জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের আবেদনের সাথে রোগভিত্তিক আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে- পরীক্ষা নিরীক্ষা বা প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট ছাড়া জটিল ও ব্যয় বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান পাওয়া যাইবে না–জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান ২০২৪
জটিল রোগের জন্য কত টাকা অনুদান পাওয়া যায়? কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিজে কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করালে জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের দেশে বিদেশে চিকিৎসা সাহায্য তহবিল হতে চাকরি জীবনে এক বা একাধিকবারে সর্বোচ্চ ২ (দুই) লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। ক্যান্সার, হ্নদরোগ, কিডনি-ব্যাধি, হেপাটাইটিস, ডায়াবেটিস-মেলিটাস, পক্ষাঘাত, বক্ষব্যাধি, কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ-সংযোজন সংক্রান্ত রোগ ও দুর্ঘটনায় মারাত্নকভাবে আহত হওয়া এবং এ সংক্রান্ত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ বলে চিহ্নিত যে কোন রোগও এর অর্ন্তভূক্ত হবে।
অনুদানের টাকা কি ব্যাংক আসে? হ্যাঁ। আবেদনসমূহ প্রাপ্তির পর সফটওয়্যারে এন্ট্রি করে তালিকা তৈরি এবং SMS এর মাধ্যমে আবেদনের ডিজিটাল ডায়েরী নম্বর, তারিখ ও আবেদনে কোন ত্রুটি থাকলে তা জানিয়ে দেয়া হয়। বাছাই কমিটিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা রোগের সঠিকতা নিরুপন, কাগজপত্রসমূহ পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং অর্থ সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় চূড়ান্ত অর্থ মঞ্জুরি প্রদান করা হয় এবং SMS এর মাধ্যমে মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হয়। সেবাপ্রার্থীর নামে মঞ্জুরিকৃত অর্থ সেবাপ্রার্থীর ব্যাংক হিসাবে EFT এর মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হয় এবং অগ্রায়নপত্রের মাধ্যমে এডভাইস লেটার জনতা ব্যংকে প্রেরণ করা হয়। এ সংক্রান্ত সকল তথ্য বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.bkkb.gov.bd) থেকে জানা যায়
কি কি রোগের জন্য ২ লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়া যায়? নির্ধারিত আবেদন ফরম নং ০৮ পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি প্রতিস্বাক্ষর করে সংযুক্ত করে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, প্রধান কার্যালয়, ১ম ১২তলা সরকারি অফিস ভবন, সেগুনবাগিচা, ঢাকা বরাবরে একটি ফরওয়ার্ডিং চিঠির মাধ্যমে প্রেরণ করতে হয়। কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিজের চিকিৎসার জন্য চাকরি জীবনে এক বা একাধিকবারে সর্বোচ্চ ২ (দুই) লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। ফরমের নির্ধারিত স্থানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যয়ন এবং মৃত কর্মকর্তা কর্মচারীর অফিস কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরসহ নামযুক্ত সিল প্রদান। জটিল ও ব্যয়বহুল রোগঃ হার্ট ষ্ট্রোক, ব্রেইন ষ্ট্রোক, বাইপাস সার্জারী, হার্টে রিং পড়ানো, ক্যান্সার, কিডনী ডায়ালাইসিস, কিডনী ট্রান্সফার, মারাত্মক দূর্ঘটনাজনিত কারণে অঙ্গহানি।
ব্যয় বহুল ও জটিল রোগের জন্য অফ-অনলাইনে আবেদন করতে হয় / আবেদন ফরম কোথায় পাবো?
জটিল ও ব্যয় বহুল রোগের জন্য আবেদন ফরম এখানে সংগ্রহ করুন: ডাউনলোড
Caption: instruction from bkkb
জটিল ও ব্যয়বহুল রোগসমূহ । যে রোগ হলে ২ লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়া যাইবে
- ক্যান্সার
- হ্নদরোগ
- কিডনি-ব্যাধি
- হেপাটাইটিস
- ডায়াবেটিস-মেলিটাস
- পক্ষাঘাত
- বক্ষব্যাধি
- কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ-সংযোজন সংক্রান্ত রোগ ও দুর্ঘটনায় মারাত্নকভাবে আহত হওয়া এবং এ সংক্রান্ত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ বলে চিহ্নিত যে কোন রোগও এর অর্ন্তভূক্ত হবে।
আবেদনের সাথে কাগজপত্র কি কি দিতে হয়?
আবেদনের সাথে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকলে মূল ছাড়পত্র (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত), চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল ভাউচার এর মূলকপি (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত), চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপত্র ও রিপোর্ট (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত), চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের হিসাববিবরণী (কর্মচারীর স্বাক্ষর সহ), জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫-এ বেতননির্ধারণ (Payfixation) ফরমের সত্যায়িত ফটোকপি, নূন্যতম জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়ন ও অগ্রায়ন হতে হবে। ৬টি ডকুমেন্টের সাথে রোগের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টও আবশ্যিকভাবে দাখিল করতে হবে।
জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র https://bdservicerules.info/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a7%ab-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0/