সকল সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী (গন কর্মচারী) এর আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। আয়কর আইন ২৬৪(৩) (২৭) ধারা অনুযায়ি সকল গনকর্মচারীর বেতন পরিশোধের সময় প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দাখিল বাধ্যতামূলক- বেতন পরিশোধে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক
রিটার্ণ দাখিলের প্রমানক কি? আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ক্ষেত্রসমূহে একজন ব্যক্তিকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করিতে হইবে। রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ” বলিতে বুঝাইবে— রিটার্ন দাখিলের প্রত্যয়ন বা প্রাপ্তি স্বীকার পত্র অথবা করদাতার নাম, টিআইএন এবং করবর্ষ সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড সার্টিফিকেট; বা করদাতার নাম, টিআইএন এবং করবর্ষ সংবলিত উপকর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়ন।
রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করিতে হইবে কাদের? করারোপযোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে, ২০ (বিশ) লক্ষাধিক টাকার ঋণ গ্রহণকরতে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করিতে রিটার্ণ দাখিল করতে হইবে। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ১০ (দশ) লক্ষাধিক টাকার জমি, বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয় বা লিজ বা হস্তান্তর বা বায়নানামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করিতে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতেও রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার হিসাবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসাবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায় রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। সরকারি কর্মচারী বা গণকর্মচারীর বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতেও রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের আয়কর রিটার্ন ফরম । আয়কর রিটার্ন কত টাকা ।আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণের নিয়ম
টিআইএন থাকলেই রিটার্ন দিতে হবে? গত অর্থবছর থেকে সব টিআইএনধারীর বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। শূন্য আয়ের জন্য কোনো কর দিতে হয় না। কিন্তু রিটার্ন জমা দিতেই হবে।
আয়কর আইন ২০২৩ এর ২৬৪(৩) (২৭) ধারা দেখুন
সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের রিটার্ণ দাখিল করতে হবে । আয় থাকলেও বা না থাকলেও রিটার্ণ দাখিল বাধ্যতামূলক
- জনাব আজীম উদ্দিন রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী পদে চাকরি করেন। তিনি যে বেতন পান, তাতে করের আওতায় এসেছেন। করোনাকালে অনেকের মতো তারও চাকরি চলে গেছে। এখন তিনি বেকার। আয়-রোজগার নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, তাকে কি আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে? হ্যাঁ, দিতে হবে। কারণ আইন হচ্ছে, আয় থাকুক বা না থাকুক, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন থাকলে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। আগে এ নিয়ম না থাকলেও গত অর্থবছর থেকে সকল টিআইএনধারীকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করে সরকার।
- ধরুন আপনার আয় নেই। তাতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এর জন্য আপনাকে কোনো ধরনের প্রশ্ন কিংবা জরিমানা করা হবে না। আয়কর ফরমে লিখতে হবে আয় শূন্য। শূন্য আয়ের জন্য কোনো কর দিতে হয় না। কিন্তু রিটার্ন জমা দিতেই হবে।
সরকারি কর্মচারীদের রিটার্ন দাখিল কি বাধ্যতামূলক?
হ্যাঁ। যাদের বেতন ১৬০০০ টাকা ক্রস করেছে তাদেরই রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। ০৩ লক্ষ টাকা একই অর্থ বছরে আয় ক্রস করলেই ন্যূনতম আয়কর দিতে হবে। রিটার্ণ দাখিল মানেই আয়কর প্রদান নয়, শুন্য রিটার্ণ দাখিলের ক্ষেত্রে কোন ইনকাম ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয় না, শুধুমাত্র রিটার্ণ অর্থাৎ আয় ব্যয় ও সম্পদ, দায়ের হিসাব দিতে হয়।