পে-স্কেল I গেজেট । প্রজ্ঞাপন । পরিপত্র

বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুশাসনমালা ২০২২

স্বচ্ছ, আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক, ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক বহুমুখী কর্মমূল্যায়ন ব্যবস্থা বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুশাসনমালা, ২০২২ Annual Performance Appraisal Report (APAR) Instructions, 2022- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ১৯ ধারার বিধান অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের বস্তুনিষ্ঠ কর্ম-মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে ফলাফলমুখী কার্য-সম্পাদনগত নিরীক্ষা বা মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রণয়নসহ তাদের জন্য অধিকতর স্বচ্ছ, আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক বহুমুখী কর্মমূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তনই বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন বা Annual Performance Appraisal Report (APAR)-এর উদ্দেশ্য। এপিএআর-এর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই অনুশাসনমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

শিরােনাম : এই অনুশাসনমালা ‘বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুশাসনমালা, ২০২২’ নামে অভিহিত হবে। 

গােপনীয়তা : কোনাে কর্মচারীর এপিএআর-সম্পর্কিত তথ্যাদি কেবল তার নিকট অথবা সরকারি প্রয়ােজনে গােপনীয়তা রক্ষা করে প্রকাশ করা যাবে। সরকারি প্রয়ােজনে কোনাে কর্তৃপক্ষের নিকট এপিএআর-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রেরণকালে মূল্যায়নকারী/প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্তৃক এপিএআর মূল্যায়নকালে প্রদত্ত বিভিন্ন যৌক্তিকতা/মতামত/মন্তব্য/ব্যাখ্যা ইত্যাদি প্রকাশ করা যাবে না।

সময় গণনা : এপিএআর-এর জন্য বছর বলতে অর্থবছরকে বােঝাবে যা বর্তমানে ১ জুলাই হতে ৩০ জুন। এপিএআর-এ কর্মকালকে মাস হিসাবে গণনা করা হবে এবং কোনাে ইউনিটে একটানা কমপক্ষে ৩ (তিন) মাস কর্মকালের পর ধারাবাহিকভাবে ন্যূনতম আরও ১৫ (পনেরাে) দিনের কর্মকালকে ১ (এক) মাস হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সাধারণভাবে মাস বলতে ৩০ (ত্রিশ) দিন বােঝাবে, তবে পঞ্জিকাতে যে-সকল মাস ৩০ (ত্রিশ) দিনের কম বা বেশি। সেগুলাের ক্ষেত্রে পঞ্জিকাতে যে মাসের যে কয়দিন রয়েছে তাই বােঝাবে। এই অনুশাসনমালায় দিন বলতে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন অন্তর্ভুক্ত বােঝাবে।

এপিএআর-এর নম্বর : এপিএআর-এ কোনাে কর্মচারীকে ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে তার কর্মকৃতি মূল্যায়নের জন্য ৬০ নম্বর এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত বৈশিষ্ট্য মূল্যায়নের জন্য ৪০ নম্বর নির্ধারিত রয়েছে। ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে দশমিকের দুই ঘর পর্যন্ত নম্বর হিসাব করা হবে। ১.০.৫ এপিএআর দাখিলের বাধ্যবাধকতা : কোনাে অর্থবছরের বার্ষিক অথবা সকল আংশিক এপিএআর দাখিল করা বাধ্যতামূলক। ১.০.৬ এসিআর ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন :

এপিএআর-এর অধীন কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এপিএআর বিদ্যমান বার্ষিক গােপনীয় অনুবেদন (এসিআর) ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে।। ১.০.৬.২ তবে সরকার প্রয়ােজন মনে করলে কোনাে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এপিএআর ও এসিআর পাশাপাশি চালু রাখতে পারবে।

কার্যকরকরণ : সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই অনুশাসনমালা কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করবে। ১.০.৬.২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে এপিএআর কার্যকর হওয়ার তারিখের পূর্বে সংশ্লিষ্ট পঞ্জিকা বছরের যে সময়টুকু অতিবাহিত হয়েছে তার জন্য এসিআর দাখিল করতে হবে না।

সংজ্ঞা : বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনাে কিছু না থাকলে, এই অনুশাসনমালায় ব্যবহৃত কতিপয় শব্দের অর্থ নিম্নরূপ

অসদাচরণ: সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ২(খ) বিধিতে বর্ণিত সংজ্ঞার্থ অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’- কে বােঝাবে।

