অর্থ বিভাগ বাজেট প্রস্তুত করে এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ অধিদপ্তরকে তথ্যাদি প্রেরণ করতে হয় যাতে তার উপর ভিত্তি করিয়া প্রক্কলন প্রস্তুত করা যায়। ইহাই প্রাক্কলন। দরপত্র মূল্যায়নে প্রাক্কলনের প্রয়ােজনীয়তা ও গুরুত্ব : পি, পি, আর ২০০৮ এর বিধি-৯৮ তে দরপত্র মূল্যায়ন, ইত্যাদি সম্বন্ধে এই সম্পর্কিত বিধি-বিধান নিম্নরূপ :
বিধি-৯৮ এর উপবিধি (২৫) তে বলা হইয়াছে যে, দরপত্র মূল্যায়নের পর যদি পরিলক্ষিত হয় যে, সর্বনিম্ন মূল্যায়িত দরপত্রের উদ্বৃত্ত মূল্য দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য বা নির্ধারিত বাজেট বা উভয়ক্ষেত্র হইতে বেশি নয়, কিন্তু উহা বিদ্যমান বাজার মূল্যের গ্রহণযােগ্য মাত্রার সহিত সামঞ্জস্য নয়, তাহা হইলে প্রয়ােজনীয় বাজেট প্রাপ্তিসাধ্য করাপ সাপেক্ষে, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি উক্ত দরপত্র গ্রহণ বা ক্রয়কারী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ক্রয়ের ব্যাপ্তি হ্রাসের নির্দেশ প্রদানের বা চুক্তিমূল্য হ্রাসে সহায়ক হইবে এইরূপ ঝুঁকি ও দায়িত্বের গুণ বণ্টন সুপারিশ করিয়া অনুমােদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট মূল্যায়ন প্রতিবেদন পেশ করিতে পারিবে।
৯৮ বিধির (২৭) উপ-বিধিতে বর্ণিত আছে যে, একাধিক দরপত্র মূল্যায়নের পর যদি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির নিকট প্রতিয়মান হয় যে, শুধু একটি দরপত্র গ্রহণযােগ্য হইয়াছে এবং উক্ত দরপত্রের মূল্য দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্যের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাহা হইলে উক্ত কমিটি বিধি ৩৬ অনুসারে উক্ত দরপত্রদাতার সহিত চুক্তি সম্পাদনের সুপারিশ করিয়া অনুমােদনকারী কতৃপক্ষের নিকট মূল্যায়ন প্রতিবেদন পেশ করিবে।।
৯৮ বিধির (৩০) উপ-বিধিতে বর্ণিত আছে যে, মূল্যায়নের সময় যদি দেখা যায়। যে, কোনাে একক দরপত্র সংশ্লিষ্ট দরপত্র দলিলে উল্লিখিত শর্তের অনুবর্তী (Complaint) এবং উদ্ধৃত্ত মূল্য দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্যের কাছাকাছি এবং বাজার মূল্যের সমতুল্য, তাহা হইলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি উক্ত একক দরপত্র বিবেচনা করিবার কারণ যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করিয়া উক্ত দরপত্রসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন বিধি ৩৬ অনুসারে অনুমােদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিবে।।