বাংলাদেশ সরকার প্রতি ১ টাকা মূল বেতনের অর্ধাংশের জন্য ২৩০ টাকা এককালীন পরিশোধ করে থাকে –অবসর ও পেনশন আইন দেখুন
সর্বনিম্ন কত বছরে পেনশন?– একজন চাকুরীজিবী সর্বনিম্ন ৫ বছর বৎসর চাকুরী করলে পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবে। তাই বলে ৫ বছর পরেই পেনশনে যেতে পারবেন বিষয়টি এমন নয়। ৫ বছর চাকরি করার পর অক্ষম হয়ে বা মারা গেলে পারিবারিক পেনশন প্রদান করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ১৪/১০/২০১৫ তারিখের স্মারক নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫-৮১ মোতাবেক।
অফিস সহায়ক এর পেনশন কত টাকা? একজন সরকারি অফিস সহায়ক এর পেনশন মূলত বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের জন্য আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী সরকারি অফিস সহায়কের পেনশন প্রতিমাসে ৮-৯ হাজার টাকা। পেনশন শুরুর পূর্বে ২০-২৫ লক্ষ টাকা এককালীন এবং জিপিএফ হতে ২-১৫ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন।
সরকারি চাকরিতে কত বছরে কত পাওয়া যায়? নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী পাঁচ বছর চাকরি করলেই পেনশন পাবেন সরকারি চাকুরেরা। এছাড়া অর্জিত ছুটি দিয়ে পিআরএলের সময়ও ১২ মাস এবং ১৮ মাসের লাম্পগ্র্যান্ট পান। কর্মচারীর বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হলেও পিআরএল শুরু হয়। তবে কেউ চাইলে ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ হলে স্বেচ্ছায় পেনশনে যেতে পারেন।
পেনশন হিসাব ক্যালকুলেটর । কত বছরে কত পেনশন । পেনশন হিসাব ২০২৪
অবসরভাতা বা পেনশন অর্থ এমন একটি তহবিল যেখানে কোনও কর্মীর চাকরিতে নিযুক্ত থাকাকালীন সময়ে কিছু সংখ্যক অর্থ আলাদা করে যোগ করা হয় এবং যেগুলি থেকে পর্যায়ক্রমিক আকারে ব্যক্তির অবসর গ্রহণের পরে সহায়তা প্রদানের জন্য অর্থগুলি প্রদান করা হয়।
Caption: Full Pension Rules Download
সরকারি পেনশন হিসাব করার নিয়ম ২০২৪ । ধরুন, আপনার শেষ Basic বা প্রত্যাশিত শেষ বেতন ২৮০০০/= টাকা। তাহলে
- লাম্পগ্র্যান্ট : শেষ Basic×১৮ হবে। মূল বেতনের ১৮ মাসের সমপরিমান। উদাহরণ: লাম্পগ্র্যান্ট, যা পেনশন/পিআরএল এর শুরুতে এককালীন পাবেন ২৮০০০ x ১৮=৫,০৪,০০০/=টাকা (তবে এটা নির্ভর করে ওই ব্যাক্তির ছুটি পাওনা থাকার উপর। যত মাস ছুটি পাওনা তাতো মাসের Basic একত্রে পাবেন, তবে সেটা সর্বোচ্চ ১৮ মাসের বেশি নয়।)
- গ্রাচুইটি হিসাব: যা পিআরএল (PRL) শেষ হলে এককালীন পাবেন। ধরুন পি আর এল শেষে ইনক্রিমেন্টসহ আপনার শেষ বেসিক ২৮০০০+১২০০ (ইনক্রিমেন্ট)=২৯,২০০ টাকা বা, শেষ মূল বেতন বা ইএলপিসি অনুসারে (বেসিক×৯০%)÷২=( )×২৩০ উদাহরণ: (২৯,২০০×৯০%)÷২=()×২৩০=( ) =(২৬২৮০÷২)×২৩০ =১৩১৪০×২৩০ =৩০,৩২,০০০/=টাকা। এখানে শেষ বেসিক এর সাথে পি আর এল এ থাকার সময়ের একটি ইনক্রিমেন্ট যোগ হবে এবং সেইভাবে হিসাব করতে হবে।
- পেনশন নির্ণয় সূত্র: (শেষ বেসিক x ৯০%)÷২ = ( )+১৫০০ (মাসিক চিকিৎসা ভাতা)
- উদাহরণ: (২৯,২০০×৯০%)÷২=()+১৫০০/=টাকা। =(২৬,২৮০÷২)=()+১৫০০/=টাকা। =১৩,১৪০+১৫০০/=টাকা
=১৪,৬৪০/= টাকা যা আপনি প্রতি মাসে চিকিৎসা ভাতাসহ পেনশন পাবেন, আর প্রতি বছর দুইটি উৎসব ভাতা ও পহেলা বৈশাখে ২০%হারে একবার ভাতা পাবেন। - প্রতিটি উৎসব ভাতা পাবেন আপনার মাসিক পেনশন এর সমান অর্থাৎ ১৩,১৪০/=টাকা হারে। আপনার বয়স ৬৫ বছর হলে চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ এর স্থলে প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা হারে পাবেন।
পেনশন ক্যালকুলেটর আছে কি?
হ্যাঁ। সরকারি পেনশন ক্যালকুলেটর একটি ওয়েব এপ্লিকেশন যা সরকারি কর্মচারীদের জন্য তাদের পেনশন পরিমাণ গণনা করে থাকে। এটি সরকারি কর্মচারীদের পেনশন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়বস্তু যেমন বয়স, সেবা বছর, মাসিক বেতন ইত্যাদি বিবেচনায় নেওয়া হয়। সরকারি পেনশন ক্যালকুলেটর একটি সহজ উপায় যা সরকারি কর্মচারীদের জন্য তাদের পেনশন পরিমাণ জানতে সহায়তা করে। বাংলাদেশে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য পেনশন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যেতে পারে পরিষেবা সংক্রান্ত সহযোগিতা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে। এছাড়াও, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়াও, এমন কিছু ওয়েবসাইট এবং এপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ক্যালকুলেটর হতে আপনি ক্যালকুলেশন করে নিন। ক্যালকুলেটর লিংক: https://www.cafopfm.gov.bd/calculator-pension.php