ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের আর্থিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে কতিপয় নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে যা বৈধ ও সম্মত – প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি প্রদান নীতিমালা
ব্যাংকের চাকরি কত কছর করা যায়? – কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হলে তিনি ব্যাংকের কোনো পদে চুক্তিভিত্তিতেও নিয়োজিত হতে বা অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। তবে পরামর্শক ও উপদেষ্টা পদে ব্যাংক কর্তৃক বিশেষ প্রয়োজনে ৬৫ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিতে বহাল রাখতে অথবা নিয়োগ দিতে পারবে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এই জারি করা এই প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এও বলেছে, প্রজ্ঞাপনটি জারির সময় চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তাদের চুক্তির মেয়াদ এক বছর বা তার কম সময় বাকি থাকলে তাঁরা দায়িত্ব চালিয়ে নিতে পারবেন।
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের মধ্যে বয়সসীমার অসমতা দূরীকরণার্থে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের বয়সসীমা ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বছরে নির্ধারণ করা হয়। এতদ্ব্যতীত, উক্ত সার্কুলারের মাধ্যমে বেসরকারি ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের জন্য অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বীয় ব্যাংকের অবসর গ্রহণের বয়স সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
কতিপয় ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের নিয়মিত চাকুরির মেয়াদ সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের মধ্য হতে কোনো কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে তাঁদের নিয়মিত চাকুরিকালীন জমাকৃত পূর্বতন প্রভিডেন্ট ফান্ডের উপর সুদ হিসাবায়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে। তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক সময়কেও নিয়মিত চাকুরির সময়ের সাথে যোগ করে সর্বমোট চাকুরির মেয়াদ গণনাপূর্বক তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সর্বশেষ বেতনের অর্থকে ভিত্তি ধরে গ্র্যাচুইটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে; যা বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই প্রাপ্য নয় ।
ব্যাংক খাতে অধিকতর শৃঙ্খলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকে কর্মরত নিয়মিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ তাঁদের নিয়মিত চাকুরিকাল সমাপ্ত করার পর ব্যাংকের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্যতা নির্ধারণে এখন থেকে নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক কর্মরতদের আর্থিক সুবিধাদি প্রদান সংক্রান্ত / অতিরিক্ত বা নিয়ম বহির্ভূত কোন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা যাবে না।
স্থায়ী কর্মচারী বা কর্মকর্তার পিএফ এবং গ্র্যাচুইটি কখনও একই ভিত্তিতে হতে পারে না।
Caption: Check Circular 2023
ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের নিয়মিত চাকুরিকাল সমাপ্ত হওয়ার পর চূড়ান্ত অবসরের সময় বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে
- চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের জন্য কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই এবং তারা এরূপ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না;
- চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী নতুন করে কোনো গ্র্যাচুইটি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না ।
- ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।
- এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে ।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অবসরের বয়স কত?
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের জন্য অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করবেন। বাংলাদেশে প্রচলিত বিধান ও প্রথা অনুযায়ী, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বয়সসীমা অনুযায়ী অবসরে যান। বর্তমানে সরকারি চাকরির মেয়াদ ৫৯ বছর পর্যন্ত। তাই এখন থেকে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫৯ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন।