নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পেশকৃত কৈফিয়ৎ, যদি কিছু থাকে, বিবেচনা করিবেন এবং তিনি যদি ব্যক্তিগতভাবে শুনানীর ইচ্ছা পোষণ করিয়া থাকেন, তবে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে শুনানীর সুযোগ দেওয়ার পর অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তিনি কৈফিয়ৎ পেশ না করিয়া থাকেন, তবে এইরূপ সময়ের মধ্যে তাহাকে লঘুদণ্ড প্রদান করিতে পারেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংসস্থাপন মন্ত্রণালয়
শাখা (বিধি-১)
নং সম/আর-১/এসআর-১/৮৯-২৭৬(৫০) তারিখ: ২৪-০৯-১৯৯১ইং/০৮-০৬-১৩৯৮বাং
বিষয়: স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান এর জন্য একরূপ চাকুরী বিধি প্রণয়ন।
সূত্র: সংস’াপন মন্ত্রণালয়েরজ্জ
(১) ১৭-১০-৮৭ইং তারিখের স্মারক নং এমই/আর-১/এসআর-১৩/৮৭-১২৫(৪২)
এবং
(২) ২৬-১০-৮৮ইং তারিখের স্মারক নং এমই/আর-১/এসআর-৩/৮৮-২৪৬(৪২)
উপরোক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে জানানো যাইতেছে যে, সূত্রোক্ত ১নং স্মারক মারফত আদর্শ প্রবিধানমালা অনুসরণপূর্বক চাকুরীবিধি জারী করিবার জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ জানানো হইয়াছে। ২নং সূত্রোক্ত স্মারক মারফত উক্ত আদর্শ প্রবিধানমালায় ৫০নং প্রবিধানটি আংশিক সংশোধন করা হইয়াছে।
২। সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে The Government Servants (Discipline and Appeal) Rules, 1985 গত ১৩-০৯-৮৯ইং তারিখে আংশিক সংশোধন করা হইয়াছে। ৱ
উক্ত সংশোধন মোতাবেক ১নং সূত্রোক্ত স্মারকমতে জারীকৃত বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহে চাকুরীর জন্য আদর্শ প্রবিধানমালা নিম্নরূপে সংশোধন করা হইল:-
(১) আদর্শ প্রবিধানমালার সপ্তম অধ্যায়ের ৩৮(১) ধারার উপধারা (খ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপধারা (খ) প্রতিস’াপিত হইবে, যথা:-
“(খ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পেশকৃত কৈফিয়ৎ, যদি কিছু থাকে, বিবেচনা করিবেন এবং তিনি যদি ব্যক্তিগতভাবে শুনানীর ইচ্ছা পোষণ করিয়া থাকেন, তবে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে শুনানীর সুযোগ দেওয়ার পর অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তিনি কৈফিয়ৎ পেশ না করিয়া থাকেন, তবে এইরূপ সময়ের মধ্যে তাহাকে লঘুদণ্ড প্রদান করিতে পারেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনবোধে অভিযুক্ত ব্যক্তির পদমর্যাদার নীচে নহেন এমন একজন তদন- কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবেন; এবং তদন-কারী কর্মকর্তা তদনে-র প্রতিবেদন দাখিল করিবেন”;
(২) ৩৮(২) ধারার পরিবর্তে নিম্নরূপ ৩৮(২) ধারা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:
“(২) তদন-কারী কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত পাইবার পর কর্তৃপক্ষ তৎসম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন অথবা প্রয়োজন মনে করিলে, অধিকতর তদনে-র জন্য আদেশ দিতে পারেন অথবা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারেন”।;
(৩) ৩৮(৩) ধারার পরিবর্তে নিম্নরূপ ৩৮(৩) ধারা প্রাতিস্থাপিত হইবে, যথা:
“(৩) অধিকতর তদনে-র ফলাফল ও প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন”;
(৪) ৩৮(৪) ধারা বিলুপ্ত হইবে;
(৫) ৩৮(৫) ধারার পরিবর্তে নিম্নরূপ ৩৮(৫) ধারা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:
“(৫) যে ক্ষেত্রে প্রবিধান ৩৫এর দফা (ক) বা (খ) এর অধীনে কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন কার্যধারা সূচনা করিতে হয় এবং কর্তৃপক্ষ অভিমত পোষণ করেন যে, অভিযোগ প্রমাণিত হইলে তিরস্কারের দণ্ড প্রদান করা হইবে সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগতভাবে তাহার শুনানী গ্রহণ করতঃ দণ্ডের কারণ লিপিবদ্ধ করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রতি উক্ত দণ্ড আরোপ করিতে পারেন, তবে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি উপসি’ত না হন বা উপসি’ত হইতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে শুনানী ব্যতিরেকেই তাহার উপর উক্ত দণ্ড আরোপ করা যাইবে, অথবা উপপ্রবিধান (১) (খ) ও (৩)-এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করার পর অভিযোগ প্রমাণিত হইলে তিরস্কার অপেক্ষা গুরুতর দণ্ড আরোপ করা যাইবে এবং যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবী করেন যে, তাহাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাইতে হইবে, তাহা হইলে উপপ্রবিধান (১) হইতে (৩) এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে, এবং অভিযোগ প্রমাণিত হইলে, তিরস্কার অপেক্ষা গুরুতর দণ্ড আরোপ করিতে হইবে”;
(৬) ৩৯(৪) ধারার পরিবর্তে নিম্নরূপ ৩৯(৪) ধারা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা: “(৪) তদন-কারী কর্মকর্তা বা ক্ষেত্র বিশেষে, তদন- বোর্ড তদনে-র আদেশ দানের তারিখ হইতে দশটি কার্য দিবসের মধ্যে তদনে-র কাজ শুরু করিবেন এবং প্রবিধান ৪০ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে তদন- পরিচালনা করিবেন এবং তদন-কারী কর্মকর্তা বা তদন- বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট তাহার বা উহার তদন- প্রতিবেদন পেশ করিবেন”;
(৭) ৩৯(৫) ধারার পরিবর্তে নিম্নরূপ ৩৯(৫) ধারা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা: “(৫) তদন-কারী কর্মকর্তা যা তদন- বোর্ডের তদন- প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদনটি বিবেচনা করিবেন এবং উক্ত অভিযোগের উপর উহার সিদ্ধান- লিপিবদ্ধ করিবেন, এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উক্ত প্রতিবেদনের কপিসহ সিদ্ধান্তটি জানাইবেন”;
(৮) ৩৯(৭) ধারার পরিবর্তে নিম্নরূপ ৩৯(৭) ধারা প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা: “(৭) কর্তৃপক্ষ উক্ত কার্যধারার উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উহা অবহিত করিবেন”;
(৯) ৩৯(৮) ধারা বিলুপ্ত হইবে;
(১০) ৪১(২) ধারা বিলুপ্ত হইবে;
(১১) ৪৪(২) ধারা এর উপধারা (গ) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপধারা (গ) প্রতিস’াপিত হইবে,
যথা ঃ-
“(গ) আরোপিত দণ্ড মাত্রাতিরিক্ত, পর্যন- বা অপর্যাপ্ত কি না; এবং যে আদেশ দান করা উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে সেই আদেশ প্রদান করিবেন”।
৩। কোন স্ব-শাসিত বা বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের চাকুরী প্রবিধানমালা ইতিমধ্যে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত ১নং সূত্রোক্ত ১৭-১০-৮৭ইং তারিখের স্মারকের সহিত সংযুক্ত আদর্শ প্রবিধানমালা অনুযায়ী জারী করা হইয়া থাকিলে, তাহা উপরোক্ত সংশোধনী অনুযায়ী সংশোধন করিতে হইবে। তবে এইক্ষেত্রে ০৯-০১-৯১ইং তারিখের ডি, ও নং-এমই/আর-১/এসআর-১৮/৮৭-১০(৩০)-এ নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসৃত না হইয়া ১৭-১০-৮৭ইং তারিখের স্মারকের ৩নং ক্রমিকে নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে। তবে যদি আলোচ্য সংশোধনী হইতে কোনরূপ বিচ্যুতিমূলক বা ব্যতিক্রমধর্মী সংশোধন প্রস-াব থাকে তবে সেইক্ষেত্রে ০৯-০১-৯১ইং তারিখের ডি, ও পত্রে নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।
৪। উপরোক্ত মর্মে জরুরী ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করিবার জন্য এবং সকল বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান/স্ব-শাসিত সংস’াকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ করা যাইতেছে।
৫। এই স্মারকের প্রাপ্তি স্বীকার প্রত্যাশিত।
মোঃ হাসিনুর রহমান
সচিব।
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা প্রশাসন শাখা বা হিসাব শাখায় কাজ করেন তারাই কেবল চাকরি সম্পর্কিত বিধি বিধানগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন। অবশিষ্ট ৮০% কর্মকর্তা/ কর্মচারীই সরকারি চাকরির বিধানাবলী, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, হালনাগাদ পেনশন রুলস, ভ্রমণ বিধি ও প্রাপ্যতা , উৎসব ভাতার প্রাপ্যতা, সরকারি কর্মচারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা বা চিকিৎসা শেষে ব্যয় উত্তোলন, বিভিন্ন ভাতাদির প্রাপ্যতা, বিভিন্ন ধরনের অগ্রিম সুবিধা গ্রহণ, নিয়োগ ও বদলি নীতিমালা, বিভিন্ন ধরনের ছুটি কিভাবে নিতে হয়, বাসা বরাদ্দ বা বাড়ি ভাড়া প্রাপ্যতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা বা রেশন সুবিধা ইত্যাদি সর্ম্পকে ভাল ধারনা রাখেন না। এই ওয়েবসাইটটিতে উপরোক্ত বিষয়গুলো সহজ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাধারণ কর্মচারী যাতে সহজেই ব্যাপার গুলো বুঝতে পারে এবং যদি কোন বিধি বুঝতে সমস্যা হয় তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ যদি কোন বিধি বা নীতিমালা বুঝতে অসমর্থ হয় তবে আমাদের ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ এবং ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রতিটি পোস্টের রেফারন্স পোস্টের শেষে “ডাউনলোড” নামের যে লিংক দেওয়া আছে সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। ডাউনলোড ফাইল Google Drive or Box.com এ স্টোর করা আছে। কারও যদি ফাইলটি ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে আপনি আপনার নিজের gmail Account এ Login করে নিন। লগইন করার পর ঠিকই ফাইলটি ডাউনলোড হবে। তবুও যদি আপনি রেফারেন্স ফাইল ডাউনলোডে সমস্যায় পড়ে তবে আপনি এডমিনকে alaminmia.tangail@gmail.com এ ফাইলের নাম দিয়ে নক করুন। এডমিন আপনার ইমেইলের উত্তর দিবে।
কিছু কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের কাছে সরকারি চাকরির বিধি বিধানের কিছু বইও হয়তো সংগ্রহে আছে কিন্তু তা মূলত সংগ্রহেই মাত্র বের করে পড়ার সময় বা সুযোগ নেই। কারও সময় বা সুযোগ থাকলেও বের করে পড়া পর্যন্ত হয় না। আবার দেখা যায় যে, অসংখ্য বইয়ের মধ্যে একটি সামারি বই চাকরির বিধানাবলীই শুধুমাত্র সংগ্রহ রয়েছে। সরকারি চাকরি সংক্রান্ত অসংখ্যা বই রয়েছে যেগুলো আবার প্রতি বছরই আপডেট হয়ে থাকে আপনি যদি শুধুমাত্র এই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকেন তবে আপনি সকল আপডেট তথ্যই পেয়ে যাবেন। ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।