Primary Proposed Salary Structure 2025 । জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ এ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকদের ১০ দফা দাবি পেশ?
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ এর কাছে শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবি প্রস্তাব আকারে পেশ করেছে। গত ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে সমিতির পক্ষ থেকে জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ এর চেয়ারম্যান (পূর্ণকালীন) বরাবর এই আবেদন ও দাবিসমূহ উপস্থাপন করা হয়।– Primary Proposed Salary Structure 2025
মূল দাবিসমূহ ও যৌক্তিকতা কি? বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় হিসাব করে প্রধান দাবিগুলো উত্থাপন করা হয়েছে। নতুন বেতন স্কেল: সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৩৫,০০০/ টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন স্কেল ১,৪০,০০০/ টাকা করে ১:৪ অনুপাতে জাতীয় বেতন স্কেল/২০২৫, ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রি. থেকে কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে। বেতন গ্রেড হ্রাস: বর্তমান ২০ টি বেতন গ্রেড কমিয়ে ১০/১২ টি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ সংশোধন করে পূর্বের ন্যায় “সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল” পুনর্বহাল এবং জাতীয় বেতন স্কেল/২০২৫-এ তা বহাল রাখার দাবি জানানো হয়েছে। সমিতির দাবি, ২০১৪ সালের ৯ই মার্চ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নীত প্রধান শিক্ষকেরা “সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল” বহাল না থাকায় বেতন-ভাতা বৈষম্য ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট কত শতাংশ দাবী? বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট মূল বেতনের ১০% হারে প্রতিবছর বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রতিবছর মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির হার প্রায় ১০% এর কাছাকাছি হয়। বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়ি ভাড়া ঢাকা মহানগরে মূল বেতনের ১০০%, বিভাগীয় শহরে ৯০%, জেলা শহরে ৮০%, এবং উপজেলা/থানা শহরে ৭০% করার দাবি জানানো হয়েছে। চিকিৎসা ভাতা ও সুবিধা চিকিৎসা ভাতা ১২,০০০/ টাকা অথবা মূল বেতনের ২০% হারে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসাথে সরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা ও বেসরকারি হাসপাতালে হাফ ফ্রি চিকিৎসা সুবিধা চালুর দাবি করা হয়েছে, কারণ ৬ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের চিকিৎসা ব্যয় ১০,০০০/ টাকার অনেক বেশি হয়।
শিক্ষা ভাতা দুই সন্তানের জন্য কত দাবী করা হয়েছে? দুই সন্তানের ক্ষেত্রে ১০,০০০/ টাকা অথবা মূল বেতনের ২০% হারে এবং এক সন্তানের ক্ষেত্রে ৫,০০০/ টাকা অথবা মূল বেতনের ১০% হারে শিক্ষা ভাতা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে, কেননা বর্তমানে শিক্ষা ব্যয় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নন-ভ্যাকেশন বিভাগ ঘোষণা ও শ্রান্তিবিনোদন ভাতা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে নন-ভ্যাকেশন বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করে অন্যান্য বিভাগের মতো নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে “শ্রান্তিবিনোদন ভাতা ও ছুটি” পাওয়ার বিধান যুক্ত করার দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও, “শ্রান্তিবিনোদন ছুটি অর্জিত ছুটি হতে কর্তন না করার বিধান” চাওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবী দাওয়া ২০২৫ / সাধারণ দাবী দাওয়া ছাড়াও কিছু অতিরিক্ত যুক্তিসঙ্গত দাবী রয়েছে।
পেনশন ও আনুতোষিক বৃদ্ধির দাবী উঠেছে? হ্যাঁ। পেনশন ৯০% এর পরিবর্তে ১০০% এবং আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকায় বৃদ্ধি করার দাবি করা হয়েছে। শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ভাতা প্রাথমিক শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য সমহারে বিশেষ ভাতা প্রবর্তন করার দাবি জানানো হয়েছে। সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই আবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০১৫ সালের পর থেকে দীর্ঘ ১১ বছরের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বর্তমান বেতন-ভাতায় প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনযাপন ব্যয় নির্বাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারা প্রস্তাবিত দাবিসমূহ উপস্থাপন, সাক্ষাত প্রাপ্তির অনুমতি দান ও দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ এ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকদের ১০ দফা দাবি পেশ pdf Copy Donwload
প্রস্তাবিত দাবির স্বপক্ষে যুক্তি ২০২৫ । সরকারি বেতন কাঠামো তে শিক্ষকদের জন্য আলাদা ভাতা চান?
- ১:৪ অনুপাতে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৩৫,০০০/ টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন স্কেল ১,৪০,০০০/ টাকা করে জাতীয় বেতন স্কেল/২০২৫ ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রি. থেকে কার্যকর করার দাবি করছি। ২০১৫ সালে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৪,১০০/-কে দ্বিগুণ করে ৮,২৫০/ টাকা করা হয়েছে। সেই হিসেবে ২০২০ সালের পে-স্কেল হলে ৮,২৫০/ টাকার দ্বিগুণ করলে হতো ১৬,৫০০/ টাকা এবং ২০২৫ সালে পে-স্কেলে ১৬,৫০০/ টাকার দ্বিগুণ কলে হতো ৩৩,০০০/ টাকা। সুতরাং ২০২০ সালে এবং ২০২৫ সালে দুইটি পে-স্কেল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছি। সর্বনিম্ন বেতন স্কেল এবং সর্বোচ্চ স্কেলের মধ্যকার বিদ্যমান বেতন বৈষম্য কমানো।
- বেতন গ্রেড ২০টি থেকে কমিয়ে ১০/১২ টি করার প্রস্তাব করছি। (কোনো যুক্তি প্রদান করা হয়নি)। ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০০৯’ এর ধারাবাহিকতায় ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ সংশোধনপূর্বক পূর্বের ন্যায় “সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল” পুনর্বহাল করে জাতীয় বেতন স্কেল/২০২৫-এ “সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল” বহাল রাখা। ব্লক পোস্ট ও পদোল দ্রুত সরকারি কর্মচারীগণের জন্য ‘চাকরি (বেতন ও… আদেশ, ২০১৫’-এ “সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল” রহিত করে ১০/১৬ বছরের “উচ্চতর গ্রেড” প্রবর্তন করায় ইহার সীমাবদ্ধতা ও ভুল থাকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরির ১০/১৬ বছরে এমনকি ২০ বছরেও “উচ্চতর গ্রেড” প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত আছেন।
- বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট মূল বেতনের ১০% হারে প্রতিবছর বৃদ্ধি করা। কারণ প্রতিবছর মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির হার প্রায় ১০% এর কাছাকাছি হয়। বাড়ি ভাড়া ঢাকা মহানগরে মূল বেতনের ১০০%, বিভাগীয় শহরে ৯০%, জেলা শহরে ৮০%, উপজেলা/থানা শহরে ৭০% করার দাবি করছি। বিগত ১০ বছরে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও মুদ্রাস্ফীতির সাথে তালমিলিয়ে ঢাকা মহানগরসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরে বাড়ি ভাড়া বহুগুণ বেড়েছে।
- চিকিৎসা ভাতা ১২,০০০/ টাকা অথবা মূল বেতনের ২০% হারে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। সরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা ও বেসরকারি হাসপাতালে হাফ ফ্রি চিকিৎসা সুবিধা চালুর দাবি করছি। বর্তমানে একজন রোগীর জন্য ডাক্তারের ফি ১,২০০-২,২০০ টাকা, রিপোর্ট দেখানোর ফি ৫০০-৬০০ টাকা। একজন রোগীকে রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন টেস্ট করা বাবদ কমপক্ষে ৫,০০০-৭,০০০ টাকা বা আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়। ৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের চিকিৎসা ব্যয় ১০,০০০/ টাকার অনেক বেশি হয়।
- শিক্ষা ভাতা দুই সন্তানের ক্ষেত্রে ১০,০০০/ টাকা অথবা মূল বেতনের ২০% হারে এবং এক সন্তানের ক্ষেত্রে ৫,০০০/ টাকা অথবা মূল বেতনের ১০% হারে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি। বর্তমানে শিক্ষা ব্যয় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় শিক্ষা ব্যয় প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
- প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে নন-ভ্যাকেশন বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করে অন্যান্য বিভাগের মতো নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট তারিখেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে “শ্রান্তিবিনোদন ভাতা ও ছুটি” পাওয়ার বিধান যুক্ত করার দাবি করছি। “শ্রান্তিবিনোদন ছুটি অর্জিত ছুটি হতে কর্তন না করার বিধান দাবি করছি।” “শ্রান্তিবিনোদন ভাতা ও ছুটি” কর্তব্য কাজে অধিক মনোযোগী হতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক হবে।
- পেনশন ৯০% এর পরিবর্তে ১০০% এবং আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকায় বৃদ্ধি করার দাবি করছি। একইসাথে বিগত সরকারের ৫০% আনুতোষিকের অর্থ সমর্পন ব্যতীত ১০০% অর্থ পরিশোধের দাবি করছি। অবসরের পর নীট পেনশন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ৫৯ বছর চাকুরি শেষে আবাসিক নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম একটি ফ্ল্যাট অথবা ছোটখাটো ঘর নির্মাণের সুবিধার্থে এই প্রস্তাব করা হয়েছে। আনুতোষিকের ৫০% অর্থ সমর্পন করা হলে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো সম্পদ তৈরি করতে পারে না। বাকি জীবন খুবই কষ্টে অতিবাহিত করতে হয়।
- শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ভাতা প্রাথমিক শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য সমহারে শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ভাতা প্রবর্তন করার দাবি করছি। বিশেষ ভাতা প্রাথমিক শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষকদের জীবন উন্নয় পরিকল্পনার (career development) সহায়ক হবে।
সরকারি কর্মচারীদের দুইটি জাতীয় বেতন স্কেল বকেয়া পড়ে গেছে ?
