নৈমিত্তিক । অর্জিত । মাতৃত্বকালীন

Quarantine Leave For Family Sickness 2025 । পরিবারের অসুখে কর্মচারী নিজে ৩০ দিন পর্যন্ত ছুটি ভোগ করবেন?

সরকারি কর্মচারী নিজে অসুস্থ্য হলে মেডিকেল লিভ বা গড় বেতনে বা অর্ধ গড় বেতনে অর্জিত ছুটি রয়েছে। কিন্তু পরিবার অসুস্থ্য হলেও বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস বিধি ১৯৬ মোতাবেক কর্মচারী নিজে সরকারি ছুটি ভোগ করতে পারবেন-Quarantine Leave For Family Sickness 2025

পরিবারের কোন সদস্য যদি গুটি বসন্ত, কলেরা, টাইফাস জ্বর, প্লেগ ও সেরিব্রোস্পাইনাল মেনেনজষ্টাটিস রোরে আক্রান্ত হয় তবে সরকারি কর্মচারী পরিবারের অসুস্থ্যতা জনিত কারণে ২১ দিন পর্যন্ত ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এটি সংগনিরোধ ছুটি হিসাবে সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করিতে পারিবেন তবে যদি ৩০ দিনেও এটি শেষ না হয় তবে ৩০ দিন সহ অন্য ছুটির সাথে ব্রিজ করেও ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে।

বিধি-১৯৬। সরকারী কর্মচারীর পরিবারের বা তাঁহার বাড়ীর কোন বাসিন্দার সংক্রামক রােগের কারণে উক্ত কর্মচারীর অফিসে আগমন নিষিদ্ধ করিয়া আদেশ জারির মাধ্যমে যে ছুটি প্রদান করা হয়, উহাই সংগনিরােধ ছুটি। এই প্রকার ছুটি মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অফিস প্রধান সর্বাধিক ২১ (একুশ) দিন পর্যন্ত এবং ব্যতিক্রমী অবস্থায় ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত মঞ্জুর করিতে পারিবেন। সংগনিরােধজনিত কারণে এই সময়ের অতিরিক্ত ছুটির প্রয়ােজন হইলে, উহা সাধারণ ছুটি হিসাবে বিবেচিত হইবে। প্রয়ােজনে অন্য প্রকার ছুটির ধারাবাহিকতাক্রমে উপরােক্ত সর্বোচ্চ সীমা সাপেক্ষে সংগনিরােধ ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে। সংগনিরােধ ছুটি ভােগকারীর স্থলে অন্য কোন লােক পদায়ন করা যাইবে না। সংগনিরােধ ছুটি ভােগকারী কর্মচারী কর্ম হইতে অনুপস্থিত হিসাবে গণ্য হইবেন না এবং তাহার বেতনও বন্ধ হইবে না।

নােট: প্রয়ােগ নাই। বিশ্লেষণ: (১) গুটি বসন্ত, কলেরা, টাইফাস জ্বর, প্লেগ ও সেরিব্রোস্পাইনাল মেনেনজষ্টাটিস রােগের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে। (স্বাস্থ্য ও পরিবার মিল্পনা মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য শাখার স্মারক নং জনস্বাস্থ্য/১কিউ৪/৩৪২, তারিখ: ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৫।)

বিশ্লেষণ: (২) সরকারী কর্মচারী নিজের অসুস্থ্যতার ক্ষেত্র ব্যতীত পরিবারের বা তাঁহার বাড়ির অন্য কোন ব্যক্তি সংক্রামক রােগে আক্রান্ত হইলে সংগ নিরােধ ছুটি মঞ্জুর করা হয়। মেডিকেল সার্টিফিকেটের সুপারিশ সাপেক্ষে সাধারণভাবে ২১ (একুশ) দিন এবং ব্যতিক্রমী অবস্থায় ৩০ (ত্রিশ) দিন পর্যন্ত এই প্রকার ছুটি দেওয়া যায়।

ইহার অতিরিক্ত ছুটির প্রয়ােজন হইলে তাহা সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে। এই প্রকার ছুটিকাল কর্মরত হিসাবে গণ্য করা হয়। এই প্রকার। ছুটিকালে ছুটিকালীন বেতনের পরিবর্তে স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী বেতন ভাতাদি প্রাপ্য। আরও দেখুন: কোরেন্টাইনে (সংগনিরোধ- Quarantine Leave) ছুটির বিধি বিধান।

বিশ্লেষণ: (৩) এই প্রকার ছুটি “ছুটি হিসাব” এর জমা ছুটি হইতে বাদ যায় না এবং ছুটি প্রাপ্যতা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি কর্মকাল হিসাবে গণ্য হয়। যদি ৩০ দিন সংগনিরোধ ছুটিসহ আরও ছুটি মঞ্জুর করা হয় তবে ৩০ দিন ব্যতীত অন্য ব্রিজকৃত ছুটি হিসাবের অন্তর্ভূক্ত হইবে।

পরিবারের অসুখে কর্মচারী নিজে ৩০ দিন পর্যন্ত ছুটি ভোগ করবেন?

হ্যাঁ, পরিবারের অসুস্থতার কারণে সরকারি কর্মচারীরা ৩০ দিন পর্যন্ত সংগনিরোধ ছুটি (Quarantine Leave) নিতে পারেন। তবে, এই ছুটি পেতে হলে পরিবারের কোনো সদস্য সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে মর্মে ডাক্তারী সার্টিফিকেট এবং অফিস প্রধানের অনুমোদন প্রয়োজন। যদি কোনো সরকারি কর্মচারীর পরিবারের কোনো সদস্য গুটি বসন্ত, কলেরা, টাইফাস জ্বর, প্লেগ বা সেরিব্রোস্পাইনাল মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়, তাহলে কর্মচারী নিজে ২১ দিন পর্যন্ত ছুটি নিতে পারেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে এই ছুটি ৩০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুসারে. এই ছুটি মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অফিস প্রধান মঞ্জুর করতে পারেন। সংগনিরোধ ছুটির অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে, তা সাধারণ ছুটি হিসেবে গণনা করা হয়।

বিভিন্ন প্রকারের ছুটির মেয়াদের পরিমাণ ও বিশেষ তারতম্যসমূহ।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে পোস্টের নিচে কমেন্টে করুন অথবা alaminmia.tangail@gmail.com ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *