বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস বিধি ৪ এ বলা হয়েছে যে, এই বিধিমালার কোন বিধানের ব্যাখ্যা প্রদানের ক্ষমতা কেবল সরকারের রহিয়াছে অর্থাৎ কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতীত জারি বা অনুমোদন করা যাবে না। কোন বিষয়গুলো অন্যান্য মন্ত্রণালয় নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং কোন বিষয়গুলো মন্ত্রণালয় নিজে দায়িত্ব নিয়েও আদেশ জারি করিতে পারিবেন না। যদি মঞ্জুরী দিতে হয় কিভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর নিকট থেকে অনুমতি নিবে সে বিষয়েই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মূল বিধি Rule 4. The power of interpreting these rules is reserved to Government.
বিশ্লেষণ বিশ্লেষণ : ১। এই বিধিমালার কোন বিধানের ব্যাখ্যা প্রদানের ক্ষমতা কেবল সরকারের রহিয়াছে। সরকারের এই ক্ষমতা রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কার্যবন্টন তালিকা অনুযায়ী এই ব্যাখ্যা প্রদানের কার্যটি মূলত বিধি অনুবিভাগ সম্পাদন করিয়া থাকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের মতামত/পরামর্শ গ্রহণের পদ্ধতি সম্পর্কে ১৯ আগস্ট, ১৯৮৮ তারিখের সম(বিধি-২)বিবিধ২৪/৮৮-৯৫ নং স্মারকে উল্লেখ করা হইয়াছে যে, সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অনুবিভাগ/ অধিশাখাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের মতামতের জন্য নথি/প্রস্তাব প্রেরণের সময় নিয়ে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।
(ক) পরামর্শকারী কর্তৃপক্ষ বিবেচনাধীন বিষয়টির একটি তথ্য ভিত্তিক বর্ণনা দিবেন। বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিধি এবং ইহাকে প্রভাবিত করে এমন সব নিয়মকানুন বা পূর্ব নজির থাকিলে তাহাও উল্লেখ করিবেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রসংগ বা প্রসংগসমূহ এবং এই সম্পর্কে পরামর্শকারী কর্তৃপক্ষের সুপারিশ কি তাহা উল্লেখ করিতে হইবে। (খ) সার-সংক্ষেপ আকারে বা তাহাতে যেসব আইন, বিধি ইত্যাদির আলােচনা করা হইবে তাহার অতিরিক্ত অনুলিপিসহ কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে এবং দুই প্রস্থে এইরূপ প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিতে হইবে।
উক্ত স্মারকে আরাে উল্লেখ করা হয় যে, কোন বিষয়ে কার্য ব্যবস্থা গ্রহণকারী কর্মকর্তার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে শুধু দ্বিধাগ্রস্ততার কারণেই কোন নথি/বিষয়াদি অযথা পরামর্শের জন্য প্রেরণ করা এবং কোন আদেশ, নিয়ম, বিধি, নির্দেশ ইত্যাদির অধীনে প্রয়ােজন না হইলে কোন বিষয় পরামর্শের জন্য প্রেরণ করা অসংগত।
বিশ্লেষণ : ২। এই বিধিমালার যে সকল বিধি প্রয়ােগের ক্ষমতা কেবল সরকারের উপর ন্যস্ত রহিয়াছে, উহাদের মধ্যে যে সকল বিধির ক্ষমতা প্রয়ােগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহিত পরামর্শ করিতে হইবে এবং যে সকল বিধির ক্ষমতা প্রয়ােগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপনের প্রয়ােজন হইবে উহা রুলস অব বিজনেসে বর্ণিত আছে। রুলস অব বিজনেস এর রুল ১২ এর বিধান নিম্নরূপ-
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাধারণভাবে অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার ক্ষেত্র ব্যতীত কোন মন্ত্রণালয় এইরূপ কোন বিষয়সমূহের সহিত সম্পৃক্ত কোন আদেশ জারি বা আদেশ জারির কর্তৃত্ব দান করিবে না, যাহাতে রহিয়াছে-
(১) পদ সৃষ্টি বা বিলুপ্তি অথবা কোন সংযুক্ত দপ্তরের মর্যাদার পরিবর্তন সম্পৃক্ত করিয়া কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগ অথবা সংযুক্ত দপ্তরের পুনর্গঠন;
(২) শাখা ব্যতীত কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগে কার্য বন্টন ইউনিট গঠন;
(৩) সংযুক্ত দপ্তর সৃষ্টি ও পুনর্গঠন;
(৪) মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের জাতীয় বেতন স্কেল-৯ এবং তদুর্ধ্ব যে সকল পদ বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশনের আওতা বহির্ভূত রাখা হইয়াছে, উহাতে প্রাথমিক নিয়ােগ;
(৫) সরকার কর্তৃক চাকরি কাঠামােতে সময়ে সময়ে সংশোধন সাপেক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়/বিভাগের ও সংযুক্ত দপ্তরের সহায়ক কর্মচারী ব্যতীত সকল সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দের চাকরির শর্তাবলী পরিবর্তন সংক্রান্ত;
(৬) নন-সেক্রেটারিয়েট অফিসারগণের মন্ত্রণালয়/বিভাগে বা সংযুক্ত দপ্তরসমূহে পদায়ন;
(৭) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহিত সম্পর্কযুক্ত ব্যয়ের প্রস্তাবসমূহ;
(৮) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা এবং আদেশসমূহের ব্যাখ্যা;
(৯) প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার পর প্রকল্পখাতের কর্মচারীগণের রাজস্বখাতে স্থানান্তরকরণ;
(১০) নিয়ােগের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশনের আওতা হইতে কোন পদ বা সার্ভিসকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নসহ পদ বা সার্ভিসের নিয়ােগের বিধিমালা।
উপরোক্ত ১০টি বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হইবে।