প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদান, ২য় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদা ও টাইম স্কেল/ সিলেকশন গ্রেড প্রদানের জন্য মহামান্য হাই কোর্টের ২৫/০২/ ২০১৯ সালের পুর্নাঙ্গ রায এর কোন কিছু ই পরিবর্তন না করে অবিকল বাস্তবায়নের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড, গেজেটেড পদমর্যাদা ও টাইম স্কেল /সিলেকশন গ্রেড প্রদানের জন্য মহামান্য হাইকোর্ট ২৫/ ০২/২০১৯ তারিখে একটি রায় প্রদান করেন। রায়ের ইংরেজি কপির সরল অর্থ নিম্নরূপ- যেহেতু তারা ২০১৫ সালের জাতীয় পে স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে দশম গ্রেড প্রাপ্ত হয়েছেন তাই তারা এখন দশম গ্রেড বঞ্চিত হতে পারেন না। ঘটনা ও বিবৃতি বিবেচনায় we are inclined to disposed (অবমুক্ত) the rule.
নিয়ম অনুযায়ী ধারাটি অবমুক্ত করা হলো
কর্তৃপক্ষকে দশম গ্রেড মঞ্জুরের নির্দেশক্রমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদাভুক্ত করা ও by name এ গেজেট প্রকাশ এবং ৪,৮ও১২ বছরের সন্তোষজনক চাকরি বিবেচনায় সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল মঞ্জুরের নির্দেশ দেয়। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি আপিল মামলা দায়ের করেছিলেন। যা আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাংগ বেঞ্চ সরকারের আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক ঘোষণা অনুযায়ী প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকগণ দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছেন ৯ মার্চ ২০১৪।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টের ঘোষিত রায় যা সুপ্রিম কোর্ট বহাল রেখেছেন তা বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন ০৪ বছরে অর্থাৎ ০৯/০৩/২০১৮ সালে ১ম সিলেকশন গ্রেড অর্থাৎ ০২ গ্রেড উপরে ৮ম গ্রেড পাবেন ।পরবর্তী ০৪ বছরে অর্থাৎ ০৯/০৩/২০২২ সালে ১ম টাইমস্কেল পাবেন এবং পরবর্তী ০৪ বছর পূর্তিতে অর্থাৎ ০৯/০৩/২০২৬ সালে ২য় টাইমস্কেল পাবেন/ উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্ত হবেন। ষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের এক ঐতিহাসিক বিজয়।। আজ প্রধান শিক্ষকদের ০৯/০৩/২০১৪ খ্রীঃ থেকে ১০ম গ্রেডসহ
পূর্ণাঙ্গ গেজেটেড মর্যাদা বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা হল
উক্ত রায়ে হাইকোর্টের রায় পুরোপুরি বাস্তবায়নের নির্দেশনা রয়েছে। এই মামলা বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, যার প্রধান বাদী জনাব রিয়াজ পারভেজ।
রায়ের উল্লেখযোগ্য অংশ
- ০৯/০৩/২০১৪ থেকে ১০ ম গ্রেডসহ পূর্ণাঙ্গ গেজেটেড পদ মর্যাদা প্রদান।
- একই তারিখ থেকে ২০১৫ এর পে স্কেলকে পাশ কাটিয়ে ৪ বছরে সিলেকশন গ্রেড ৮ ও ১২ বছরে টাইম স্কেল প্রদানের নির্দেশনা।
সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ কোন প্রকার বিভ্রান্তিতে কান দিবেন না। আমাদের সাথেই থাকুন। সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। এখন সংগ্রাম এই ঐতিহাসিক রায় বাস্তবায়নের। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সকল স্তরের নেতৃবৃন্দসহ সারাদেশের সকল প্রাথমিক শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা।
সাফল্য অর্জনে যারা ভোগান্তির শিকার হয়েছে
এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে জনাব রিয়াজ পারভেজ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও ও অর্থ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী সাসপেনশন ও শাস্তির স্বীকার হয়েছিলেন। কলংকের তিলক আজ তাদের কপালে গৌরবের রাজ তিলক হিসেবে দেখা দিয়েছে। মহামান্য হাইকোর্টে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে রায় আসার পর প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন দশম গ্রেড, গেজেটেড পদমর্যাদা, বকেয়া হয়না। বাই নেইম গেজেট বকেয়া হয় না বা পরবর্তীতে আর ভূতাপেক্ষভাবে প্রকাশ করা যায় না ইত্যাদি। মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের ১৪ পাতার বর্ণিত রায়ে একাধিকবার সংবিধানের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে রেফারেন্স দিয়ে বলা হয়েছে- কোনো নতুন আইনে, পুরনো আইনের প্রাপ্ত সুবিধা কেড়ে নিতে পারে না বা সুবিধা না বাড়িয়ে কমাতেও পারে না। যে সকল প্রধান শিক্ষকবৃন্দ আশংকা করছেন রায় বাস্তবায়িত হলে তাদের অষ্টম ও নবম গ্রেড বাতিল হয়ে যাবে। করসপন্ডিং বাতিল হয়ে যাবে। আশা করি তাদের ভুল ভেঙ্গে যাবে।
কৃতজ্ঞতা: লিপি খাতুন, প্রধান শিক্ষক, প্রতিভাময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিঘলিয়া, খুলনা
প্রচার সম্পাদক খুলনা বিভাগীয় কমিটি,
সিনিয়র সহ-সভাপতি
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতি দিঘলিয়া উপজেলা খুলনা।
মোবাইল-01922-306171