বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এমপিও নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়-এক্ষেত্রে পদোন্নতিও এই বিধিমালার আলোকেই হয়ে থাকে – এমপিও নীতিমালা ২০২১
শিক্ষকতার বিষয় নির্ধারণ- শিক্ষকমন্ডলীকে তাঁদের মূল বিষয় ছাড়াও প্রয়োজনে অন্যান্য বিষয়ে পাঠদান করতে হবে। শিক্ষকদের ক্লাস/পিরিয়ড বিষয়ভিত্তিক ক্লাসের চাহিদানুযায়ী নিরূপিত হবে। তাছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতি শিক্ষকের ন্যূনতম অপর ২টি বিষয়ে ক্লাস নেয়ার দক্ষতা থাকতে হবে। উচ্চতর স্তরের শিক্ষকদের প্রয়োজনে নিম্ন শ্রেণিসমূহের ক্লাস নিতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষককে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত ও অবশ্য অনুকরণীয় সহ-পাঠ্যক্রমিক বিষয়ের ন্যূনতম একটি বিষয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ নীতিমালা জারির পূর্বে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাঁরা ‘সহকারী অধ্যাপক’ হিসেবে কর্মরত আছেন তাঁদের পদবি পূর্বের মতো ‘সহকারী অধ্যাপক’ হিসেবে বহাল থাকবে। তবে এই নীতিমালা জারির পরে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রভাষকগণ বিধিমোতাবেক পদোন্নতি পেয়ে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ হবেন। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুনভাবে আর ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদবি থাকবে না।
এ নীতিমালা জারির পূর্বে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাঁরা ‘সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার’ হিসেবে কর্মরত আছেন তাঁদের পদবি ‘সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)’ হিসেবে পরিবর্তিত হবে। তবে তাঁদের বেতন-ভাতাদি, সুযোগ-সুবিধা ও বেতন স্কেল পূর্বের মতো বহাল থাকবে।
বেসরকারি স্কুল কলেজের নিয়োগ বিধিমালা ২০২১ / বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতি ২০২১
স্কুল কলেজের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর অনুচ্ছেদ ১১.৫
স্কুল কলেজের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ সংগ্রহ করুন: ডাউনলোড
প্রতিষ্ঠানে শিফট/ব্রাঞ্চ খোলার শর্তাবলী (শুধুমাত্র মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়)
- প্রতিষ্ঠানের শিফটের শর্তাবলী: যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিফট বিদ্যমান আছে সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিসমূহের মধ্যে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) জন বা এর অধিক হলে শিফট বিদ্যমান থাকবে এবং শিফটের বিপরীতে নিয়োজিত শিক্ষক/কর্মচারীদের এম.পি.ও. চলমান থাকবে।
- এ নীতিমালা জারির পর বাস্তবতার নিরিখে উপযুক্ততা থাকলে চাহিদার ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অনুমতিক্রমে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন করে ২য় শিফট খোলা যাবে। এ ক্ষেত্রে ২য় শিফট এম.পি.ও. করার জন্য আলাদা আলাদা শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, পাশের হার ইত্যাদি পৃথক পৃথক বিবেচনা করতে হবে এবং কোনভাবেই প্রভাতী শিফটের শিক্ষার্থী/পরীক্ষার্থী/ফলাফলকে দিবা শিফটে কিংবা দিবা শিফটের শিক্ষার্থী/পরীক্ষার্থী/ফলাফলকে প্রভাতী শিফটে দেখানো যাবে না।
- শিফটের ক্ষেত্রে এম.পি.ও. কোড আলাদা হবে যেখানে শিফটের নাম (প্রভাতী/দিবা) উল্লেখ থাকবে। তবে প্রতিষ্ঠানের EIIN নম্বর হবে একটা যা ব্যানবেইস এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ড উল্লেখপূর্বক নিশ্চিত করবে।
- ব্রাঞ্চ খোলার শর্তাবলী: এ নীতিমালা জারির পর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার অনুমোদিত মূল ক্যাম্পাস ব্যতীত অন্য কোথাও ব্রাঞ্চ খুলতে পারবে না। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় চাহিদা, উপযুক্ততা এবং প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ানভুক্ত ও নামজারিকৃত নিজস্ব জমি থাকলে ঐ জমিতে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ব্রাঞ্চ খোলার বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিবেচনা করতে পারবে।
- পদ সমন্বিতকরণ- বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ নীতিমালায় বর্ণিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবে।
- এ জনবলকাঠামো অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীর প্রাপ্যতা নির্ধারণের পর কোনো প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা যদি প্রাপ্যতার অতিরিক্ত হয় তবে অতিরিক্ত পদসমূহ উদ্বৃত্ত পদ বলে বিবেচিত হবে।
প্রতি বিভাগে কতজন শিক্ষার্থী থাকতে হবে?
স্নাতক (পাস) ১ম বর্ষে মানবিক/বিজ্ঞান/ব্যবসায় শিক্ষা খোলার জন্য শহরে প্রতি বিভাগে প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম ৪০ (চল্লিশ) জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্নাতক (পাস) ১ম বর্ষে মানবিক/ব্যবসায় শিক্ষা খোলার জন্য মফস্বলে প্রতি বিভাগে প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম ৩০ (ত্রিশ) জন এবং বিজ্ঞান বিভাগে প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম ২৫ (পঁচিশ) জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্নাতক (পাস) পর্যায়ে সাধারণত প্রতি বিভাগে তিনটি বিষয় (Subject) থাকবে, তবে ৪র্থ বা ততোধিক ঐচ্ছিক বিষয় খুলতে হলে ঐ বিষয়ে ১ম বর্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে ৪০ (চল্লিশ) জন হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ন্যূনতম ১০০ (একশত) জন থাকতে হবে। প্রভাষকদের এম.পি.ও. প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা শহরে (সিটি কর্পোরেশন ও জেলা সদরের পৌরসভা) স্নাতক স্তরে তিন বর্ষ মিলে ন্যূনতম ৭৫ জন এবং মফস্বলে ৬০ জন থাকতে হবে।