শাস্তি । সাময়িক বরখাস্ত । অপসারণ

সরকারি তদন্ত ছাড়াই চাকরিচ্যুত ২০২৫ । মাত্র ৮ দিনের নোটিশে চাকরি হতে অব্যাহতির পূর্বতন আইন বহাল?

সরকার মূলত পুরাতন আইনটিকে নতুন করে কার্যকর করতে যাচ্ছে-২০১৮ সালে যে আইনটি রহিত করা হয়েছিল সেই আইনটি পুনরায় বহাল করা হচ্ছে– সরকারি তদন্ত ছাড়াই চাকরিচ্যুত ২০২৫

তদন্ত ছাড়াই সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে? সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে বিনা তদন্তে যে কাউকে চাকরিচ্যুত বা অব্যাহতি দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। মাত্র ৮ দিনের নোটিশে অব্যাহতি দিতে পারবে সরকার। দাপ্তরিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার। আইনটি সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন পেলে আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন হবে। মূলত ‘সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯’-তে যা ছিল, সরকারি কর্মচারী আইনে তা প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেটি বাতিল হয়েছিল ২০১৮ সালে।

ব্যক্তিগত শুনানী হবে কি? হ্যাঁ। যখন কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধারা-৩ তে বর্ণিত যে কোন অপরাধের জন্য মামলা গ্রহণ করা হয়, তখন নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা এই উদ্দেশ্যে তদকর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ বলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অভিযোগ গঠন করিবেন এবং অভিযোগনামাসহ নোটিশের মাধ্যমে সরকারী কর্মচারীকে, অতঃপর অভিযুক্ত বলিয়া অভিহিত, কেন এই অধ্যাদেশের অধীনে দন্ডিত হইবে না, নোটিশ জারির তারিখ হইতে দুই দিনের কম নয় এবং পাঁচ দিনের বেশী নয়, এইরূপ সময়ের মধ্যে উহার কারণ দর্শাইতে এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানি প্রদান করিতে ইচ্ছুক কিনা তাহাও জানাইতে বলিবেন।

রিভিউ আদেশ কত দিনের মধ্যে? যেক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি, সেইক্ষেত্রে যে সরকারী কর্মচারীর উপর এই অধ্যাদেশের অধীনে দণ্ড আরোপ করা হইয়াছে, তিনি দণ্ড আরোপের আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে আদেশ রিভিউ এর জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং আবেদনের উপর রাষ্ট্রপতি যেইরূপ যুক্তিযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবেন। (৩) উপধারা- (১) এর অধীনে আপিলে প্রদত্ত আদেশ বা উপধারা-(২) এর অধীনে রিভিউতে প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হইবে ।

দীর্ঘ সূত্রিতায় পড়ে থাকবে না চাকরি / সরকারি কর্মচারী বিশেষ বিধান কার্যকর হচ্ছে

চাকরি যাইতে পারে কি? হ্যাঁ। ৪। দণ্ড।-এই অধ্যাদেশের অধীনে নিম্নোক্ত প্রকারের দণ্ড আরোপ করা যাইবে- (এ) চাকরি হইতে বরখাস্ত (dismissal from service); (বি) চাকরি হইতে অব্যাহতি (discharge from service); এবং (সি) পদাবনমিত বা বেতন হ্রাস (reduction in rank or pay) ।

সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯ পিডিএফ ডাউনলোড

নতুন আইন অপরাধ ২০২৫ । কোন সরকারী কর্মচারী নিম্নোক্ত কারণে অপরাধী হইলে তিনি ধারা-৪ এ বর্ণিত যে কোন দন্ডে দন্ডিত হইবেন—

  • (এ) এমন কোন কার্যে লিপ্ত হয়, যাহার কারণে অন্য যে কোন সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে, বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, বা কর্তব্য সম্পাদনে বাঁধার সৃষ্টি করে; অথবা
  • (বি) অন্যদের সহিত সংযুক্তভাবেই হোক বা নাই হোক, ছুটি ব্যতীত বা কোন যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত নিজে কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকেন বা অন্যভাবে বিরত থাকেন বা নিজ কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অথবা
  • (সি) অন্য যে কোন কর্মচারীকে তাঁহার কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকিতে, বা বিরত থাকিতে বা তাঁহার কর্তব্য পালন না করার নিমিত্তে উস্কানি দেয় বা অন্য কোনভাবে প্ররোচিত করে; অথবা
  • (ডি) যে কোন সরকারী কর্মচারীকে কর্মে উপস্থিত হইতে বা কর্তব্য সম্পাদনে নিবৃত্ত করে ।

কৈফিয়ত তলবের কত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাইতে হবে?

প্রস্তাবিত খসড়ায় অভিযুক্ত কর্মচারীকে ২-৫ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব বা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযোগের জবাব না দিলে বা জবাব দেওয়ার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট শাস্তি আরোপ করে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেবে।

(এ) চাকরি হইতে বরখাস্ত (dismissal from service); এবং(বি) চাকরি হইতে অব্যাহতি (discharge from service);(সি) পদাবনমিত বা বেতন হ্রাস (reduction in rank or pay) ।
   
   

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে alaminmia.tangail@gmail.com ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *