বাংলাদেশ সরকার অবসর প্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের এককালীন প্রাপ্ত অর্থ, জিপিএফ এবং লাম্পগ্র্যান্ট হতে প্রাপ্ত অর্থ বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয়পত্র ২০০৪ সালে চালু করেন-পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের নিয়ম ২০২৪
৫০ হাজার টাকার পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়? হ্যাঁ। একজন পেনশনার তা সে নিজে বা পারিবারিক পেনশনার সর্বনিম্ন ৫০,০০০ টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র হতে ১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ ও ১০,০০,০০০ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবে। কোন ভাবেই তা একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা তবে আনুতোষিক ও সর্বশেষ ভবিষ্য তহবিল হতে প্রাপ্ত অর্থের বেশী নয়।
ব্যাংকে রাখলেই লাভ বেশি? হ্যাঁ। সঞ্চয়পত্র ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী হয়ে থাকে চাইলে যে কোন সময় উত্তোলন করা যায় সেক্ষেত্রে চার্ট অনুসারে মুনাফা প্রযোজ্য হইবে। অনেকেই হয়তো বলবেন সঞ্চয়পত্রের থেকে ব্যাংক বেশি মুনাফা দেয় তাহলে সঞ্চয়পত্র কিনবো কে? না। ব্যাপারটি এমন নয়। মূল্যস্ফিতি কমলেই ব্যাংক সুদের হার আবার কমে যাবে। তাছাড়া নিরাপদ ব্যাংকগুলোর এফডিআর রেট এখনও অনেক কম।
ছোট বিনিয়োগে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে প্রাপ্য মুনাফার হার
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী, সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিগণ, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত চাকুরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তানগণ পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিকভিত্তিতে মুনাফা প্রদান করা হয়। এ সঞ্চয়পত্রে নমিনী নিয়োগ করা যায়। সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনী সাথে সাথেই অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণের পর সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গাতে পারেন। হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেটসঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র কোথা হতে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়?
বর্তমানে পেনশনার সঞ্চয়পত্র ব্যাংক হতে ক্রয় করাই ভাল। তবে জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক শাখাসমূহ, যে কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়। তবে বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো হতে পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে কুপন ব্যবহার করতে হয় না। ৩ মাস পর পর মুনাফা ব্যাংক হিসাবে এসে জমা হয়। তাই দেশের যে কোন বানিজ্যিক ব্যাংক হতে এ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা যাবে তবে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক গুলো সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে না।
১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদেয় মুনাফা
পেনশনার সঞ্চয়পত্র মুনাফা হার । স্ল্যাব ভিত্তিক মুনাফার হিসাব করে প্রতিমাসে মুনাফা পাওয়া যাবে
মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে উপরোক্ত ছকে উল্লেখিত হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হয়ে থাকলে তা মূল টাকা হতে কর্তন করে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করা হবে। যদি আপনি ৩ মাস অন্তর প্রাপ্ত মুনাফা উত্তোলন করে থাকেন তবে যে বছরান্তে সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গাবেন না নগদায় করবেন তার পূর্বের বছরের হারে মুনাফা নির্ধারিত করে অতিরিক্ত গৃহীত অর্থ সমন্বয় প্রদানপূর্বক মূল টাকা ফেরত প্রদান করা হবে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে কি উৎসে কর বা আয়কর দিতে হয়?
