নিয়োগ । বদলি । পদোন্নতি । জ্যেষ্ঠতা

সরকারি শাস্তি হিসেবে বদলি ২০২৫ । স্বীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে গেলেই বদলি?

হ্যা, সরকারি কর্মচারীদের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তার সাথে দেখা করা বা যোগাযোগ করা নিয়ম বহির্ভূত। এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে এবং এর ফলস্বরূপ বদলি বা অন্য কোনো শাস্তি হতে পারে-তবে তদন্ত ছাড়া রাগের বশবর্তী হয়ে কর্তৃপক্ষ বদলি করতে পারে না-আদালত কর্তৃক অবৈধ বদলি স্থগিত করা যায়– সরকারি শাস্তি হিসেবে বদলি ২০২৫

সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার নিয়ম কি? সরকারি কর্মচারীর জন্য তার নিজ অফিসের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো সরকারি কর্মকর্তার সাথে দেখা করা বা যোগাযোগ করা নিয়ম বহির্ভূত। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে সরকারি কর্মচারীকে বিভিন্ন প্রকার শাস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে, যেমন- বদলি, বেতন বৃদ্ধি বন্ধ, পদাবনতি বা এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করাও হতে পারে।

অন্যান্য নিয়ম কি? সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট আচরণবিধি রয়েছে, যা তাদের কাজের সময় অনুসরণ করতে হয়। এই আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। বদলি: বদলি সাধারণত সরকারি কর্মচারীদের কাজের সুবিধার জন্য বা কোনো বিশেষ কারণে করা হয়। তবে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তার সাথে দেখা করা বা যোগাযোগ করা সরকারি কর্মচারীর জন্য বদলির একটি কারণ হতে পারে। কাজের উপর প্রভাব: কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তার সাথে দেখা করলে বা যোগাযোগ করলে সরকারি কর্মচারীর কাজের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এটি তার কর্মক্ষমতা ও কর্মপরিবেশকে negatively প্রভাবিত করতে পারে। সুতরাং, সরকারি কর্মচারীদের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তার সাথে দেখা করা বা যোগাযোগ করা উচিত নয়। এটি নিয়ম বহির্ভূত এবং এর ফলস্বরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

সরকারি ৪র্থ শ্রেণীর চাকরি কি? সরকারি ৪র্থ শ্রেণীর চাকরি বলতে সাধারণত সরকারি বিভিন্ন দফতর বা সংস্থায় কিছু নির্দিষ্ট পদের কথা বোঝানো হয়। এই পদগুলো সাধারণত বেতনের গ্রেড ১৭ থেকে ২০ এর মধ্যে হয়ে থাকে, যেমন “দপ্তরী, জমাদার, পিয়ন, চৌকিদার এবং ঝাড়ুদার”। সরকারি ৪র্থ শ্রেণীর চাকরি বলতে দপ্তরী, জমাদার, পিয়ন, চৌকিদার, ঝাড়ুদার, অফিস সহায়ক, স্টোর কিপার, হিসাবরক্ষক ইত্যাদি পদের কথা বোঝানো হয়।

এই চাকরির জন্য যোগ্যতা কি লাগে? এই চাকরিগুলোর জন্য সাধারণত অষ্টম শ্রেণী বা এর সমমান যোগ্যতা লাগে। সরকারি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বেতন গ্রেড ১৭ থেকে ২০ এর মধ্যে হয়ে থাকে, যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। এই পদগুলোতে নিয়োগ সাধারণত সরাসরি অথবা পরীক্ষার মাধ্যমে হয়ে থাকে। সরকারি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বিভিন্ন দফতর বা সংস্থায় অফিসের কাজকর্ম, নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি কাজ করতে হয়। এই চাকরিগুলো সরকারি চাকরি হিসেবে পরিচিত, যা বিভিন্ন সরকারি দফতর ও সংস্থায় বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য প্রয়োজন হয়।

সরকারি বদলি কি স্থগিত করা যায়? / প্রশাসনের হাতে বদলির ক্ষমতা থাকলেও প্রশাসন এই ক্ষমতা বিদ্বেষপ্রসূত ভাবে ব্যবহার করতে পারে না। প্রশাসনকে নিয়মকানুন মেনেই বদলি করতে হবে অন্যথায় তা আদালত কর্তৃক স্থগিত হয়ে যাবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়মবহির্ভূত বদলি এবং করণীয় কি? সরকারি চাকরিজীবীদের বদলি একটি সাধারণ ঘটনা এবং সরকারি চাকরিজীবীদের বদলি প্রশাসনিক এখতিয়ারের অধীন। তারপরও আদালত অনেক সময় সরকারের বদলিজনিত অনেক আদেশ কে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ রাখে। 

