সাময়িক বরখাস্তের অর্থ হইতেছে কোন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে কিছুদিনের জন্য সরকারী কার্য সম্পাদনে, দায়িত্ব পালনে, সরকারী ক্ষমতা প্রয়ােগে বিরত রাখা এবং কতিপয় সরকারী সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার হইতে বঞ্চিত রাখা। সাময়িক বরখাস্তকালে প্রাপ্য সুবিধাদি প্রাপ্য এবং প্রাপ্য নয়।
অনেক সময় দেখা যায় যে, কর্তৃপক্ষ বেতন ও ভাতাদি এরিয়ার পরিশোধ করলেও বকেয়া উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা প্রদান করতে চান না। মূলত এটি করার কোন সুযোগ নেই। সকল প্রকাশ বকেয়া সাময়িক বরখাস্ত বাতিল হলে বা নির্দোষ সাব্যস্ত হলে তাকে পূর্ণ হারে প্রদান করতে হবে।
সাময়িক বরখাস্তকালীন প্রাপ্য সুবিধাদি
সংস্থাপন বিভাগের ১০-৫-১৯৮৩ তারিখের স্মারক নং ED (Reg. IV)202/83-39 অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তকালীন প্রাপ্য সুবিধাদি নিম্নরূপ- বেতন ভাতা :
- বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস্, প্রথম খণ্ডের বিধি-৭১ এবং ফান্ডামেন্টার রুলস্ এর রুল-৫৩(বি) বিধির অধীনে মূল বেতনের অর্ধ হারে খােরাকী ভাতা প্রাপ্য।
- সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে উত্তোলিত হারে পূর্ণ বাড়ীভাড়া ভাতা প্রাপ্য।
- সাময়িক বরখাস্তের পর্বের হারে বাড়ী ভাড়া প্রদানের ভিত্তিতে সরু বাসভবনে বসবাস করিতে পারিবেন।
- সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে উত্তোলিত হারে পূর্ণ চিকিৎসা ভাতা প্রাপ্য।
- সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার অর্ধেক প্রাপ্য।
ক্ষতিপূরণ ভাতা প্রাপ্যতা
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২৪-৬-১৯৮০ তারিখের স্মারক নং অ: ম:/এবি-২/ভাতা-৮/৮০১৬০ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ভাতা পূর্ণ হারে প্রাপ্য।
উৎসব ভাতা প্রাপ্যতা
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৩০-৭-১৯৮৪ তারিখের স্মারক নং অম-অবি (বা) ৪-এফ, বি১২-৮৪ (অংশ)/১০৭ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের সাময়িক বরখাস্তের অব্যবহিত পূর্বে আহরিত মূল বেতনের যে অংশ খােরাকী ভাতা হিসাবে প্রাপ্য সেই অংশের সমান উৎসব ভাতা পাইবেন।
উৎসব ভাতার বকেয়া প্রাপ্যতা
অর্থ বিভাগের ৩০-৯-১৯৮৫ তারিখের স্মারক নং এম, এফ/এফ-ডি (ইমপি)-৪এফ-বি/১২/৮৪/১১৫ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়কে পরবর্তী সময়ে কর্তব্য কর্মে রত হিসাবে গণ্য করিয়া বিধি মােতাবেক বকেয়া বেতন ও ভাতা প্রদান করা হইলে, সেই ক্ষেত্রে উৎসব ভাতার বকেয়া পাইবেন।
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে যে সকল সুবিধাদি প্রাপ্য নহে
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১০-৫-১৯৮৩ তারিখের স্মারক নং ED (Reg. IV202/83-39 অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত সুবিধাদি প্রাপ্য হইবে না। যথা
(১) যাতায়াত ভাতা।
(২) ভ্রমণভাতা।
(৩) আপ্যায়ন ভাতা বা আপ্যায়ন খরচ।
(৪) বাসায় টেলিফোন সুবিধা।
(৫) বাসায় অর্ডারলির সুবিধা।
(৬) বাসায় পত্রিকার সুবিধা।
সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে খোরাকি ভাতা ও অন্যান্য ভাতা বন্ধ রাখলে এবং আদালতের আদেশ পালন না করলে ম্যানেজিং কমিটি কি ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
কৈফিয়ত তলব ছাড়া বড় কোন শাস্তির সম্মুখীন হয় না।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী ০১/০৯/২০২৪ইং তারিখে মাদ্রাসায় যোগদান করেছি। সুপার বেতন ভাতা দিতে চাইছেন।
দিতে না চাইলে সুপারের নিকট ব্যাখ্যা চান। আদালতের আদেশ দেখান। প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলুন।
সাময়িক বরখাস্তকালিন শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা না পাওয়ায় পরবর্তীতে বরখাস্তের আদেশ বাতিল হলে/চাকরীতে পুনঃবহাল হলে, উক্ত সময়ের/পূর্বের শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা পাওয়ার সুযোগ আছে কি?
শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি ব্যাক ডেটে বা বকেয়া পাওয়া যায় না।