ওয়েজ আর্নার্স স্কিম ১৯৭৪ সালে প্রবর্তিত হয়। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অর্জিত আয় সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রেরণে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে স্কিমটি চালু করা হয়। এ সময় বৈদেশিক মুদ্রা মজুত থাকার কারণে আমদানিকারকদের অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রার ছাড় হ্রাস পায়, যার ফলে স্কিমটি কার্যকারিতা অর্জন করে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমজীবীদের প্রেরিত অর্থ খোলাবাজার বিনিময় হারের কাছাকাছি হারে বিনিময়ের লক্ষ্যে স্কিমটি চালু করা হয়।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাঁদের বিদেশে অর্জিত আয় থেকে বৈদিশিক মুদ্রা স্বদেশে প্রেরণ করে বাংলাদেশ টাকায় ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে পাঁচ বছর মেয়াদী বিনিয়োগ করতে পারেন। ১০০০, ৫০০০, ১০০০০, ২৫০০০, ৫০০০০ ও ১০০০০০ টাকা মূল্যমানে এই বন্ড ক্রয় করা যেতে পারে। পুনঃ নবায়নযােগ্য এই বন্ডের উপর আকর্ষণীয় হারে টাকায় মুনাফা অর্জিত হয়, বর্তমান হার বার্ষিক ১২% (১৪/১১/২০০০ তারিখে), মূনাফার অর্থ বাংলাদেশে ব্যবহার্য । মেয়াদপূর্তির আগে বন্ড ভাঙ্গানাে হলে হ্রাসকৃত হারে মুনাফা প্রযােজ্য হয়। পঁচিশ হাজার টাকা বা ততােধিক মূল্যের ওয়েজ আনার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের সঙ্গে অতিরিক্ত কোন ব্যয় ব্যতিরেকে মৃত্যু ঝুঁকি বীমার সুবিধা রয়েছে। বিনিয়ােগের আসলের অর্থ বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রায় অবাধ প্রত্যাবাসনযােগ্য। বন্ডের উপর অর্জিত সুদ বাংলাদেশে করমুক্ত। বিনিময় হার ঝুঁকি সত্বেও উচ্চ মুনাফা হারের কারনে এবং মৃত্যু ঝুঁকি বীমা সুবিধার কারনে ওয়েজ আনার্স বন্ডে বিনিয়ােগ বন্ডধারীর জন্য লাভজনক ও স্বার্থানুকূল দাড়ায় । ওয়েজ আনার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সঞ্চয় বিভাগ, বিদেশে কার্যরত বাংলাদেশী ব্যাংকের শাখা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসগুলাের সঙ্গে যােগাযােগ করা যেতে পারে।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড- ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড (প্রবর্তন। ১৯৮১ খ্রিঃ)
মূল্যমানঃ ২৫,০০০ টাকা; ৫০,০০০ টাকা; ১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫, ০০,০০০ টাকা;১০,০০,০০০ এবং ৫০,০০,০০০ টাকা
কোথায় পাওয়া যায়ঃ বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের তফসিলী ব্যাংকের শাখা,এক্সচেঞ্জ হাউস,এক্সচেঞ্জ কোম্পানী,যে কোন তফশিলী ব্যাংকের অথরাইজড ডিলার (AD) শাখা হতে ক্রয় করা যায়।
মেয়াদঃ ৫ (পাঁচ) বছর।
মুনাফার হারঃ ১২.০০ %
ক্রমিক নং | সঞ্চয় স্কিমের নাম | মেয়াদ (উত্তীর্ণ হইলে) | বিদ্যমান মুনাফার হার | ক্রমিক ১-৯ এ বর্ণিত সকল সঞ্চয় স্কিমে ক্রমপুঞ্জীভূত বিনিয়োগের পরিমাণ: | |||
১৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত | ১৫,০০,০০১ টাকা হতে ৩০,০০,০০০ | ৩০,০০,০০১ টাকা হতে ৫০,০০,০০০ | ৫০,০০,০০১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব | ||||
পুনঃনির্ধারিত মুনাফার হার (%) | |||||||
07
| ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড | ৬-মাস পর, কিন্তু ১২ মাসের পূর্বে | ৮.৭০ | ৮.৭০ | ৭.৯৮ | ৭.২৫ | ৬.৫৩ |
১২-মাস পর, কিন্তু ১৮ মাসের পূর্বে | ৯.৪৫ | ৯.৪৫ | ৮.৬৬ | ৭.৮৮ | ৭.০৯ | ||
১৮-মাস পর, কিন্তু ২৪ মাসের পূর্বে | ১০.২০ | ১০.২০ | ৯.৩৫ | ৮.৫০ | ৭.৬৫ | ||
২৪-মাস পর, কিন্তু ৬০ মাসের পূর্বে | ১১.২০ | ১১.২০ | ১০.২৭ | ৯.৩৩ | ৮.৪০ | ||
মেয়াদান্তে | ১২.০০ | ১২.০০ | ১১.০০ | ১০.০০ | ৯.০০ |
যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ
(ক) বৈধ ওয়েজ আর্নার নিজে বা আবেদনপত্রে উল্লিখিত ব্যক্তি বা বাংলাদেশে তার বেনিফিসিয়ারীর নামে বাংলাদেশী টাকা/ বৈদেশিক মুদ্রায় ক্রয় করা যায়।
(খ) বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ক্রয় করতে পারে।
ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমা: 01 (এক) কোটি টাকা।
অন্যান্য সুবিধাঃ
(ক) ৪০% থেকে ৫০% পর্যন্ত মৃত্যু-ঝুঁকির সুবিধা রয়েছে;
(খ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাধিক মেয়াদের জন্য পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা প্রদেয়;
(গ) ষান্মাসিকভিত্তিতে মুনাফা প্রদেয়;
(ঘ) বন্ডের বিপরীতে ঋণ গ্রহণের সুবিধা রয়েছে;
(ঙ) নমিনী নিয়োগ করা যায় / পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়;
(চ) হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যুর সুযোগ রয়েছে;
(ছ)এফসি একাউন্ট থাকার কোন বাধ্যবাধকতা নেই;
(জ) এ বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ ও অর্জিত মুনাফা আয়কর মুক্ত;
ওয়েজ আর্নার স্কিম কি? এটি কারা কিনতে পারেন: ডাউনলোড