূত্রে পেনশনের অধিকার লাভ করেন.সন্তান: সরকারি কর্মচারীর জীবিত সন্তানরাও পেনশনের অংশীদার হতে পারে।
পিতা-মাতা: ক্ষেত্র বিশেষে, নির্ভরশীল পিতা-মাতা এবং ভাই-বোনও পেনশনের অংশীদার হতে পারে।  বিধবা স্ত্রী: কিছু ক্ষেত্রে, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পেনশনের সুবিধা ভোগ না করা বিধবা স্ত্রীগণও আজীবন পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করতে পারে. দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে। মৃত সরকারি কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের জন্য পেনশন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০: এই আদেশের মাধ্যমে আত্মীয়বর্গের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ভাই, বোন, পিতা, মাতা অন্তর্ভুক্ত, যা আনুতোষিক ও মাসিক পেনশন প্রদানের জন্য প্রযোজ্য। 
Pension Benefits Correction 2024 । পেনশন ও আনুতোষিক বন্টনে নতুন কোন সদস্যগণ অন্তর্ভুক্ত হলেন?

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *