ধরা যাক, নাটোর জেলা সদরে জনাব দিহানের একটি চারতলা আবাসিক বাড়ী রয়েছে। ঐ বাড়ীর নীচ তলায় তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। বাকী তিনটি তলার প্রতিটি আবাসিক ব্যবহারের জন্য মাসিক ভাড়া ১৫,০০০ টাকায় ভাড়া দিয়েছেন।
এ সংশ্লিষ্ট আয় বছরে পৌরকর বাবদ ১৬,০০০ টাকা, ভূমির খাজনা বাবদ ৫০০ টাকা এবং গৃহ নির্মাণ ঋণের ব্যাংক সুদ বাবদ ২০,০০০ টাকা পরিশোধ করেছেন। জনাব দিহানের গৃহ-সম্পত্তি হতে আয়ের হিসাব হবে নিম্নরূ:
মাসিক ১৫০০০*৩টি তলা*১২ = ৫,৪০,০০০/-
বাদ অনুমোদনযোগ্য খরচ:
১। মেরামত ব্যয় (ভাড়ার ২৫%) ১,৩৫,০০০/-
২। পৌর কর (১৬,০০০*৩/৪) ১২,০০০/-
৩। ভূমি রাজস্ব (৫০০*৩/৪) ৩৭৫/-
৪। গৃহ নির্মাণ ঋণের ঋণ (২০,০০০*৩/৪) ১৫,০০০/-
স্বনিবাস ১/৪ অংশ ভাড়া ৩/৪ অংশ ১,৬২,৩৭৫/-
গৃহ সম্পত্তি থেকে নীট আয় ৫,৪০,০০০-১,৬২,৩৭৫ = ৩,৭৭,৬২৫/-
জনাব দিহানের নিরূপিত মোট আয় ৩,৭৭,৬২৫ টাকার বিপরীতে ধার্য্যকৃত করের পরিমাণ হবে।
মোট আয় | ব্যবহার | করের পরিমাণ |
প্রথম ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর | শুন্য | শুন্য |
অবশিষ্ট ৭৭,৬২৫ টাকার আয়ের উপর ৫% | ৫% | ৩,৮৮১/- |
অর্থাৎ করদাতাকে প্রদেয় কর রিটার্ণ দাখিলের সময় বা পূর্বে পরিশোধ করতে হবে। উল্লেখ্য, বানিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত গৃহ-সম্পত্তি ভাড়ার ক্ষেত্রে মেরামত ব্যয় হবে ৩০%।
বি:দ্র: ঢাকা শহরের জন্য নূন্যতম কর পরিশোধ করতে হবে ৫,০০০ টাকা।