“আনুতোষিক স্কীম” -এর আওতাভূক্ত একজন কর্মকর্তা/ কর্মচারী আনুতোষিকযোগ্য চাকুরিকাল পূর্ণ করে অবসরে যাওয়ার পর তার সর্বশেষ আহরিত পূর্ণ মূল বেতনের ভিত্তিতে আনুতোষিক গণনাযোগ্য হয়। এক্ষেত্রে প্রতি বছর চাকুরীর জন্য ২ (দুই) মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ সমগ্র চাকুরীর বছরের সাথে গুন করে অর্থাৎ সর্বশেষ আহরিত মূল মাসিক মূল বেতন*মোট চাকুরীর বছর*২ টাকা এককালীন আনুতোষিক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে”-Pension Rules 2009
পেনশন স্কীম ও আনুতোষিক স্কীম এর আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণ/গণনার পদ্ধতি সংক্রান্তে অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের প্রবিধি-১ শাখার অফিস স্মারক নং ০৭. ০০. ০০০০ .১৭১. ১৩. ০০১.১২.১১২, তারিখ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২ দ্বারা নিম্নরূপ নির্দেশনা জারি করা হয়:
বিষয়: পেনশন স্কীম ও আনুতোষিক এর আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণ/গণনার (Calculation) পদ্ধতি সংক্রান্ত।
উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের চাকুরী শেষে অবসরকালীন আর্থিক সুবিধাদির ক্ষেত্রে “পেনশন স্কীম” ও “আনুতোষিক” স্কীম চালু রয়েছে। পেনশন স্কীমের আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের জন্য সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) প্রথা এবং আনুতোষিক স্কীমের আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের জন্য প্রদেয় ভবিষ্য তহবিল (সিপিএফ) প্রথা প্রযোজ্য।
০২। জিপিএফ-এর আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদেরকে The General Providend Fund Rules, 1979 The Contributory Providend Fund Rules, 1979 অনুযায়ী স্ব-স্ব নামের বিপরীতে খোলা সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) হিসাবে প্রতিমাসে চাঁদা জমা প্রদান করতে হয়। পক্ষান্তরে সিপিএফ-এর আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে The Contributory Provident Fund Rules, 1979 অনুযায়ী স্ব-স্ব নামের বিপরীতে খোলা প্রদেয় ভবিষ্য তহবিল (সিপিএফ) হিসাবে প্রতিমাসে চাঁদা জমা প্রদান করতে হয় এবং নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ চাঁদা দাতার মূল বেতনের ৮.৩৩% অর্থ উক্ত হিসাবে জমা প্রদান করে। বর্ণিতভাবে চাঁদা স্ব-স্ব জিপিএফ এবং সিপিএফ হিসাবে জমাকৃত টাকার উপর উপরোল্লিখিত বিধিমালা অনুযায়ী সরকার প্রতি অর্থ বছরের জন্য নির্ধারিত হারে সুদ/ইনক্রিমেন্ট প্রদান করে থাকে।
০৩। “পেনশন স্কীম” -এর আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ চাকুরী শেষে “পেনশন” এবং “আনুতোষিক”-এর আওতাভূক্ত কর্মচারীগণ চাকুরী শেষে এককালীন, “আনুতোষিক” পেয়ে থাকেন। উভয় স্কীম ভিন্ন হওয়ায় পেনশন ও আনুতোষিক গণনার নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। পেনশন স্কীমের আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের ০৫-০৭-১৯৭৯ খ্রি: তারিখের অম/বিধি-১/৩পি-২৮/৮৫/৬২ নম্বর এবং ০৪-১১-১৯৮৯ খ্রি: তারিখের অম(বিধি-১) তপি-২৮/৮৫/১০৬ নম্বর স্মারক অনুযায়ী পেনশন ও আনুতোষিক গণনার পদ্ধতি নির্ধারিত করা হয়েছে। অন্য দিকে, “আনুতোষিক স্কীম”-এর আওতাভূক্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের ২৭/০৩/১৯৯০ খ্রি: পেনশন স্কীম ও আনুতোষিক এর আওতাভূক্ত কর্মচারীদের গণনার পদ্ধতি ২০১২ তারিখের অম/অবি/স্বাশপ্র/শা-১/৭১১/৮৯/৪৬(১০০) নং স্মারক অনুযায়ী আনুতোষিক গণনার পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
০৪। বর্তমানে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী “পেনশন স্কীম” এর আওতাভূক্ত কোন বেসামরিক কর্মকর্তা/ কর্মচারী ২৫ বছর বা তদুর্ধ্ব পেনশনযোগ্য চাকুরীকাল পূর্ণ করে অবসরে গমনের পর তা সর্বশেষ আহরিত মূলবেতনের ৮০% টাকা পেনশন হিসেবে প্রাপ্য। পেনশনযোগ্য চাকুরীকাল ২০ বছর বা তদুর্ধ্ব হলে উক্ত % টাকার ৫০% টাকার প্রতি টাকার জন্য ২০০ টাকা হারে এককালীন আনুতোষিক হিসেবে এবং অবশিষ্ট ৫০% টাকা মাসিক পেনশন হিসেবে প্রদেয়। তবে, কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী অবশিষ্ট ৫০% টাকা মাসিক পেনশন হিসেবে না নিলে তিনি প্রতি ১ টাকার জন্য ১০০ টাকা হারে আনুতোষিক হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।
০৫। “আনুতোষিক স্কীম” -এর আওতাভূক্ত একজন কর্মকর্তা/ কর্মচারী আনুতোষিকযোগ্য চাকুরিকাল পূর্ণ করে অবসরে যাওয়ার পর তার সর্বশেষ আহরিত পূর্ণ মূল বেতনের ভিত্তিতে আনুতোষিক গণনাযোগ্য হয়। এক্ষেত্রে প্রতি বছর চাকুরীর জন্য ২ (দুই) মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ সমগ্র চাকুরীর বছরের সাথে গুন করে অর্থাৎ সর্বশেষ আহরিত মূল মাসিক মূল বেতন*মোট চাকুরীর বছর*২ টাকা এককালীন আনুতোষিক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।”
পেনশন স্কীম ও আনুতোষিক এর আওতাভূক্ত কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণ/গণনার পদ্ধতি ২০১২: ডাউনলোড