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ পিডিএফ

সরকারি বদলি নীতিমালা ২০২৫ । সরকারি কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা বিভিন্ন সময়ে সরকার কর্তৃক প্রকাশিত হয়। সাধারণত, বদলির ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পরিপত্র ও বিধিমালা অনুসরণ করা হয়।

  1. সুষ্ঠু জনবল ব্যবস্থাপনা: বদলির মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জনবল ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করা যায়।
  2. কর্মস্থল নির্ধারণ: কর্মচারীদের কর্মস্থল নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্তাবলী ও অগ্রাধিকার বিবেচনা করা হয়।
  3. বদলি/পদায়ন: সরকারি কর্মচারীদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলি বা পদায়ন করা হয়, যা তাদের কর্মজীবনে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে সাহায্য করে।
  4. বিশেষ ক্ষেত্রে বদলি: কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন- সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ১১(২) অনুযায়ী, সুষ্ঠু জনবল ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের অনুমোদনক্রমে বদলি করা যেতে পারে।
  5. বদলি নীতিমালা: সরকারি কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়, যা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  6. বিশেষভাবে, সরকারি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত একটি নীতিমালা রয়েছে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত। এই নীতিমালায় শিক্ষক ও কর্মচারীদের বদলি/পদায়নের ক্ষেত্রে বিস্তারিত নিয়ম-কানুন উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, সরকারি কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক যেমন: প্রেষণে নিয়োগ, বদলির সাধারণ শর্তাবলী, বদলির মেয়াদ ইত্যাদি বিষয়েও বিভিন্ন নীতিমালা ও নিয়ম-কানুন রয়েছে।

সরকারি শাস্তি হিসেবে বদলি করা যায় কি?

সরকারি কর্মচারী হিসাবে বদলিকে শাস্তি হিসেবে গণ্য করা হয় না, বরং এটি একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত. সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বদলিকে শাস্তি হিসেবে গণ্য করার সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেছেন. এটি সাধারণত প্রশাসনিক প্রয়োজন, জনস্বার্থ বা কর্মপরিবেশের উন্নতি নিশ্চিত করার জন্য করা হয়ে থাকে। কোনো নির্দিষ্ট কর্মীর প্রয়োজন অনুযায়ী বা কোনো কাজের জন্য উপযুক্ত কর্মী প্রয়োজন হলে বদলি করা হয়। জনস্বার্থের জন্য যদি কোনো কর্মীর বদলি করা প্রয়োজন হয়, তাহলে তা করা হতে পারে। কর্মপরিবেশের উন্নতি এবং কর্মীদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতেও বদলি করা হতে পারে। যদিও বদলিকে সাধারণত শাস্তি হিসেবে গণ্য করা হয় না, তবে কোনো কর্মচারী যদি কোনো গুরুতর কাজের জন্য দায়ী থাকে, তাহলে তাকে অন্য কোনো স্থানে বদলি করা হতে পারে। তবে, যদি বদলিকে শাস্তি হিসেবে গণ্য করা হয়, তাহলে তা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।

অবৈধভাবে বদলি করা যায় কি? “সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বদলির আদেশ জারি প্রসঙ্গে।

(ক)বদলির আদেশ জারি করিবার পূর্বেই সবদিক বিবেচনা করিয়া দেখিতে হইবে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হইবে এবং তুচ্ছ কারণে বদলি পরিহার করিতে হইবে।

(খ) বদলির আদেশ বদলিকৃত কর্মকর্তা কবে পুরাতন কর্মস্থল ত্যাগ করিয়া নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করিতে হইবে।”

*প্রশাসন অন্য কোন অফিসারকে accomodate করার জন্য কাউকে বদলি করতে পারেনা।
*অন্যায় করলে তদন্ত হবে, শাস্তি হবে ।বদলী শাস্তি নয় ।শাস্তি হিসেবে বদলি করা যায় না।

*একজন সৎ কর্মকর্তাকে অযথা বদলি করা যায় না অযথা বদলি অবৈধ।

*অবসরের বছরে বদলি করা যায় না।
উপরোক্ত কারণসমূহের কোন একটি যদি বদলিজনিত আদেশে থাকে তাহলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল কিংবা হাইকোর্ট ডিভিশনে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রতিকার পেতে পারে।
 
   

সরকারি ট্রান্সফার বা বদলির নিয়ম ২০২৫ । কর্মচারীদের ০৩ বছর পর পর কি বদলি করতেই হবে?

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *