মোটর সাইকেল বা ব্যক্তিগত গাড়ি যে কোন ধরনের মোটরযানে ইন্সুরেন্স না থাকলেও চলবে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয় এবং এ আইনের অধীনে ইহা লংঘন করা হলে কোনো দন্ডের বিধান নেই।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ
বিআরটিএ ভবন
নিউ এয়ারপোর্ট, বনানী, ঢাকা-১২১২
স্মারক নং-৩৫.০৩.০০০০.০০৩.৩১.০২৬.১৯-২৬৫৫; তারিখ: ৩০/০৯/২০২০
বিষয়: সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা না থাকা প্রসঙ্গে।
উপর্যুক্ত বিষয়ে সূত্রস্থ পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা ১০৯ অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক ছিল এবং অধীনে ১৫৫ ধারায় দেন্ডর বিধান ছিল। তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬০ এর উপ ধারা (১), (২) ও (৩) নিম্নরূপ:
১) কোন মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করিলে তাহার মালিকানাধীন যে কোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্টকৃত তাহাদের জীবন ও সম্পদের বীমা করিতে পারিবে।
২। মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান উহার অধীন পরিচালিত মোটরযানের আওতাভূক্ত থাকিবে এবং বীমাকারী কর্তৃক উপর্যুক্ত ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন।
৩) মোটরযান দূর্ঘটনায় পতিত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হইলে বা নষ্ট হইলে উক্ত মোটরযানের জন্য ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল হইতে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাইবে না।
অর্থাৎ, এ ধারা অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয় এবং এ আইনের অধীনে ইহা লংঘন করা হলে কোনো দন্ডের বিধান নেই।
২। এমতাবস্থায়, তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা না থাকলে সংশ্লিষ্ট মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী কোনো মামলা দেয়ার সুযোগ নেই।
৩। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
(নুর মোহাম্মদ মজুমদার)
চেয়ারম্যান
ফোন: ৫৫০৪০৭১১
প্রতি, পুলিশ মহাপরিদর্শন, বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা।
মোটরযান ইন্সুরেন্স না থাকলে আর মামলা নয়: বিআরটিএ: ডাউনলোড