চলতি মাস হতেই প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে – অনলাইন বদলি নীতিমালা কার্যকর হচ্ছে এ মাসেই – প্রাথমিক শিক্ষক বদলি নীতিমালা ২০২২

সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২২ – সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে এবং পদ শূন্য থাকলে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে। তবে, উক্ত ২ (দুই) বছরের মধ্যে একই উপজেলা/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি করা যাবে। এছাড়াও, যে কোন বদলির পর ৩ (তিন) বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনাে শিক্ষক পুন:বদলির জন্য বিবেচিত হবেন না। অনলাইন আবেদন লিংক: http://myschool.eis.dpe.gov.bd/

আচরণবিধি লংঘন বা শৃঙ্খলাজনিত কারণে প্রশাসনিক বদলি করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালক প্রশাসনিক বদলির জন্য মহাপরিচালক বরাবর সুপারিশ প্রেরণ করবেন।প্রশাসনিক কারণে বদলি হওয়ার ৩ (তিন) বছরের মধ্যে কোনাে শিক্ষক পুনঃবদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

৬ষ্ঠ থেকে তদুর্ধ গ্রেডের কর্মচারীর বদলির ক্ষেত্রে সিনিয়র সচিব/সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ৯ম ও ১০ম গ্রেডের (মূল গ্রেড) কর্মচারীর বদলির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক এবং ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর আন্তঃবিভাগ বদলির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক, আন্তঃজেলা বদলির ক্ষেত্রে বিভাগীয় উপপরিচালক এবং আন্তঃউপজেলা/থানা বদলির ক্ষেত্রে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার/সুপারিনটেনডেন্ট স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে বদলির আদেশ জারি করবেন।

অনলাইনে স্বেচ্ছায় আবেদন গ্রহণ করা হবে / ৩ বছর অন্তর অন্তর বাধ্যতামূলক বদলি কার্যকর হবে

আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বদলি করা যাবে। জনস্বার্থে/প্রশাসনিক কারণে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর যে কোন সময় যে কোন কর্মচারীকে বদলি করতে পারবে।

সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২২ । অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির সর্বশেষ খবর

সহকারী শিক্ষক বদলির সাধারণ শর্তাবলি ২০২২

  1. সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির মেয়াদ ন্যূনতম ২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে এবং পদ শূন্য থাকলে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগ বদলি করা যাবে। তবে, উক্ত ২ (দুই) বছরের মধ্যে একই উপজেলা/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি করা যাবে। এছাড়াও, যে কোন বদলির পর ৩ (তিন) বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনাে শিক্ষক পুন:বদলির জন্য বিবেচিত হবেন না;
  2. প্রধান শিক্ষক বা কোন সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হলে, উক্ত পদে তার চাকরির মেয়াদ ২ (দুই) বছর পূর্ণ হলে, পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা এবং আন্তঃবিভাবলি করা যাবে। তবে, উক্ত ২ (দুই) বছরের মধ্যে একই উপজেলা/থানায় পদ শূন্য হলে বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রেও বদলির পর ৩ (তিন) বছর অতিক্রান্ত না হলে কোনাে শিক্ষক পুনঃবদলির জন্য বিবেচিত হবেন;
  3. যে সকল বিদ্যালয়ে ৪ (চার) জন বা তার কম সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত আছেন কিংবা শিক্ষক ছাত্র অনুপাত ১:৪০ এর বেশি রয়েছে, সে সকল বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে শিক্ষক বদলি করা যাবে না;
  4. নদী ভাঙ্গন/ অন্য কোনাে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনাে শিক্ষকের বসতভিটা বিলীন হওয়ার ফলে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তিত হলে বা কোনাে উপজেলা/থানা/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনিক পুনর্গঠনের কারণে কোনাে শিক্ষকের স্থায়ী ঠিকানা এবং কর্মস্থলের ঠিকানা পরিবর্তিত হয়ে দুটো ভিন্ন উপজেলা/থানা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হলে উক্ত শিক্ষককে নিজ স্থায়ী ঠিকানায় বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র, স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল ও খতিয়ান, বাড়ির হেন্ডিং নম্বর (সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য), ভূমি উন্নয়ন কর পরিশােধের রশিদ, পৌর/ ইউনিয়ন পরিষদ কর পরিশােধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে;
  5. উপজেলা/থানায় কোনাে পদ শূন্য হলে প্রথমত: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থীগণ যারা নিজ উপজেলা/থানায় শুন্যপদ থাকায় অন্য উপজেলা/থানায় নিয়ােগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, দ্বিতীয়ত: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার অধিবাসী প্রার্থীগণ সেই পদে বদলির জন্য অগ্রাধিকার পাবেন। তবে, একাধিক পদ শূন্য থাকলে অন্য উপজেলা/থানা/জেলা/বিভাগের শিক্ষকগণও একইভাবে বদলির জন্য বিবেচিত হতে পারবেন। তবে আন্ত:উপজেলা/থানা, আন্ত:জেলা কিংবা আন্ত: বিভাগ বদলির ক্ষেত্র বদলিকৃত শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সর্বশেষ পরিপনীতিমালা দ্বারা নির্ধারিত হবে;
  6. উপজেলা বা থানার মধ্যে একই পদে একাধিক আগ্রহী প্রার্থী থাকলে তাদের মধ্যে যথাক্রমে দূরত্ব, লিঙ্গ, চাকরির জ্যেষ্ঠতা, প্রতিবন্ধিতা, বিবাহ, স্বামীর মৃত্যু/বিবাহ বিচ্ছেদ এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে;
  7. উপজেলার মােট পদের সর্বাধিক ১০% পদে সংশ্লিষ্ট উপজেলার বাইরে থেকে উপযুক্ত শিক্ষক পদ শূন্য সাপেক্ষে বদলি করা যাবে;
  8. চাকরি লাভের পূর্বে এবং চাকরি লাভের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এমন শিক্ষক স্বামী স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলী হতে ইচ্ছুক হলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শূন্য পদের বিপরীতে বদলি করা যাবে। এ ধরণের বদলির ক্ষেত্রে বিবাহের সময় স্বামী/স্ত্রীর যে স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে ঐ ঠিকানায় বদলির ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ ৩.৭ এ বর্ণিত ১০% পুরনের শর্তটি প্রযোজ্য হবে না। এরুপ বদলির ক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে বিয়ের কাবিন নামপ্রত্যয়ন পত্র, সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রত্যয়ন পত্র, স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল, খতিয়ান এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশােধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে। তবে এ সুযােগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বার গ্রহণ করতে পারবেন। তবে, চাকুরীর বিজ্ঞপ্তির পূর্বে বিবাহ হয়ে থাকলে শিক্ষক স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির ক্ষেত্রে ১০% কোটা পূরণের শর্তের আওতায় আসবেন;
  9. বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষক তাঁর স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানায় বদলি হতে পারবে। এবং বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষক পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে স্বামীর স্বামী/বর্তমান ঠিকানায় বদলি হতে ইচ্ছা পােষন করলে কাবিননামা/প্রত্যয়ন সহ লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে পদশনা থাকা স্বাপেক্ষে বদলি করা যাবে। এরুপ বদলির ক্ষেত্রে নিজের স্থায়ী বর্তমান ঠিকানা স্বাপেক্ষে এবং স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর প্রত্যয়ন পত্র, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল ও খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশােধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে;
  10. বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষককে তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে পিতা/তার স্থায়ী ঠিকানায় অথবা তীর বর্তমান স্থায়ী ঠিকানায় বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রে পিতার বা তার বর্তমান স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর প্রত্যয়ন পত্র, পিতার স্থায়ী ঠিকানার জমির দলিল, খতিয়ান, এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশােধের রশিদসহ আবেদন করতে হবে; তবে এ সুযােগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বার গ্রহণ করতে পারবেন;
  11. কোন শিক্ষকের স্ত্রী বা স্বামী সরকারি/আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে তাঁকে স্ত্রী বা স্বামীর কর্মস্থলে বদলির সুযােগ দেয়া যেতে পারে। তবে এ সুযােগ তাঁরা সমগ্র চাকরিকালে সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বার গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু ৩.৮ নং উপানুচেছদের আওতায় স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির সুযোগ গ্রহণকারী এ উপানুচ্ছেদের আওতায় বদলির সুযােগ পাবেন না;

শিক্ষক বদলির আবেদন কোন লিংক হতে করা যাবে?

অনলাইন বদলির আবেদন প্রক্রিয়া ২০২২ – ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত শিক্ষকরা বদলির আবেদন (http://www.dpe.gov.bd) করতে পারবেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রথম পেইজে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগ ইন করতে হবে। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের ধাপ- ব্যবহারকারীর ধরন- এখনে আপনাকে পদবী যেমন : সহকারী শিক্ষক/প্রধান শিক্ষক/সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা শিক্ষা অফিসার/জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার/বিভাগীয় উপপরিচালক/মহাপরিচালক করেতে হবে। শিক্ষক পিন নম্বর (ই-প্রাইমারি থেকে প্রাপ্ত অথবা মোবাইল নম্বর (ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেমে ব্যবহৃত) তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিয়ে “লগইন করুন” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে।

সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২ : ডাউনলোড

সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২২ । অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির সর্বশেষ খবর

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

admin has 2993 posts and counting. See all posts by admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *