পেনশন ভোগরত অবস্থায় ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, পেনশনারের মৃতুর পর তাঁর ২য় স্ত্রী/স্বামী পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হবেন না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণারয়, অর্থ বিভাগ
প্রবিধি-১ শাখা
www.mof.gov.bd
স্মারক নং-০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৯.১৮.৩৫; তারিখ: ০৪ মার্চ ২০২১
বিষয়: পেনশন ভোগরত অবস্থায় ২য় বিবাহ করলে পেনশনারের মৃত্যুর পর ২য় স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে।
সূত্র: হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের স্মারক নং-০৭.০৩.০০০০.০১০.১১.৮৬৭.২০১৯-২৩৫; তারিখ: ১৮-০৩-২০২১ খ্রি:
উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, অর্থ বিভাগের ০১-০৪-২০১৮ খ্রি: তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৪.১৫.৪৩ নং স্মারকটির বিষয়ে স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত নির্দেশক্রমে জানানো হলো;
“পেনশন ভোগরত অবস্থায় ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে, পেনশনারের মৃতুর পর তাঁর ২য় স্ত্রী/স্বামী পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হবেন না।”
(খালেদা নাছরিন)
সিনিয়র সহকারী সচিব
ফোন: ৯৫৪০১৮১
পেনশন ভোগরত অবস্থায় ২য় বিবাহ করলে পেনশনারের মৃত্যুর পর ২য় স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতা সংক্রান্ত: ডাউনলোড
প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রশ্ন: মৃত্যুর আগে পেনশনারের সেবা যত্নের জন্য বিয়ে করিয়ে দিলে স্ত্রী কি পেনশন পাবেন?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: পেনশনে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে স্ত্রী কি পেনশন পাবেন?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: পেনশনে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় স্ত্রী থাকলে পেনশন পাবে?
উত্তর: হ্যাঁ।
Pension punosthaponer age husband mara jowa widow wifeder jonno pension punosthapon koto update news ase key?
দু:খিত। এখনও নেই। অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন আমরাও আশাবাদী।
শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী ব্যাক্তি পেনশন পুনঃস্থাপনের আগে মারা গেলেও যেন তার অসহায় পরিবার পেনশন প্রাপ্য হতেপারে এমন কোন দাবি কি মন্ত্রণালয়ে উত্থাপিত হয়েছে? এবং বর্তমানে এটি কি পর্যায়ে আছে? দয়া করে জানাবেন।
এখনও এ ব্যাপারে কোন আপডেট নাই।
একজন সরকারী চাকুরিজীবী কর্মরত থাকা অবস্থায় অন্যজনের তালাকপ্রাপ্তকে 1998 সালে বিজ্ঞ নোটারি পাবলিক থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে তার প্রথম স্ত্রী-সন্তানদের বিনাঅনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন । তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে ভাড়াবাড়িতে রাখতেন। তিনি জুলাই 2008 সালে এককালীন নগদ টাকায় অবসরে যাওয়ার পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী অন্য একজনের কুপ্ররচনায় ডিসেম্বর 2008 সালে তার ভাড়া বাড়ী থেকে নগদ টাকা ও জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে চলে যাওয়ায় তিনি বিজ্ঞ চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিঃ আদালত সাতক্ষীরাতে 406/420/380/34 দ:বি: ধারায় সিআরপি 1791/08 নং মামলা দায়ের করেন। সে হতে ঐ দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে তার মিলিত/যোগাযোগ না হলে স্বামী কতৃৃক স্ত্রীকে 8-7-2008 তারিখ তালাকের নোটিশ দিয়ে 90 দিন পর 20/10/08 তারিখ স্বামীর স্থানী ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি বায়েন তালাক দেন এবং ঐ দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক ও যোগাযোগ ছিল না। ঐ দ্বিতীয় স্ত্রীর তার ওয়ারেশে কোন সন্তানাদী নাই।
উক্ত পেনশনার ব্যক্তি বহুদিন ধরে হৃদরোগসহ নানাবিদ রোগে ভূগিতেছিল এবং তার পৈত্রিক আবাসস্থলে প্রথম স্ত্রী-সন্তানদের নিকট চিকিৎসারত অবস্থায় বিগত 7-10-2021 তারিখ সকাল 8:30 ঘটিকায় তিনি স্ট্রোক জনিত কারনে মৃত্যুবরন করেন।
তার মৃত্যুর পর ঐ দ্বিতীয় স্ত্রী রেজিস্ট্রি তালাক অস্বীকার করে-
(1) ঐ তালাক প্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীর তার ওয়ারেশে কোন সন্তানাদি নাই।
(2) তার স্বামীর হকদার হিসাবে পারিবারিক পেনশন ও তার ইস্থাবর অস্থাবর বিষয়াদি দাবি করে আসিতেছেন।
(3) মৃত্যু ব্যক্তির পারিবারিক পেনশন (EFT) ইনফরমেশন তথ্যে তার প্রথম স্ত্রীর নামে।
(4) ঐ তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রী পারিবারিক পেনশন ও পেনশনারের ইস্থাবর অস্থাবর বিষয়াদির হকদার হতে পারেন কি?
(5) প্রথম স্ত্রী পারিবারিক পেনশনের 17/10/21 তারিখ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে 24/10/21 তারিখ উশিঅ/সদর/সাতক্ষীরা এর 971 নং স্মারকে জেলা একাউন্টস ফিন্যান্স অফিসার সাতক্ষীরাতে প্রেরণ করেন এ পর্যন্ত পারিবারিক পেনশনের কোন কার্যকর হয় নাই।
(উক্ত মামলার পরবর্তী কি অবস্থায় ছিল তথ্য পাওয়া যায় নাই শুধুমাত্র মামলার ফটোকপি সংগৃহিত হয়েছে, মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী সহকারী অনেক আগে মারা গেছেন)
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর তালাক কার্যকর হয়েছে মর্মে কোন সঠিক তথ্য উত্থাপিত হলে তিনি কোন পেনশন প্রাপ্য হবেন না। অন্যথায় প্রাপ্য হবেন এবং আদায় করতে পারবেন।
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর তালাক কার্যকর হয়েছে মর্মে কোন সঠিক তথ্য উত্থাপিত হলে তিনি কোন পেনশন প্রাপ্য হবেন না। অন্যথায় প্রাপ্য হবেন এবং আদায় করতে পারবেন।
১ম স্ত্রী বেচে থাকাকালিন সামী কোন কারনে ২য়া বিবাহ করেছেন।এক্ষেত্রে কি প্রথম ১ম স্ত্রী মারা গেলে কি পেনশন এর সুবিদা পাবে?দয়া করে জানাবেন।
প্রথম স্ত্রী মারা গেলেও পাবে বা বেচে থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রী পেনশন পাবেন।
আসসালামুয়ালাইকুম,
আইনগত পরামর্শ প্রয়োজন :
একজন সরকারি চাকরিজীবী।
সরকারি চাকরিতে কর্মরত ও ১ম স্ত্রী-সন্তান থাকা অবস্থায় ”তালাক প্রাপ্ত অন্যের পক্ষে ২ সন্তানসহ এক মহিলাকে,, তার ১ম স্ত্রী বা সালিশি পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে ভাড়া বাড়িতে রাখতেন।
তার পেনশনের পর ২য় স্ত্রী ২৬/১/২০০৯ তারিখ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারার মামলা করেন এবং বিজ্ঞ আদালতের ০৮/১১/২০১২ তারিখের ১৯ নং আদেশে মামলার দায় হতে আসামিকে অব্যহতি। মামলা নথিজাত।
মাসিক পেনশনরত অবস্থায় ২য় স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ও তার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর বিগত ৮/৭/২০১৪ তারিখ তালাকের নোটিশ প্রেরণ করেন এবং ৯০ দিনের মধ্যে ৩(২) ধারায় কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিগত ২০/১০/২০১৪ তারিখ স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে স্বামীর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যারেজ রেজিস্ট্রার ও কাজীর নিকট তালাক রেজিস্ট্রি করেন। তার পর ঐ নিসন্তান তালাক প্রাপ্ত মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ নাই।
তালাক দাতা( স্বামী)পেনশনরত অবস্থায় বিগত ৭/১০/২০২১ তারিখ ষ্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন। তালাক দাতা পেনশনরত অবস্থায় তালাক দিয়া মৃত্যু বরণ করিলে, দীর্ঘ ৭/৮ বছর অতিবাহিত হওয়ার স্বামীর মৃত্যুর পর বৈধ স্ত্রীর দাবি করে-তাহার সঞ্চিত বা পেনশন বা পারিবারিক পেনশন বা স্থাবর সম্পত্তির হকদার দাবি করেন।
তার পক্ষে বা ওয়ারেশে কোনো সন্তানাদি নাই। স্বামী তালাক দিয়ে ৭/৮ বছর পেরিয়ে মৃত্যু বরণ করিলে সঞ্চিত বা পারিবারিক পেনশন বা স্থাবর সম্পত্তির কিছু পাইতে হকদার হতে পারিবেন কি?
আপনার লেখা পড়ে যে টুকু বোঝা যাচ্ছে, তাতে আমার মতে ২য় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কিছুই প্রাপ্য হবে না। যদি প্রমানাদি ঠিকঠাক দাখিল করতে পারেন। ধন্যবাদ
মহোদয় বিরক্তিকর মনে করবেন না।
পেনশনারের প্রথম স্ত্রীর বয়স ৬৪+ দীর্ঘদিন ধরে গ্যাংগ্ৰিনী রোগে (চলাচলে অক্ষম) পঙ্গত্ত্বসহ নানাবিধ রোগে ভুগিতেছেন। পেনশনার বিগত ৭/১০/২০২১ তাং মৃত্যু বরণের পর পেনশনারের উত্তরাধিকার হিসেবে মূল পেনশন বইসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রদি সংযুক্ত করে পেনশনারের সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষের বরাবর বিগত ১৭/১০/২০২১ তাং পারিবারিক পেনশন পরিশোধের আবেদন মূলে উক্ত নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ বিগত ২৪/১০/২০২১ তাং ৯৭১ নং মঞ্জুরি আদেশ মোতাবেক জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন এবং বিগত ০২/১১/২০২১ তাং জেলা একাউন্টস অফিস মোবাইলের মাধ্যমে পারিবারিক পেনশন আবেদনকারীকে অবগত করেন যে মৃত্যু পেনশনারের ২য় স্ত্রীর ডকুমেন্টসহ পারিবারিক পেনশন সম্পূর্ণ দাবি করে তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
বিগত ২৪/১১/২০১২ তাং জেলা একাউন্টন্স অফিসের পেনশনের দায়িত্বরত সুপার ও জুনিয়র অডিটরের নিকট যেয়ে ঐ অভিযোগকারীর অভিযোগের ও কি কি ডকুমেন্টস জমা দিয়েছেন তার ফটোকপি এবং পেনশনের PPO এর উত্তরাধিকারী মনোনীত বা Family Pensión Información ফটোকপি দেওয়া সবিনয় অনুরোধ করা হলে দেওয়ার কোন বিধান নাই জানালেন।
মৃত পেনশনারের ব্যক্তিগত ফাইল ঘটাঘাটি করে পাওয়া ২য় স্ত্রীর রেজিস্ট্রি তালাকের ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের বহি নং, রেজিঃ নং, পৃষ্ঠা নং ও তারিখ উল্লেখিত ২০/১০/১৭ তাং সত্যায়িত সার্টিফিকেট এবং ২ টা ফৌজদারী মামলার একটিতে ঐ ২য় স্ত্রীর ২৬/০১/২০০৯ তারিখে দায়ের কৃত CR ৭২/০৯ নং যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারা মামলার ফটোকপি পাওয়া, আর খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় তার প্রথম স্বামীর পক্ষে বা ওয়ারেশে ২ টি সন্তান ( ১মেয়ে, ১ ছেলে) আছে।
আমার স্বামীর পক্ষে ঐ দ্বিতীয় স্ত্রীর কোনো সন্তানাদী নাই।
পূনরায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে বিগত ০৪/১২/২০২১ তাং উক্ত রেজিস্ট্রি তালাকের নকল উঠিয়ে বিগত ১২/১২/২০২১ তাং জেলা একাউন্টন্স অফিসের পেনশনের দায়িত্বরত সুপার ও জুনিয়র অডিটর এর হাতে হাতে জমা দেওয়ার জন্য গেলে উক্ত কাগজপত্র জমা না নিয়ে বলেন বরং আপনারা –
(১) পেনশনারের ‘২য় স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়ে আসেন’ নতুবা (২) নতুন করে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে পেনশনারের সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষের পুনঃরায় মঞ্জুরি আদেশ নিয়ে আসেন’ নতুবা (৩) আদালতে মামলা করে রায়ের আদেশ নিয়ে আসেন।
জেলা একাউন্টন্স অফিস হতে মৃত পেনশনারের পারিবারিক পেনশন মঞ্জুর না হওয়ার কারণে অসহায় ১ম স্ত্রী ৬৪+ উদ্ধ বয়সী অসুস্থ বৃদ্ধা মহিলা মানবেতর জীবনযাপন করিতেছেন।
একাউন্টস অফিসকে দ্বিতীয় স্ত্রীর দাখিল কৃত কাগজপত্রাদি দেখতে বাধ্য করা যাবে না। তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর তালাকের কাগজপত্র দাখিল করলে হিসাবরক্ষণ অফিস যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা যুক্তিযুক্ত। আপনি শেষ কর্মস্থল হতে দুই পক্ষের কাগজপত্রাদি দেখিয়ে পুন:মঞ্জুরী নিতে হবে এক্ষেত্রে ডিজি অফিস বা সদর দপ্তর মঞ্জুরী দিতে পারে অথবা আপোসের মাধ্যমে ১ম স্ত্রীর পক্ষে মঞ্জুরী আসতে পারে। অনুগ্রহ করে শেষ কর্মস্থলে যোগাযোগ করে বা দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে যোগযোগ করে বিষয়টি সমাধান করুন। অন্যথায় আদালতের রায় আনতে হবে। বিস্তারিত পড়ে যা বুঝা গেল তাতে ১ম স্ত্রীই পেনশন প্রাপ্য হবেন। ধন্যবাদ
আসসালামুয়ালাইকুম
বিগত ১৮/১২/২১তারিখের লিখিত মতে ১৯/১২/২১তারিখের প্রতি উত্তরের Replay :
মহোদয়,
বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন, আমি মৃত পেনশনারের ১ম স্ত্রী মোছাঃ আনোয়ারা, বয়স ৬৪+, আমি দীর্ঘদিন ধরে গ্যাংগ্ৰিনী রোগে (চলাচলে অক্ষম) পঙ্গত্ত্বসহ নানাবিধ রোগে ভূগিতেছি।
জেলা একাউন্টন্স অফিসের দায়িত্বরত সুপার ও জুনিয়র অডিটরের নির্দেশ মতে-
আমার মৃতু স্বামীর (পেনশনারের) সর্বশেষে নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষের নিকট পুনঃরায় মঞ্জুরি আদেশ জেলা একাউন্টন্স অফিসে প্রেরণের মৌখিকভাবে অনুরোধ করিলে, কর্তৃপক্ষ বলেন – আবেদনের প্রেক্ষিতে ও যাচাই বাছাইঅন্তে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ২৪/১০/২০২১ তারিখের ৯৭১ নং মঞ্জুরি আদেশ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে বিধায় আমার কথামত আর নতুন করে মঞ্জুরি আদেশ দিবেন না।
যদি প্রেরিত ঐ মঞ্জুরি আদেশ ভূল ত্রুটিপূর্ণ হয়ে থাকে জেলা একাউন্টন্স অফিস যথাযথ নিয়মে চাইলেই বিবেচনা করে পুনঃরায় মঞ্জুরি আদেশ প্রেরণ করা হবে।
এবিষয় অবগত করার জন্য বিগত ১৩/১২/২১ তাং আমার ছেলে ও একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে জেলা একাউন্টন্স অফিসের পেনশন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার ও জুনিয়র অডিটরের নিকট বিষয়টি বলিলে তারা বলেন যে আমাদের দাখিলকৃত কাগজপত্র নাকি জালজালিয়াতি এ বিষয়ে আর কোনো কিছু শুনবেন না বা নতুন কোনো ডকুমেন্ট দেখবেনি না বা গ্ৰহণ করিবেন না।
আমার স্বামী ডিসেম্বর-২০১৪, ২0১৭ সালে ও ৩য় বার বিগত ২৬/১১/১৯ হতে ৪/১২/১৯ তাং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য বিষয় সম্পত্তি তার আপন ভাইয়েদের ও ভাতিজাদের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছেন। মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে কোনো রকম দোচালা ঘরে বসবাস করে আসিতেছি।
বিগত ৭ ও ৯ জুন ২০২০ তাং আমার স্বামীর ভাই ও ভাতিজারা সংবাদ সম্মেলন করেন উক্ত সংবাদ সম্মেলন প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “কামরুজ্জামানের পিতা আঃ ছামাদ বহু বিবাহের নায়ক। কামরুজ্জামানেরও একাধিক বিবাহ রয়েছে। —– উক্ত ৭ ও ৯ জুন ২০ তারিখের প্রকাশিত সকল সংবাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ ১ম আদালতে ঘোষণা মূলক ডিক্রী প্রাপন ২০ লক্ষ টাকার দেওয়ানি ৫৭/২০ যাহা দেওয়ানি ৩৫৫/২১ নং মোকদ্দমা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় পারিবারিক রেষারেষির করনে আমার স্বামীর আপন ভাতিজার দায়েরকৃত ফৌজদারি সি আর ৪৯৫/২০নং মামলার আসামি- আমার স্বামী, ছেলে ও মেয়ে বিগত ৩০/৯/২০২১ তাং বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে এসে আমার অসুস্থ হৃদরোগী স্বামী আরোও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এক সপ্তাহের মাথায় বিগত ৭/১০/২০২১ তাং সকাল অনু্ঃ ৮:৩০ ঘটিকায় ষ্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার পকেটে থাকা মাত্র ৩২০০/- টাকা তা দিয়ে আমার স্বামীর দোয়া অনুষ্ঠানে খরচাপাতি হয়েছে। গুচ্ছিত বলতে তার ব্যাংক একাউন্টে অক্টোবর-২১ মাসের পেনশন জমাসহ ১০,৪৮২/- টাকা জের আছে তা উত্তোলন করা সম্ভব নয়। আমার বলতে কিছুই নাই প্রকৃত পক্ষে আমি ভূমিহীন।
পারিবারিক রেষারেষির জেরে আমর স্বামীর পক্ষে নিসন্তান ৭/৮ বছর পূর্বে তালাকপ্রাপ্ত মহিলাকে এনে আমার পারিবারিক পেনশন বন্ধ করে রাখা, আমার ছেলের চাকরিচ্যুত করনের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র, পতিতালয়ের নারী দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকিসহ উপরোক্ত দেওয়ানি মামলা উঠিয়ে নেয়ার হুমকির ভয়ে আমার একমাত্র ছেলে ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী তার নিজ বাড়িতে বসবাস করতে পারছে না। আমার গ্যাংগ্ৰিনীসহ নানাবিধ রোগে চিকিৎসার জন্য মাসিক ৩৫০০ থেকে ৪০০০/- হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়। বিধায় নতুন কোনো মামলা মোকদ্দমা দায়ের করা (পেনশনারের ২য় স্ত্রীর লোকজন —– দিতে চাই, আপনারা কি দিতে পারবেন) ইত্যাদি ইত্যাদি আমার বা আমার পরিবারের সমাথন নাই।
আমার বেঁচে থাকার জন্য আমার স্বামীর পেনশনের PPO NO: 1603-ত Family Pensión Información এ MST. ANOWARA, NID 1480634268, WIFE উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যেয়েও নানাবিধ ষড়যন্ত্রে স্বীকার বিধায় কোনো পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সরকারের অর্থ যাতে অপচয় না হয় তদন্ত পূর্বক আইন ও বিধি/পদ্ধতি মতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে মহোদয়ের নিকট সবিনয় আবেদন জানাচ্ছি।
এই আবেদনটি pfmcafo@cga.gov.bd ইমেইল করেন এবং পেনশন সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য ০২-৪১০৩০২৯০ অথবা ০২-৪১০৩০২৯৬ নম্বর সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রবি থেকে বৃহ: বার পর্যন্ত কল করে বিস্তারিত জানুন এবং পরামর্শ নিন। আপনার স্বামী কোন দপ্তরে চাকরি করতেন?