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের একটি জাতীয়ভিত্তিক সংগঠন। জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক প্রায় ৪ (চার) লাখ। প্রধান শিক্ষক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চতকরণ এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনমান ও পেশাগত উন্নয়নে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এসব দাবিদাওয়ার মধ্যে বেশকিছু দাবি জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত। ২০১৫ সালের পর থেকে দীর্ঘ ১১ (এগারো) বছরে দুইটি পে-স্কেল প্রদানের সময় অতিবাহিত হয়েছে। ফলে দীর্ঘ ১১ (এগারো) বছরের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বর্তমান বেতন-ভাতায় প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর ন্যায় প্রাথমিক শিক্ষকদেরও জীবনযাপন ব্যয় নির্বাহ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’-এ ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০০৯’ এর ধারাবাহিকতায় পূর্বের ন্যায় “সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল” বহাল না রাখায় ২০১৪ সালের ৯ই মার্চ তারিখে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নীত প্রধান শিক্ষকগণ চরম বেতন-ভাতা বৈষম্য ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছি।
| বেতন বৈষম্য ও আর্থিক সুরক্ষা সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল: প্রধান শিক্ষকেরা ২০১৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা পেলেও ‘সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল’ বাতিল হওয়ায় তাঁরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ব্লক পোস্ট ও পদোন্নতি প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তি বিলম্বিত হচ্ছে। এই সুবিধাগুলো পুনর্বহাল করার দাবি শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। | পেনশন ও আনুতোষিক বৃদ্ধি: অবসরের পর পেনশনের হার ৯০% থেকে ১০০% এবং আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বৃদ্ধি করার দাবি অবসর জীবনকে আর্থিক নিরাপত্তা দিতে গুরুত্বপূর্ণ। আনুতোষিকের ৫০% সমর্পণের নিয়ম বাতিলের দাবিও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য একটি বড় আর্থিক সহায়ক হতে পারে। | শিক্ষকরা উল্লেখ করেছেন যে ২০১৫ সালের পর দীর্ঘ ১১ বছরে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে বর্তমান বেতন-ভাতায় তাঁদের ৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের জীবনযাপন ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এটিই বেতন স্কেল বৃদ্ধি ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১০% করার প্রধান কারণ। তাঁদের এই দাবি বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। |
| পেশাগত মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি নন-ভ্যাকেশন বিভাগ: প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে নন-ভ্যাকেশন বিভাগ ঘোষণা করে অন্যান্য বিভাগের মতো শ্রান্তিবিনোদন ভাতা ও ছুটি পাওয়ার বিধান চাওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষকদের কাজের চাপ থেকে বিরতি নিতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক হবে। | পারিবারিক ব্যয় ও কল্যাণ বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা: ঢাকা, বিভাগীয় ও জেলা শহরে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাড়ি ভাড়া ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক। বিশেষ করে ৬ সদস্যের পরিবারের জন্য চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে বর্তমান ভাতা অপর্যাপ্ত। | বিশেষ ভাতা: প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষকের জন্য সমহারে বিশেষ ভাতা প্রবর্তনের দাবি শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের (Career Development) জন্য প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। |
| শিক্ষা ভাতা: বর্তমানে শিক্ষা ব্যয়ের ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে শিক্ষা ভাতা বাড়ানোর দাবিও শিক্ষকদের সন্তানদের উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক। প্রাথমিক শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান ও পেশাগত সন্তুষ্টি অপরিহার্য। আশা করা যায়, জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ শিক্ষকদের উত্থাপিত দাবিগুলো যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে। |



