বিসিএস দিয়ে প্রধান শিক্ষক ২০২৫ । প্রাইমারি শিক্ষক হিসেবে মাসে মোট ১৮-২০ হাজার টাকা বেতন?
সরকারি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিসিএস করে নন-ক্যাডার হিসেবে যোগ দিতে হয় ১২ তম গ্রেডে এবং মাসিক বেতন ভাতাদিও ২০ হাজার এর নিচেই থাকে- একজন প্রধান শিক্ষক (৪১৩৬০ টাকা) মূল বেতনে অবসরে গিয়ে থাকে– বিসিএস দিয়ে প্রধান শিক্ষক ২০২৫
বিসিএস নন ক্যাডার কি? বিসিএস প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা পদ পান না, তাদের নন-ক্যাডার বলা হয়। বিসিএস প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সার্কুলারে থাকা নির্দিষ্ট সংখ্যক পদে যারা নিয়োগ পান তাদের বলা হয় ক্যাডার। বিসিএস পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে ক্যাডার পদে পদোন্নতির ব্যবস্থাও আছে। বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে হলে একজন প্রার্থীকে ন্যূনতম ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। এইচএসসি পাশ করার পর ৩ বছর মেয়াদী ডিগ্রী বা সমমানের কোর্স করে থাকলে, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (মাস্টার্স) পাস করতে হবে। সাধারণত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে নন-ক্যাডার দের সিরিয়াল অনুযায়ী পরবর্তীতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রধান শিক্ষকদের নাকি ১০ম গ্রেড দিচ্ছে? হ্যাঁ। হ্যাঁ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দিয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এখনও কার্যকর হয়নি।
প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সর্বমোট বেতন কত? বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেওয়া হয়। তাঁদের বেতন দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদায়। প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও, এখনও তারা এতদিন ১১ ও ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছে। আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা রয়েছে। বেসিক বেতন ১১,৩০০ টাকা থেকে শুরু এবং চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া উপজেলায় ৪৫% হিসেবে ৫,০৮৫ টাকা। এই তো মাস শেষে ১৭,৮৮৫ টাকা গ্রাস মাসিক বেতন পান। এছাড়াও কিছু অন্যান্য সুযোগ সুবিধা খাতা দেখা বাবদ সম্মানী, পরীক্ষার হলের ডিউটি বাবদ সম্মানী এবং বাজেট মেইটেইন করে কিছু আয়।
বিসিএস প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সার্কুলারে থাকা নির্দিষ্ট সংখ্যক পদে যারা নিয়োগ পান তাদের বলা হয় ক্যাডার। প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা তে উত্তীর্ণ হয়েও যারা পদ পান না তাদের বলা হয় নন-ক্যাডার। এটিই হলো বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার এর মধ্যে পার্থক্য।
Caption: Full pdf Download
প্রধান শিক্ষক বেতন ভাতাদি ২০২৫ । ১২তম গ্রেডে মোট বেতন কত টাকা পায়?
- মুল বেতনঃ ১১,৩০০ /- টাকা।
- বাড়িভাড়া ভাতাঃ ৫০৮৫/- টাকা (ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য ৬০% ও চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার এলাকার জন্য ৫০% এবং অন্যান্য স্থানের জন্য ৪৫%)।
- মেডিকেল ভাতাঃ ১৫০০/- টাকা ফিক্সড।
- শিক্ষা সহায়ক ভাতা সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা। দু’সন্তানের জন্য।
- অন্যান্য ফি ও ভাতাদি।
প্রধান শিক্ষক কি গেজেটেড পদ?
হ্যাঁ। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় কর্তৃক ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীদের মধ্য হতে নন-ক্যাডার পদে এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে নিয়োগ দেয়া হয়। সুপারিশকৃত প্রার্থীগণকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণবিহীন) নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণি হিসেবে বেতন স্কেল- ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-১২ (টাকা ১১,৩০০-২৭,৩০০/=) এ বর্ণিত উপজেলা/থানা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের ক্ষেত্রে যে সকল শর্ত প্রযোজ্য হইবে
শিক্ষানবিশকালে অযোগ্য বিবেচিত হলে কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাঁদেরকে চাকুরী হতে অপসারণ করা যাবে; | শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনক বিবেচিত হলে বিধি মোতাবেক চাকুরীতে স্থায়ী করা হবে; | চাকুরীতে তাঁদের জ্যেষ্ঠতা বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয় কর্তৃক সুপারিশকৃত মেধা তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে; |
তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে অথবা বিবাহের অঙ্গীকারবদ্ধ হলে এ নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে; | সরকারের প্রচলিত বিধি বিধান, আদেশ এবং সরকার কর্তৃক ভবিষ্যতে প্রণীতব্য বিধি বিধান/আদেশ দ্বারা তাঁর চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে; | এ চাকুরীতে যোগদানের জন্য তিনি কোন ভ্রমণ ভাতা/দৈনিক ভাতা প্রাপ্য হবেন না; |
প্রশিক্ষণবিহীন প্রার্থীগণকে নিয়োগ আদেশ প্রাপ্তির পরবর্তী ০৪ (চার) বছরের মধ্যে “প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি)” প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে; | নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা কর্তৃক সরবরাহকৃত যে কোন তথ্য ও সনদপত্র মিথ্যা/ভূয়া/ত্রুটিপূর্ণ হলে নিয়োগ আদেশ বাতিল করা যাবে এবং প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী তাঁর/তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে; | শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে; |