সরকারি প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে ঠিক কত টাকা আয়কর ও ভ্যাট কর্তন করবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে– উৎসে কর বিধিমালা ২০২৩ pdf
সকল ক্ষেত্রে কি আয়কর ৩% কাটতে হয়? না। ঠিকাদার, ইত্যাদির পরিশোধের বিপরীতে উৎসে আয়কর কর্তনের দফা (খ) এর সাপেক্ষে, ধারা ৮৯ এর অধীন আয়কর কর্তন করে বিল পরিশোধ করতে হয়। যেইক্ষেত্রে ভিত্তি মূল্যের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকার অধিক নহে ৩% উৎসে কর কর্তন করিতে হইবে। যেইক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ২ কোটি টাকার অধিক নহে সেই ক্ষেত্রে ৫% কর কাটিতে হইবে। যে ক্ষেত্রে ২ কোটি টাকার বেশি ৭% উৎসে কর কাটিতে হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, সিগারেট, বিড়ি জর্দা, তামাক পাতা গুলসহ যে কোন ধরনের তামাকজাত পন্য সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ১০% কর্তন করিতে হইবে। এছাড়াও পেট্রোলিয়াম তেল এবং লুব্রিকেন্ট বিপণনে নিযুক্ত তেল বিপণন কোম্পানি কর্তৃক তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ০.৬% আয়কর কর্তন করিতে হইবে।
সেবার ক্ষেত্রে উৎসে কর কত পারসেন্ট কর্তন করতে হইবে? উপদেষ্টা বা পরামর্শ, টেকনিক্যাল সার্ভিস, ক্যাটারিং, ক্লিনিং, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদি ক্ষেত্রে ১০% কর্তন করা হবে। পরিবহন সেবা, গাড়ি ভাড়ার উপর ৫% কর্তন করতে হবে। ইন্টারনেট এর ক্ষেত্রে ১০% কর্তন করিতে হইবে।
ভ্যাট কর্তনের হার ২০২৩-২০২৪ pdf । আয়কর ও ভ্যাট কর্তনের তালিকা ২০২৩-২০২৪
সাধারণত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, লিমিটেড কোম্পানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট কর্তন করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে আবার ভ্যাট কর্তন করতে হয় না যে, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি। উল্লেখিত বা তালিকা ভূক্ত ক্ষেত্রে বা খাত যদি খুজে না পান তবে ১৫% হারে অর্থাৎ বিধি রেট প্রযোজ্য হইবে।উৎসে কর বিধিমালা ২০২৩ pdf ডাউনলোড
জমি রেজিস্ট্রি উৎসে কর হার ২০২৩ । ঢাকার কোথায় উৎসে কর কত?
- গুলশান, বনানী- ৮% অথবা কাঠা প্রতি ৫ লক্ষ হতে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত।
- ধানমন্ডী, রমনা-জমি মূল্যের ৮% অথবা কাঠা প্রতি ৩-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- খিলক্ষেত, শ্যামপুর-জমি মূল্যের ৮% অথবা কাঠা প্রতি ১.৫-৫.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- উত্তরা, গাজীপুর-জমি মূল্যের ৮% অথবা কাঠা প্রতি ১-৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- চট্টগ্রাম, পাহাড়তলী- জমি মূল্যের ৬% অথবা কাঠা প্রতি ৮০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- ধামরাই, সদরঘাট- জমি মূল্যের ৬% অথবা কাঠা প্রতি ৫০ হাজার হতে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- চট্টগ্রাম ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন- জমি মূল্যের ৪% প্রযোজ্য।
- অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ৩% প্রযোজ্য হইবে।
- উপজেলার ক্ষেত্রে ২% প্রযোজ্য হইবে।
ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করতেও কি কর দিতে হয়?
অবশ্যই। প্রতি স্কয়ারফিট ৬৫০০ -১৬০০ টাকা ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে। ঢাকা চট্টগ্রামে উল্লেখিত এলাকা ব্যতীয় অন্যান্য এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা হতে ১০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি বর্গ মিটারে উৎসে কর দিতে হবে। মুসলিম আইনের বিধান এবং রেজিট্রেশন এ্যাক্ট অনুযায়ী হেবা/দানসূত্রে রেজিষ্টিকৃত দলিলের ভিত্তিতে রেজিট্রেশন/ নামজারীকার্যকম সম্পন্ন হয়- স্বামী-স্ত্রী ও পুত্র-কন্যা সম্পর্কের ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারগণ্যে নির্ধারিত ফি গুন্দান সাপেক্ষে রেজিস্ট্রি কার্যক্রম সম্পদের পর সংশিষ্ট এমই’র দপ্তরে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। উক্ত সম্পর্ক ব্যতিত অন্যান্য সম্পর্কের মধ্যে টোকেন মূল্যে রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে হেবা/দানমূলে প্লট/ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষের সভাপতিত্বে কমিটির মাধ্যমে কেস টু কেস ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিবেন।
সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নাকি কর বাড়ছে?
হ্যাঁ। ঢাকা সিটি, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও সিডিএ এভিনিউ, নরায়ন গঞ্জ, ঢাকার উত্তরা এর ক্ষেত্রে ৮% করা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬- ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। ঢাকা গুলশান বনানীতে খরচ কত? ঢাকা জেলার গুলশান, বনানী, মতিঝিল ও তেজগাঁও থানার অন্তর্গত সকল মৌজায় ক শ্রেণীর জমির কর হার ভূমি মূল্যের ৮% অথবা কাঠাপ্রতি ১৫ লক্ষ টাকা পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে যা পূর্বে ছিল কাঠা প্রতি ২০ লক্ষ টাকা। ঙ শ্রেণীর জমির ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি ৫ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছে। ঢাকা জেলার খিলক্ষেত এলাকায় এপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে কত টাকা? ঢাকা জেলার খিলক্ষেত, কাফরুল, মোহাম্মদপুর, সুত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা মডেল থানা, ক্যান্টনমেন্ট থানা, চকবাজার থানা, কোতোয়ালি থানা, লালবাগ থানা, খিলগাঁও, শ্যামপুর, গেন্ডারিয়া থানার অন্তর্গত সকল মৌজার আবাসিক ভবন বা অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে ১৪০০ টাকা প্রতি বর্গ মিটারের ক্ষেত্রে কর পরিশোধ করতে হবে। ঢাকা বা শহর ছাড়া অন্য জেলার ক্ষেত্রে কর কেমন? দেশের অন্য যে কোন জেলার ক্ষেত্রে দলিলে উল্লিখিত ভূমির মূল্যের ৩% কর দিতে হবে। এটি পূর্বেও কার্যকর ছিল তবে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী এবং চট্টগ্রাম জেলার ক্ষেত্রে ৫% কর প্রযোজ্য হইবে।