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত সর্বমোট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার উপর কোন উৎসেকর কর্তন করা হয়না। ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার অধিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রেমুনাফার উপর ১০% হারেউৎসে কর কর্তন করা হয়। ব্যাংকে প্রতিমাসে যেহেতু মুনাফা অটোমেটিক জমা হয় তাই মুনাফা কেটে রেখেই ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট করা হয়। তাই মেয়াদের পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে আয়কর সহ যে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট বছরের মুনাফা মূল অর্থ হতে বাদ দেওয়া হবে। আয়কর পরিশোধের জন্য আয়কর প্রত্যয়নপত্র পাবেন সেটি দিয়ে ব্যক্তিগত আয়কর জমা দেখাতে পারবেন।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রে প্রতি লাখে ২৯৪০ টাকা মুনাফা
পেনশনার সঞ্চয়পত্রের শুধু অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা কর্মচারী বিনিয়োগ করতে পারে। এক্ষেত্রে পেনশন বই বা এ সংক্রান্ত প্রমানক প্রয়োজন পড়বে। পেনশনারের মৃত্যুতে তার পরিবারও সেই অর্থ দিয়ে পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। প্রতি তিন মাস পর পর লাখে ২৯৪০ টাকা পাওয়া যাবে এবং মুনাফার হার ১১.৭৬% এবং এটি ৫ বছরের জন্য বিনিযোগ করতে হয়। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত তাই ২৯৪০ টাকা আসে। বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকার উপরের হলে অবশিষ্ট বিনিয়োগের উপর ৫% হার কর প্রযোজ্য হইবে বিনিয়োগের মুনাফা হইবে ১০.৭৫%। প্রতি ৩ মাস পর পর পাওয়া যাবে ২৬৪৬ টাকা এবং ১৫ লক্ষ অতিক্রম করলে পাওয়া যাবে ২৪১৮.৭৫ টাকা। বিনিয়োগ করা যাবে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তবে বিনিয়োগ ৩০ লক্ষ টাকা অতিক্রম করলে ৩ মাস পর পর লাখে পাওয়া যাবে ২১৯৩.৭৫ টাকা। মুনাফা হার হবে ৯.৭৫%। সঞ্চয়পত্রে ১ (এক) লক্ষ টাকায় প্রতি মাসে মুনাফা ২০২৪
পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে ১ (এক) লক্ষ টাকায় ফেরতযোগ্য টাকার পরিমাণ
পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে যে সকল কাগজপত্র লাগে
- ক্রয়ের সময় ক্রেতার ২ (দুই) কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্টের ফটোকপি,
- নমিনী থাকলে প্রত্যেকের ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রদান করতে হবে;
- ভবিষ্য তহবিলের মঞ্জুরীপত্র এবং প্রাপ্ত আনুতোষিকের মঞ্জুরীপত্র অথবা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পি.এস.সি
- ফরম-২ পুরণ করে ইস্যু অফিসে দাখিল করতে হবে। সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন
- এ সঞ্চয়পত্র শুধুমাত্র ১ (এক)টি অফিস হতে ক্রয় করা যায়। একাধিক অফিস হতে এ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে অথবা ক্রয়সীমা অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে কোন মুনাফা প্রাপ্য হবেন না।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র নীতিমালা ২০০৪ (সংশোধিত ২০১৫) ডাউনলোড
বি:দ্র: পেনশনার সঞ্চয়পত্র ব্যাংক ঋণের জন্য জামানত/আমানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবসা-বানিজ্যে পেনশনার সঞ্চয়পত্র জামানত হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। সঞ্চয়পত্র এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়।
সঞ্চয়পত্র ক্রয় ডকুমেন্টস ২০২৪ । গত বছরের রিটার্ন স্লিপ দিয়ে নভেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা যাবে
এখন কি ৪৫ লক্ষ টাকা পর্য্যন্ত পরিবার সঞ্চয় পত্র কেনা যাবে?
যাবে।
নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পি.এস.সি
ফরম-২ পুরণ করে ইস্যু অফিসে দাখিল করতে হবে।এখানে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বলতে কাদের বুঝানো হয়েছে?
নিয়োগপত্রে যে কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষর করেছেন। পিএসসি হলে পিএসসি প্রধান।
কেউ যদি উপ সহকারী কৃষি অফিসার হয় তাহলে তার জন্য ফরম ২ তে কে স্বাক্ষর করবে?
তার উর্ধ্বতন অফিসার স্বাক্ষর করবেন।