অ্যাকাউন্ট: এপিএআর সিস্টেমে সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত এবং মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দাপ্তরিক অ্যাকাউন্টকে বােঝাবে।

আংশিক এপিএআর : মূল্যায়নাধীন কর্মচারী কোনাে অর্থবছরে কোনাে ইউনিটে একনাগারে ন্যূনতম ৩ (তিন) মাস কিন্তু ৯ (নয়) মাস বা তার কম সময় কর্মসম্পাদনের পর তার কর্মকৃতি এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত বৈশিষ্ট্য মূল্যায়নের জন্য মূল্যায়নকারীর নিকট দাখিলকৃত প্রতিবেদনই আংশিক এপিএআর। ৩ (তিন) মাস ও ৬ (ছয়) মাস এই দুই ধরনের আংশিক এপিএআর থাকবে। ন্যূনতম ৩ (তিন) মাস কিন্তু ৬ (ছয়) মাসের কম সময়ের জন্য এপিএআর ৩ (তিন) মাসের আংশিক এপিএআর এবং ন্যূনতম ৬ (ছয়) মাস কিন্তু ৯ (নয়) মাস বা তার কম সময়ের জন্য এপিএআর ৬ (ছয়) মাসের আংশিক এপিএআর হিসাবে বিবেচিত হবে।

আংশিক এপিএআর ৩ (তিন) মাস ও ৬ (ছয়) মাস হলেও ১.৪.৪ ও ৮.০.১-অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বার্ষিক কর্মমূল্যায়ন নম্বর/চূড়ান্ত এপিএআর নম্বর নির্ধারণকালে প্রকৃত কর্মকাল (অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে যেকয় মাস একনাগারে দায়িত্ব পালন করেছেন) উল্লেখ করতে হবে। কোনাে কর্মকালে যদি পূর্ববর্তী অর্থবছরের শেষ ৩ (তিন) মাসের কম সময়ের কর্মকাল অন্তর্ভুক্ত থাকে সেক্ষেত্রে ১.৪.৪ ও ৮.০.১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত পদ্ধতিতে বার্ষিক কর্মমূল্যায়ন নম্বর/চূড়ান্ত এপিএআর নম্বর নির্ধারণের সময় পূর্ববর্তী। অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বিদ্যমান অর্থবছরের কর্মকালসহ মােট কর্মকাল ৬ মাসের কম হলে তা ৩ মাস, ৯ মাস বা তার কম হলে তা ৬ মাস, ১২ মাসের বেশি হলে তা ১২ মাস হিসাবে গণনা করতে হবে।

আবশ্যিক কাজ : এপিএআর অনুশাসনমালা অথবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত এপিএআর-এর আওতাভুক্ত সকল কর্মচারীর জন্য প্রযােজ্য কোনাে সুনির্দিষ্ট কাজকে বােঝাবে।

iBAS: অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত Integrated Budget and Accounting System এপিএআর-এর Improvement Required গ্রেড।

ইউনিট-: শাখা, অধিশাখা, অনুবিভাগ, সেল, দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়, বিভাগ ইত্যাদিকে একক কোনাে নামে অভিহিত করতে ‘ইউনিট’ ব্যবহার করা হয়েছে।

APA-এর অন্তর্ভুক্ত কাজ বলতে কোনাে কর্মচারীর নিজ ও বর্হিভূত কাজ মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা ইত্যাদি কর্তৃক স্বাক্ষরিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অন্তর্ভুক্ত কাজকে বােঝাবে। APA-এর বর্হিভূত কাজ বলতে উক্ত চুক্তিতে নেই এরূপ কাজকে বােঝাবে।

APAR- Annual Performance Appraisal Report (APAR) a বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন হচ্ছে এ অনুশাসনমালার আওতায় কোনাে অর্থবছরে কোনাে সরকারি কর্মচারীর কর্মকৃতি এবং তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত বৈশিষ্ট্যের মূল্যায়ন প্রতিবেদন।

এপিএআর অধিশাখা : মন্ত্রণালয়/বিভাগ, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের যে ইউনিট এপিএআর ব্যবস্থাপনা করবে তা এপিএআর অধিশাখা নামে অভিহিত হবে। যদি কোনাে মন্ত্রণালয়ের অনুবিভাগ বা অধীন দপ্তরকে এপিএআর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রদান করা হয় তবে ‘এপিএআর অধিশাখা দ্বারা উক্ত অনুবিভাগ/দপ্তরকেও বােঝাবে। কোনাে মূল্যায়নাধীন, মূল্যায়নকারী অথবা প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্মচারীর এপিএআর অধিশাখা বলতে প্রত্যেকের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ অথবা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এপিএআর অধিশাখাকে বােঝাবে।

এপিএআর গ্রেড এপিএআর- এ প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নির্ধারিত গ্রেড, যেমন A+, A, B, C, IR গ্রেড। উত্তম চর্চা কোনাে কাজের লক্ষ্য অর্জনে যেসকল পদ্ধতি বা কৌশল অন্যান্য উপায় অপেক্ষা ধারাবাহিকভাবে ভালাে ফলাফল প্রদর্শন করেছে তাকে উত্তম চর্চা বলে। কোনাে কাজকে উত্তম চর্চা হিসাবে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে যে, এতে ব্যবহৃত পদ্ধতি বা কৌশল প্রচলিত অন্যান্য ব্যবস্থা অপেক্ষা অধিকতর কার্যকর ও ফলপ্রসূ কি না।

উদ্ভাবন: সরকারি কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে এমন কোনাে ব্যবস্থা বা পদ্ধতির প্রবর্তন যা বৈশ্বিক অথবা দেশীয় প্রেক্ষাপটে অভিনব এবং যার মাধ্যমে সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি ও সেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব হয়েছে।।

কর্মকৃতি: ইংরেজি performance শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ।

কর্মচারী: সরকারি, আধা-সরকারি, সংযুক্ত দপ্তর, অধিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত ও বিধিবদ্ধ সংস্থা, কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন কমিশন এবং অসামরিক প্রশাসনে নিয়ােজিত সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর অধীন ও এপিএআর ব্যবহারকারী অন্যান্য কর্মচারী।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়: কোনাে অধিদপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, একাডেমি, কর্পোরেশন, কর্তৃপক্ষ, দপ্তর ইত্যাদির প্রধান কার্যালয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের অধীন অধিদপ্তর/একাডেমি ইত্যাদির প্রধান কার্যালয়ও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

গ্রেড: জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এ বর্ণিত বেতন গ্রেড এবং সরকার কর্তৃক পরবর্তীকালে ঘােষিত বেতন স্কেলে এই গ্রেডসমূহের সমতুল্য গ্রেড।

চুড়ান্ত বার্ষিক : কোনাে মূল্যায়নাধীন কর্মচারীর প্রাথমিক এপিএআর নম্বরের এপিএআর নম্বর এবং সঙ্গে তার কর্মস্থলের APA-এর নম্বর নির্ধারিত অনুপাতে কর্মমূল্যায়ন নম্বর সমন্বয়ের পর প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এই অনুশাসনমালা অনুযায়ী উক্ত কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রণােদনা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে প্রযােজ্য অন্যান্য নম্বর সংযােজন/বিয়ােজনপূর্বক নির্ণীত নম্বরই ‘চূড়ান্ত বার্ষিক এপিএআর নম্বর’। কোনাে কারণে প্রাথমিক এপিএআর নম্বরের সঙ্গে APA-এর নম্বর সমন্বয় অথবা অন্যান্য নম্বর সংযােজন/বিয়ােজনের আবশ্যকতা না থাকলে যতটুকু সমন্বয় অথবা সংযােজন/বিয়ােজন প্রযােজ্য ততটুকু সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত বার্ষিক এপিএআর নম্বর নির্ধারিত হবে। গ্রেড-১ ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এপিএআর না থাকায় তাদের কর্মকৃতির নম্বরকে ‘এপিএআর নম্বর’-এর পরিবর্তে ‘কর্মমূল্যায়ন নম্বর হিসাবে ভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়েছে।

ডােসিয়ার: সরকারি কর্মচারীদের কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন এবং এ-সংক্রান্ত আদেশ, প্রতিকার-সংক্রান্ত কার্যক্রমের তথ্য, শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত আদেশ, চাকরি বিবরণী ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত নথি ও ডিজিটাল ফোল্ডারই ডােসিয়ার। প্রযােজ্য ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল ফোল্ডারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর পূর্ববর্তী বছরসমূহের বার্ষিক গােপনীয় অনুবেদনের ডিজিটাল কপিও সংরক্ষিত থাকবে।

দলগত কার্যক্রম : কমিটি, দল (team) ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পাদিত কোনাে কাজকে দলগত কার্যক্রম হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।

নােটিফিকেশন : এপিএআর সিস্টেমের মাধ্যমে কোনাে কর্মচারীর ব্যক্তিগত মােবাইল, ই মেইল ও এপিএআর অ্যাকাউন্ট অথবা এর যে-কোনটিতে প্রেরিত কোনাে বার্তাকে নােটিফিকেশন বােঝাবে।

