ইত্যাদি । বিবিধ । ক্যাটাগরী বিহীন তথ্য

সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের নিয়ম ২০২৪ । সাধারণ পাসপোর্ট ও এনওসি পাসপোর্টের পার্থক্য কি?

সরকারি কর্মচারীগণ সাধারণত এনওসি দিয়ে পাসপোর্ট করে থাকে এবং এতে করে কোন ভেরিফিকেশন ছাড়াই দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়া যায়-ফলে এটিকে সরকারি পাসপোর্ট হিসেবে গন্য করা হয় – সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের নিয়ম ২০২৪

সরকারি কর্মচারী কি সাধারণ পাসপোর্ট নিতে পারে? হ্যাঁ। নিতে পারে কিন্তু এতে এনওসি ব্যবহার করা যাবে না। একবার এনওসি দিয়ে পাসপোর্ট করা হলে সেটি রিনিউ বা পুনরায় পাসপোর্ট সাধারণ করতে হলে অবশ্যই চাকরি হতে ইস্তফাপত্র দাখিল করতে হয়। আপনি এনওসি দিয়ে পাসপোর্ট করে থাকলে সরকারি জিও জারি করা ছাড়া সেই পাসপোর্ট দিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন না। সরকারি পাসপোর্ট দিয়ে দেশের বাইরে যেতে হলে সরকারি পারমিশন তথা গভ: অর্ডার অর্থাৎ জিও জারি করতে হয়।

গভ: পাসপোর্ট পরিবর্তন করে সাধারণ পাসপোর্ট নিতে চান? হ্যাঁ। আপনি যদি চান যে, সরকারি পাসপোর্ট অর্থাৎ আপনার পেশা সরকারি চাকরিজীবী লেখা সেটি পরিবর্তন করে আপনি সাধারণ পাসপোর্ট নিবেন তাহলে নিতে পারবেন। তবে আপনাকে সাধারণ পাসপোর্ট নিতে অবশ্যই চাকরি হতে ইস্তফা দিয়েছেন সেই অর্ডার অর্থাৎ রিলিজ অর্ডার লাগবে। আপনি চাইলে সরকারি পাসপোর্ট পরিবর্তন করে নতুন সাধারণ পাসপোর্ট নিতে পারবেন না।

সরকারি পাসপোর্ট কি নীল রঙ্গের হয়? হ্যাঁ। পাসপোর্ট এর রং দু’রকম হয়ে থাকে। অফিসিয়াল পাসপোর্ট নীল রংয়ের হয় অন্যদিকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য যে পাসপোর্ট করা হয় তা সবুজ রংয়ের হয়। সাধারণত বাংলাদেশ বর্ডার পর হতে GO লাগে। অন্য দেশে ঢুকতে ভিসা লাগে। ভিসা লাগবে কিনা তা নির্ভর করে আপনি কোন দেশে যেতে চাচ্ছেন তার উপর। অফিসিয়াল পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে কিছু দেশে Arrival ভিসা পাওয়া যায় যেমন, ভারত, চীন, মালয়শিয়া, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, লাউস, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, তুর্কি, নেপাল, বেলারুশ, ফিলিপাইন ইত্যাদি সার্কভূক্ত সকল অনুমোদিত দেশগুলোতে কাগজ দিয়েই ভ্রমণ করা যাবে। সবুজ পাসপোর্ট হলে ভারত, চীন, মালয়শিয়া যেতে ভিসা লাগবে। ইউরোপের কোন দেশে যেতে চাইলে সবুজ বা নীল যে পাসপোর্টই থাকুক না কেন ভিসা লাগবে। সংশ্লিষ্ট দেশ হতে ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। সাধারণত ছুটির আদেশ দেখিয়ে ভিসা সংগ্রহ করা যায়।

সাধারণ ও সরকারি পাসপোর্টের মধ্যে পার্থক্য কি? / সরকারি চাকরিজীবীদের পোসপোর্টের রং নীল হয়

শুধু জিও দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়? অফিসিয়াল পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে কিছু দেশে Arrival ভিসা পাওয়া যায় যেমন, ভারত, চীন, মালয়শিয়া, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, লাউস, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, তুর্কি, নেপাল, বেলারুশ, ফিলিপাইন ইত্যাদি সার্কভূক্ত সকল অনুমোদিত দেশগুলোতে কাগজ দিয়েই ভ্রমণ করা যাবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের পোসপোর্টের রং নীল হয়

Caption: Blue Passport for Govt. Officer

নীল পাসপোর্টে ভিসা পাওয়া নিয়ম ২০২৪ । ভিসা পাওয়ার জন্য কি লাগে?

  1. সরকারি বা নীল পাসপোর্ট হোক বা সবুজ হোক পেশ সরকারি চাকরিজীবী থাকলে আপনাকে জিও বা সরকারি আদেশ জারি করেই বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে।
  2. ভিসা পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট বা জিও লাগে। সাধারণত পাসপোর্ট বা সরকারি ট্র্যাভেল পারমিটের একটি পাতায় সীল দিয়ে বা একটি স্টিকার লাগিয়ে ভিসা প্রদান করা হয়। দেশের বিদেশীস্থ দূতাবাস বা অ্যামবাসী গুলো ভিসা দিয়ে থাকে।
  3.   অফিসিয়াল বা সরকারি পাসপোর্ট নীল রঙ্গের।
  4. ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য সবুজ রঙ্গের পাসপোর্ট (যদিও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এখন সবুজ পাসপোর্ট দেওয়া হয়)।

জিও কি?

জিও বা GO হচ্ছে Government order  যা সরকারি বা দাপ্তরিক কাজে সরকার বিদেশ পাঠানোর জন্য জারি করে। জিও দিয়ে সব দেশে ভ্রমণ করা যায় না। দাপ্তরিক বা ব্যক্তিগত বিদেশ ভ্রমণে একজন সরকারি চাকরি জীবির সরকারি আদেশ বা জিও  সংগ্রহ করতে হয়। জিও নমুনা দেখে নিতে পারেন: ডাউনলোড । NOC হচ্ছে NO OBJECTION CERTIFICATE যা সরকারি কর্মচারীদের পার্সপোর্ট করার সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তর হতে সংগ্রহ করা হয়। এটি সাধারণত ওয়েব সাইটে পাবলিশ করা হয়। যা দেখে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সরকারি চাকরিজীবী আবেদনকারীকে কম খরচে বা সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত ফি’তে পাসপোর্ট সরবরাহ করে থাকে। যা সাধারণত নীল রঙ্গের হয়ে থাকে। সরকারি পার্সপোর্ট করতে NOC প্রেরণ করতে হয়। কিভাবে আপনার NOC পূরণ করবেন তা পূরণকৃত একটি এনওসি দেখে নিতে পারেন: ডাউনলোড

https://bdservicerules.info/noc-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C/

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *