পি.পি.আর, ২০০৮ এর যে বিধিতে এই সংক্রান্ত বিধান বর্ণিত আছে তাহা নিম্নরূপ : বিধি-৭৪। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি।
(১) ক্রয়কারী দরপত্র প্রক্রিয়া বা অন্য কোনাে ক্রয় পদ্ধতি প্রয়ােগ ব্যতীত, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়ােগ করিয়া একটি উৎস হইতে পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা, বা কার্য ও ভৌত সেবা ক্রয় করিতে পারিবে, তবে কোনাে অবস্থাতেই অবাধ প্রতিযােগিতা এড়াইবার বা কোনাে নির্দিষ্ট ব্যক্তি, সরবরাহকারী ও ঠিকাদারের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি বা আনুকূল্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি প্রয়ােগ করা যাইবে না।
(২) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অবাধ প্রতিযােগিতার সুফল পাওয়া যায় না যা স্বচ্ছতার অভাব থাকে বা অগ্রহযােগ্য এবং প্রতারণামূলক তৎপরতাকে উৎসাহিত করা হইতে পারে বিধায় ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান এই পদ্ধতির প্রয়ােগ কঠোভাবে নিয়ন্ত্রণ করিবেন।
(৩) এই বিধিমালায় বর্ণিত পরিস্থিতিতেই যেন এই পদ্ধতির প্রয়ােগ সীমিত থাকে এবং ইহার কোনাে অপব্যবহার না হয়, তাহা নিশ্চিত করার জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়ােগের সিদ্ধান্ত ক্রয়কারী কার্যালয় প্রদান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমােদিত হইতে হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, বিধি-৮১ এবং বিধি-৮২ এ বর্ণিত ক্রয় পদ্ধতির ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ এবং বাজেট বিভাজন অনুমােদন সাপেক্ষে, ক্রয়কারী কার্যলয় প্রধান বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমােদন প্রয়ােজন হইবে না।
(৪) ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, কোনাে মূল চুক্তির ব্যাপ্তি মােতাবেক কাজ জরুরী ভিত্তিতে সমাপ্ত করা আবশ্যক হইলে, যে অনুমােদনকারী কর্তৃপক্ষ মূল চুক্তি সম্পাদনের অনুমােদন প্রদান করিয়াছিল, উহার পরবর্তী উচ্চতর পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের অনুমােদনক্রমে তফসিল-২ এ বর্ণিত মূলসীমার উর্ধের ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কার্যাদেশ বা পুনরাবৃত্ত ক্রয়াদেশ অথবা অতিরিক্ত পণ্য সরবরাহের আদেশ প্রদান করা যাইবে।
ব্যাখ্যা : মূল অনুমােদনকারী কর্তৃপক্ষ ক্রয়কারী হইলে, ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান এবং ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান মূল অনুমােদনকারী কর্তৃপক্ষ ও সচিব পর্যায়ের নিয়ে হইলে, মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব এবং অনুরূপভাবে পরবর্তী পযায়ের কর্তৃপক্ষ তফসিল-২ এ বর্ণিত মূল্যসীমার উর্ধের ভেরিয়েশন অর্ডার বা অতিরিক্ত কাযাদেশ বা পুনরাবত্ত ক্রয়াদেশ বা অতিরিক্ত পণ্য সরবরাহের আদেশ অনুমােশ” করিবে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে উন্মুক্ত ক্রয় পদ্ধতির পরিবর্তে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়: ডাউনলোড