সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন সীমিত আকারে বৈদেশিক ভ্রমণ করতে পারবে – স্ট্যাডি ট্যুর, সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করতে বিদেশ ভ্রমণ করা যাইবে না – শর্তসাপেক্ষে বৈদেশিক ভ্রমণ অনুমোদন বিধান ২০২২
ভিজিট ভিসা বন্ধ থাকবে – বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এক্সপােজার ভিজিট/স্টাডি টুর/এপিএ ও ইনােভেশন-এর আওতাভুক্ত বৈদেশিক ভ্রমণ/ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। জরুরি বা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পৃক্ত না এমন ভ্রমণ করা যাবে না।
তবে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযােগী সংস্থা/বিশ্ববিদ্যালয়/দেশ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশীপ/ফেলােশীপ-এর আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের নিমিত্ত বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
সরকারের সাথে বিভিন্ন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝােতা স্মারক (MoU)-এর ভিত্তিতে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় আয়ােজিত বিশেষায়িত/পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে। মোট কথা সীমিত আকারে ভ্রমণ করা যাইবে। বিদেশী সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযােগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়ােজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণ / বৈদেশিক ভ্রমণ সংকুচিতকরণের নির্দেশনা ২০২২
ব্যক্তিগত বা সরকারি স্বার্থ দারুণভাবে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ভ্রমণ হতে বিরত থাকতে হবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণ আদেশ ২০২২
যে সকল ভ্রমণ করা যাবে না। বৈদেশিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
৫ জুলাই ঢাকার এক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ‘মসলা চাষ শিখতে বিদেশ যাবেন ১৮ কর্মকর্তা’। ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ শীর্ষক সরকারের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এই সফরের আয়োজন। এই সফরের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে ৬৫ জন কর্মকর্তার বিদেশ সফর করার কথা বলা হয়েছিল। পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তির মুখে এই সংখ্যা কমিয়ে ১৮ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখন এ সফরে মোট ব্যয় হবে ৯০ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। একই সঙ্গে ১৮ কর্মকর্তার বিদেশ সফরের প্রস্তাবটিও অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আমদানি পন্যের মান যাচাইয়ে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে?
সরকারি ক্রয় যাচাইয়ে বিদেশ ভ্রমণ – সরবরাহকারী/ঠিকাদার/পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সেবা/পণ্যের গুনগত মান নিরীক্ষা পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাগণের বিদেশ ভ্রমণ করা যাইবে। এক্ষেত্রে জরুরি উন্নয়ন কার্যক্রম হওয়া আবশ্যক। সরকারের স্বার্থ রক্ষার্থে এমন ভ্রমণ করা যাইবে।