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত কর্মচারীদের Personal Data Sheet যেখানে তাদের ব্যক্তিগত ও চাকরি-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে।

বার্ষিক এপিএআর মূল্যায়নাধীন কর্মচারী কোনাে অর্থবছরে একটানা ৯ মাসের বেশি কোনাে ইউনিটে দায়িত্ব পালনের পর তার কর্মকৃতি এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত বৈশিষ্ট্য মূল্যায়নের জন্য মূল্যায়নকারীর নিকট দাখিলকৃত প্রতিবেদনই বার্ষিক এপিএআর।

প্রমাণক: কোন কাজের সত্যতার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ বা পর্যাপ্ত যুক্তিসংবলিত কোনাে দলিল, ছবি, ভিডিও, ওয়েবলিংক, ই-মেইল, নােটিফিকেশন ইত্যাদি।

প্রতিস্বাক্ষরকারী : প্রশাসনিক সােপানে মূল্যায়নকারীর সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী বা তত্ত্বাবধানকারী উর্ধ্বতন কর্মচারী যিনি এপিএআর প্রতিস্বাক্ষর করেন তাকে প্রতিস্বাক্ষরকারী বা Countersigning Officer (CSO) হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। ৱ

প্রাথমিক এপিএআর : কোনাে কর্মচারীর যে এপিএআর নম্বর স্বীয় কর্মস্থলের APA-এর নম্বরের নম্বর সঙ্গে নির্ধারিত উপায়ে সমন্বয়ের জন্য প্রস্তুত তাই প্রাথমিক এপিএআর নম্বর। সাধারণভাবে প্রতিস্বাক্ষরকারী কর্তৃক মূল্যায়নের পর নির্ধারিত এপিএআর নম্বরই প্রাথমিক এপিএআর নম্বর।

মন্ত্রণালয়/বিভাগ: Rules of Business, 1996-এ বর্ণিত মন্ত্রণালয়/বিভাগ।

মেনটর : একজন কর্মচারীর ক্ষেত্রে মেনটর হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি তাকে কাজে উন্নতি করতে সহায়তা করেন এবং পরামর্শ প্রদান করেন।

মূল্যায়নাধীন কর্মচারী : যে কর্মচারীর কর্মকৃতি এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত বৈশিষ্ট্য মূল্যায়ন করা হয় তাকে মূল্যায়নাধীন কর্মচারী বা Officer Reported Upon (ORU) হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।

মুল্যায়নকারী প্রশাসনিক সােপানে মূল্যায়নাধীন কর্মচারীর সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী বা দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড তত্ত্বাবধানকারী ঊর্ধ্বতন কর্মচারীকে মূল্যায়নকারী বা Report Initiating Officer (RIO) হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।

শিক্ষানবিশ: শিক্ষানবিশ কর্মচারী বলতে সংশ্লিষ্ট নিয়ােগবিধিতে যেসকল কর্মচারীকে শিক্ষানবিশ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে তাদেরকে বােঝাবে।

সরকার: Rules of Business, 1996-97 Schedule-I (Allocation of Business among the Different Ministries and Divisions) অনুসারে ক্ষমতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনাে মন্ত্রণালয় বা বিভাগ। এপিএআর-এর ক্ষেত্রে সরকার বলতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বােঝাবে।

সার্বিক দায়িত্ব : সংশ্লিষ্ট সকলের সহযােগিতায় কোনাে কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে মুখ্য ভূমিকা পালনের দায়িত্বকে বােঝাবে।

সেবা সহজীকরণ : কোনাে সংস্থা ও তার কোনাে সেবাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে সেবাটির মৌলিক/আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের অভূতপূর্ব সন্তুষ্টি অর্জনকে সেবা সহজীকরণ বলে।

সিস্টেম : এই অনুশাসনমালায় ‘সিস্টেম’ বলতে এপিএআর ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত সফটওয়্যার সিস্টেমকে বােঝাবে।

স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত- এপিএআর ফর্মের স্বাস্থ্যগত তথ্য পূরণের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসক প্রতিবেদন কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদন।

এপিএআর সিস্টেম : এপিএআর একটি অনলাইন সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সিস্টেমটি সরকারি অন্যান্য অনলাইন সিস্টেমের সঙ্গে প্রয়ােজনে যুক্ত করা যাবে।

বার্ষিক কর্মকৃতি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুশাসনমালা ২০২২ : ডাউনলোড

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *