সরকারি কর্মচারীগণের অবসরকালীন সুবিধাদি/প্রাপ্যতা নিম্নরুপভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। পেনশনযোগ্য চাকরিকাল সর্বনিম্ন ৫ বছর করা হয়েছে যাহাতে ২১% প্রাপ্য। পেনশনের পরিমাণ ৮০% থেকে ৯০% এ উন্নীত করা হয়েছে।
সর্বনিম্ন পেনশন কত টাকা? অবসরভোগীদের পেনশন বৃদ্ধি করা ৪০%, ৬৫ বছরের উর্ধ্বে বয়সধারীদের জন্য ৫০% বর্ধিত করা হয়েছে। সর্বনিম্ন পেনশন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,০০০ টাকা। আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। বা ততোধিক বছর পর্যন্ত আনুতোষিক হার ২৬৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
(খ) অবসর ভোগীদের পেনশন বৃদ্ধি ও সর্বনিম্ন পেনশন নির্ধারণ: ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে হতে অবসর ভোগীদের পেনশন নিম্নোক্ত হারে বৃদ্ধি করা হলো :
আনুতোষিকের হার পুনঃনির্ধারণ : ২০১৫ খ্রিঃ তারিখ হতে তিনি সর্বনিম্ন ৩,০০০/-(তিন হাজার) টাকা পেনশন প্রাপ্য হবেন।পেনশনযোগ্য চাকরিকাল সর্বনিম্ন ১০ বছর থেকে ০৫ বছরে কমিয়ে আনার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ণ পেনশনের ক্ষেত্রে আনুতোষিকের হার বাধ্যতামূলক সমর্পিত প্রতি ১(এক) টাকার বিপরীতে ২৩০/- টাকা অপরিবর্তিত রেখে অর্থ বিভাগের ২৩-১২-২০১৩ খ্রিঃ তারিখের ০৭.০০.০০০০.171.13. ০২৭.১৩.১৬০ সংখ্যক প্রজ্ঞাপনের ক্রমধারায় আনুতোষিকের হার নিম্নরুপ পুন:নির্ধারণ করা হলোঃ আনুতোষিক টেবিল
(ঘ) চাকরি পেনশনযোগ্য হওয়ার আগে স্বাস্থ্যগত কারণে অক্ষম হয়ে পড়া অথবা চাকরি পেনশনযোগ্য হওয়ার আগে মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীকে/পরিবারকে এককালীন বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রদান : একজন সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে যদি তিনি স্বাস্হ্যগত কারণে অক্ষম হয়ে পড়েন, অথবা তাঁর মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত ১৫,০০০/-টাকা এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রদানের স্হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০ ডিসেম্বর ১৯৭৭ তারিখের এম.এফ.(আই.ডি)- ১-২/৭৭/৮৫৬ সংখ্যক অফিস স্মারকের ক্রমধারায় চাকরির মেয়াদের প্রতি বছর কিংবা তার অংশ বিশেষের জন্য তাঁর শেষ আহরিত ৩(তিন)টি মূল বেতনের সমপরিমাণ হারে তিনি অথবা তাঁর পরিবার এককালীন বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রাপ্য হবেন ;
পেনশনারের বিধবা স্ত্রীর আজীবন পেনশন প্রাপ্যতার শর্ত শিথিলকরণ : বর্তমানে প্রচলিত বিধান মতে মৃত কর্মচারীর বিধবা স্ত্রী আজীবন পারিবারিক পেনশন পেয়ে থাকেন। বিধবা স্ত্রীর পুনঃবিবাহ না করার অংগীকার-নামা বা প্রত্যয়ন পত্র দাখিলের শর্ত ৫০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী বিধবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না ;
মৃত মহিলা বেসামরিক কর্মচারীর স্বামীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতা। পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে একজন মৃত মহিলা বেসামরিক কর্মচারীর স্বামী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হলে, বিধবা স্ত্রীর পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার অনুরূপ হারে ও পদ্ধতিতে মৃত মহিলা বেসামরিক সরকারি কর্মচারীর বিপত্নীক স্বামী পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। তবে প্রচলিত সকল বিধি বিধান অনুসরণপূর্বক বিপত্নীক স্বামী সর্বাধিক ১৫(পনের) বৎসর পর্যন্ত পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হবেন।
সরকারি কর্মচারীগণের অবসরকালীন সুবিধাদি/প্রাপ্যতার বিস্তারিত প্রজ্ঞাপনে দেখুন: ডাউনলোড
আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মা পেনশন পাচ্ছে।আমার একটা প্রতিবন্ধি ভাই আছে।তার জন্য নাকি আজীবন পেনশন সুবিধা আছে।তার জন্য কি এখন কিছু করা লাগবে?
এখন কিছু করা লাগবে না। আপনার মায়ের মৃত্যুর পর তার নামে পেনশন ট্রান্সফার করা যাবে।
আমার বাবার এয়ারফোর্স থেকে অবসরের পর আমার বোন আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী হয়েছে। এখন কি আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার বোন আজীবন পেনশন পাবে?
পাবেন। প্রতিবন্ধী সনদ সংগ্রহ করে রাখুন।