আয়কর । ভ্যাট । আবগারি শুল্ক

One Leaf Return Submission 2024 । সঞ্চয়পত্রধারীর অনলাইনে ০১ পৃষ্ঠার আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম কি?

প্রতিবছর আয়কর দাখিল স্বল্প আয়ের কর্মচারীদের জন্য একটি বিরাট ঝামেলার ব্যাপার। সাধারণ জনগণ যাতে আয়করমুখী হতে পারে এবং সহজে রিটার্ণ দাখিল করতে পারে এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ০১ পাতার রিটার্ণ ফরম তৈরি করেছে। এছাড়াও অনলাইনেও ঘরে বসেই আয়কর রিটার্ণ দাখিল করা যাবে-এখন অনলাইনেও এক পাতার ফরম সাবমিট করা যায়-

প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যক্তিগত করদাতার পরিমাণ বৃদ্ধি এবং আয়কর রিটার্ন সহজীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক পৃষ্ঠার নতুন আয়কর রিটার্ন প্রবর্তন করেছে। যা IT-GHA 2020 নামকরণ করা হয়েছে। Income-Tax Rules, 1984 সংশোধন করে rule-24 এর sub-rule (1) এরপর নতুন sub-rule (1A) এবং ফরম সন্নিবেশিত করা হয়েছে। sub-rule (1A) অনুসারে যারা এক পৃষ্ঠার নতুন এই আয়কর রিটার্ন ফরম ব্যবহার করতে পারবে।

যেসকল ব্যক্তিগত করদাতার বার্ষিক আয় ৪,০০,০০০ টাকার কম এবং মোট সম্পদ ৪০,০০,০০০ টাকার নিচে শুধুমাত্র তারা এই ফরম ব্যবহার করতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, যাদের মোটর গাড়ি আছে অথবা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ী/অ্যাপার্টমেন্ট আছে তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

আয়কর দাখিল করুন ০১ পৃষ্ঠার আয়কর রিটার্ন ফরমে

আয়কর দাখিল করুন ০১ পৃষ্ঠার আয়কর রিটার্ন ফরমে: ডাউনলোড

অনলাইনে ১ পাতার রিটার্ন দাখিল করা যায় কি?

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার জন্য সম্মানিত করদাতাবৃন্দকে etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। তারপর উক্ত ওয়েবসাইটে খুব সহজেই অনলাইন রিটার্ন পূরণ করে দাখিল করা যাবে। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, ওয়েবসাইটের রিটার্ন পূরণের সেকশনে আয় ও সম্পদের যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করার পরে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়করের হিসাব সম্পন্ন করে দেয়। শুধু তাই নয়, সাথে সাথে অনলাইন থেকেই প্রাপ্তিস্বীকারপত্র এবং আয়কর প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করা যায়।

যাদের জন্য আয়কর প্রযোজ্য? বাংলাদেশে ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। রিটার্ন দাখিলের আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইট থেকে চলতি অর্থবছরের কর নির্দেশাবলী পড়তে ভুলবেন না। এনবিআরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তাকে আয়কর দিতে হবে। তবে নারী ও ৬৫-ঊর্ধ্ব নাগরিকদের করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ টাকা। আর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া, পূর্ববর্তী কর মূল্যায়ন, শহরে বাসস্থান, গাড়ির মালিকানা, নির্দিষ্ট কিছু পেশার সদস্যপদ, ব্যবসা পরিচালনা এবং দরপত্র বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্যও আয়কর পরিশোধ করতে হয়। এটি নিবন্ধিত কোম্পানি ও এনজিওগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *