প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত ২০২৫ । অপেক্ষা শেষে ১১ বছরের ভূতাপেক্ষ ১০ম গ্রেড ২য় শ্রেণী প্রাপ্তি?
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বা ২য় শ্রেনির মর্যাদা অবশেষে ০৯/০৩/২০১৪ তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে। এটি মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ৩২১৪/২০১৮ এর রায়ের ফলস্বরূপ, যেখানে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম ও ১২তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেওয়া হয়– প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত ২০২৫
হাইকোর্ট বিভাগের ২৫/০২/২০১৯ তারিখের রায়ে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেওয়া এবং সরকারি গেজেটে গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এরপর আপিল বিভাগ ০৬/০১/২০২২ তারিখে এই রায় বহাল রাখে। যদিও পরে ১৩/০৩/২০২৫ তারিখে কিছু সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১০ম গ্রেড কার্যকরের তারিখে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অর্থ মন্ত্রণালয় ১৯/০৬/২০২৫ তারিখে প্রধান শিক্ষকদের বেতন বিদ্যমান গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি প্রদান করে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড কার্যকরকরণের সুনির্দিষ্ট তারিখ হিসেবে ০৯/০৩/২০১৪ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই তারিখ থেকে তাদের বেতন ও মর্যাদা পুরোনো না হয়ে নতুন গ্রেড অনুযায়ী কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বিষয়ে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো এবং সরকারি গেজেটে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার পথে অগ্রগতি সৃষ্টি হলো।
সরকারি গেজেটের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকগণকে নতুন করে ১০ম গ্রেড বা ২য় শ্রেনির মর্যাদা প্রদান করা হবে যেখানে তাদের নাম সরকারি গেজেটে গেজেটেড অফিসার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে প্রধান শিক্ষকরা নতুনভাবে সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা মর্যাদা পাবে যা তাদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকদের জন্য বেতনস্কেলের ১০ম গ্রেডের সুবিধা দেয়া নিশ্চিত করা হবে। তবে, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী নির্বাচন গ্রেড এবং টাইম স্কেল সুবিধাসমূহ কাজ করবে না, যতক্ষণ না ভবিষ্যতে এগুলো পুনরায় প্রবর্তিত হয়। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী নিয়োগে আছেন এমন প্রধান শিক্ষকরা সমান কাজের জন্য সমান বেতনের অধিকার পাবেন। এতে তাদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায় প্রগাঢ় বৈষম্য দূর হবে এবং মূলত “Equal pay for equal work” এর নীতি প্রণীত হবে। সংক্ষেপে, সরকারি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও বেতনস্কেলে স্থায়িত্ব আসবে, তাদের নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং দীর্ঘদিন কর্মরতদের জন্য সম বেতন ও সুবিধা নিশ্চিত করা হবে যা তাদের কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে
প্রধান শিক্ষকের ১০ গ্রেড নিয়ে আইন বিভাগের মতামত । অবশেষে ০৯/০৩/২০১৪ থেকেই কার্যকর হল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বা ২য় শ্রেনির মর্যাদা দেওয়া হলো যা প্রায় ১১ বছর পর।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ০৯ মার্চ ২০১৪ তারিখ থেকে ১০ম গ্রেড বা ২য় শ্রেণির মর্যাদা পেয়েছেন যা হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের আদেশ এবং সরকারের অনুমোদনের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেড উন্নীতকরণে মতামত পিডিএফ ডাউনলোড
সরকারি গেজেটের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ কী নতুন সুবিধা দেবে । প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা গেজেট প্রকাশের পরে নিম্নলিখিতভাবে উপকৃত হবেন
- ১০ম গ্রেড বা ২য় শ্রেনির মর্যাদা পাবেন, যা তাদের বেতন ও অন্যান্য সরকারি সুবিধায় উন্নত করবে। এটি তাদের আর্থিক নিরাপত্তা ও প্রোফেশনাল মর্যাদা বাড়াবে।
- সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে সম্মানিত হবেন, যা কর্মজীবনে উন্নয়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
- দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষকরা সমান কাজের জন্য সমান বেতন পাবেন, যা “Equal pay for equal work” নীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
- সরকারি বেতন স্কেলে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে সরকারি প্রশাসনিক ডকুমেন্টেশনে তাদের মর্যাদা ও অবস্থান সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
- ভবিষ্যতে যদি নির্বাচন গ্রেড এবং টাইম স্কেল সুবিধা পুনর্বহাল হয়, তবে তারা অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধাও পেতে সক্ষম হবেন।
- সার্বিকভাবে, গেজেট প্রকাশ প্রাথমিক শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তায় দৃঢ় প্রভাব ফেলবে এবং তাদের কর্মসংস্থানে স্থায়িত্ব ও উন্নত সুযোগ সৃষ্টি করবে
সরকারি গেজেট প্রকাশের পরে এর প্রভাব কেমন হবে?
সরকারি গেজেট প্রকাশের পরে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বা ২য় শ্রেনির মর্যাদা কার্যকর হবে এবং তাদের সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর ফলে প্রধান শিক্ষকগণ সরকারি কর্মচারী হিসেবে গেজেটেড অফিসারের মর্যাদা পাবেন যা তাদের কর্মজীবনে মর্যাদা ও সুবিধা বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, সরকারি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের জন্য বেতনস্কেল নিশ্চিত হওয়ার ফলে তাদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায় আইনগত স্বচ্ছতা ও স্থায়িত্ব আসবে। এটি প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং অধিকার পূরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে। তবে, সময়ে সময়ে বেতনসংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সুবিধা যেমন নির্বাচন গ্রেড ও টাইম স্কেল সুবিধার বিষয়গুলো হাইকোর্টের কিছু সময়ের রায়ের ভিত্তিতে সংশোধিত হয়েছে, যার কিছু প্রভাব থাকতে পারে। তারপরেও সরকারি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতন গ্রেড চূড়ান্ত ও আইনি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হবে, যা তাদের পেশাগত ও আর্থিক উন্নতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে
| দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কার্যকর হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বা ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা। সরকারি এক আদেশে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালের মার্চ মাসের ৯ তারিখ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এই খবরে প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। | প্রত্যাশার প্রতিফলন: কি এই ১০ম গ্রেড? পূর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে (তৃতীয় শ্রেণি) বেতন ও মর্যাদা পেতেন। কিন্তু সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, বিভিন্ন শ্রেণির পদোন্নতি এবং বেতন কাঠামোর পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রধান শিক্ষকদেরও উচ্চতর মর্যাদা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের ছিল। অবশেষে, সরকার তাদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান করে। | বিগত দিনের আন্দোলন ও দাবিসমূহ বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠনগুলো প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং তাদের পদমর্যাদা উন্নীতকরণের জন্য ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছিল। বিভিন্ন স্মারকলিপি, মানববন্ধন এবং কর্মবিরতির মাধ্যমে তারা তাদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরেন। এই পদোন্নতিকে তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের একটি সার্থক পরিণতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। |
কার্যকরের তারিখ ও প্রভাব
সরকারি আদেশ (GO) অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ০৯/০৩/২০১৪ তারিখ থেকে। এর মানে হলো, ২০১৪ সালের মার্চ মাসের ৯ তারিখ থেকে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের নতুন বেতন স্কেল এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। এই পরিবর্তন কেবল বেতন কাঠামোতেই নয়, বরং তাদের কাজের স্বীকৃতি এবং পেশাগত মর্যাদাতেও এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।



