সরকারি কল্যাণ তহবিলে কর্তনের হার ২০২৫ । বেতন থেকে সর্বোচ্চ হার ১৫০/- যা কর্মচারী-কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সমান?
সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণ ভাতা ১৫০ টাকার বিনিময়ে আর্থিক অনুদান দেওয়া যায়-এখানেও কর্মচারীদের তুলনায় কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুদানের পরিমাণ বেশি দেওয়া হয় কিন্তু চাঁদার পরিমাণ একই রাখা হয়েছে – সরকারি কল্যাণ তহবিলে কর্তনের হার ২০২৫
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড কি? বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (BKKB) হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে একটি সংস্থা, যা সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই বোর্ডটি প্রধানত সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক, সামাজিক ও পেশাগত কল্যাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বোর্ডের মূল কাজগুলো হলো আর্থিক সহায়তা প্রদান: অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, বা মৃত্যুজনিত ক্ষেত্রে কর্মচারী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। শিক্ষা সহায়তা কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান। গৃহঋণ ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্বল্প সুদে গৃহঋণ বা অন্যান্য ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম কর্মচারীদের জন্য ক্রীড়া, সংস্কৃতি, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রমের আয়োজন। পেনশন ও অবসর সুবিধা বিষয়ে সহায়তা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সেবা প্রদান।সরকারি কর্মচারীদের একটি সুশৃঙ্খল, সুখী ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা, যাতে তারা মনোযোগ সহকারে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়? বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাধারণ চিকিৎসা অনুদান, জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা অনুদান, মাসিক কল্যাণ ভাতা, যৌথ বীমা অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি, দাফন অনুদান এবং পরিবহন সুবিধা। সাধারণ চিকিৎসা অনুদান: সরকারি কর্মচারী ও তার পরিবারের জন্য সাধারণ চিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়া হয়। জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা অনুদান: গুরুতর অসুস্থতার জন্য চিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়া হয়।
প্রতি মাসেও ভাতা পাওয়া যায়? হ্যাঁ। মাসিক কল্যাণ ভাতা সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি মাসিক কল্যাণ ভাতা প্রদান করা হয়।যৌথ বীমা অনুদান সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুতে তার পরিবারকে এককালীন অনুদান দেওয়া হয়। শিক্ষাবৃত্তি/সহায়তা সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি/সহায়তা দেওয়া হয়। দাফন অনুদান: সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর দাফন খরচ বাবদ অনুদান দেওয়া হয়। পরিবহন সুবিধা কর্মচারীদের অফিসে যাতায়াতের জন্য স্টাফ বাস এবং অন্যান্য পরিবহন সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। এসব সুবিধা পেতে সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হয়।
কল্যাণ ভাতাও বৈষম্য ২০২৫ । কলম তো ওদের হাতে ছিল, এখনো আছে, পৃথিবীর সকল দেশে পে-স্কেল দেয়ার আগে প্রত্যেক গ্রেডের একজন সদস্য থাকে এবং সন্তুষ্ট হলে স্বাক্ষর দিলেই পে-স্কেল পাশ হবে। বাংলাদেশে ও পে-স্কেল কমিটিতে প্রতি গ্রেডের একজন সদস্য রাখতে হবে, সচিব পর্যায়ের কমিটি বাদ দিতে হবে
মাসিক কল্যাণ ভাতার হার কত? সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার পরিবার মাসিক কল্যাণভাতা হিসেবে নির্দিষ্ট হারে টাকা পায়। মৃত্যুর তারিখের উপর নির্ভর করে এই হার বিভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, মৃত্যুর পর প্রথম ১৫ বছর পর্যন্ত এই ভাতা প্রদান করা হয়। বর্তমানে, মৃত্যুর পর মাসিক কল্যাণভাতার হার হলো ১ জুলাই, ২০১৯ বা এর পর মৃত্যুবরণ করলে মাসিক ২০০০ টাকা। ১ জুলাই, ২০১৯ এর আগে মৃত্যুবরণ করলে মাসিক ১০০০ টাকা। এই ভাতা পাওয়ার জন্য সরকারি কর্মচারী বা তার পরিবারের অনলাইন আবেদন করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড।
Caption: BKKB Facilites
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (বিকেকেবি) সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে, যা তাদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এই সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে কল্যাণ ভাতা, যৌথ বীমা, চিকিৎসা অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি, দাফন অনুদান, এবং জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা।
- মাসিক কল্যাণ ভাতা: কর্মজীবনে বা অবসরকালে কর্মচারীর জন্য একটি মাসিক ভাতা প্রদান করা হয়, যা তাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
- যৌথ বীমা: চাকরিরত অবস্থায় বা পিআরএল ভোগরত অবস্থায় কোনো কর্মচারী মারা গেলে তার পরিবারকে একটি অনুদান দেওয়া হয়।
- সাধারণ চিকিৎসা অনুদান: কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বা পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
- জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান: ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিস, পক্ষাঘাত ইত্যাদি জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়।
- শিক্ষাবৃত্তি: সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়, যা তাদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা করে।
- দাফন অনুদান: কোনো কর্মচারী মারা গেলে তার পরিবারকে দাফন অনুদান দেওয়া হয়, যা শেষকৃত্যের খরচ বহন করতে সাহায্য করে।
- সাধারণ চিকিৎসা অনুদান: বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এর জন্য অনলাইন আবেদন করা যায়। এই সুবিধাগুলো সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য নিরাপত্তা তৈরি করতে সাহায্য করে।
অবসরে গেলে কি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে সুবিধা পাওয়া যায়?
অবসরে গেলে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড হতে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। এই সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে মাসিক কল্যাণ ভাতা, যৌথ বীমা, দাফন অনুদান এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মূল কাজ হলো সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণ সাধন করা। অবসর গ্রহণ বা অন্যান্য কারণে চাকরি থেকে অপসারিত হলে বা মৃত্যুবরণ করলে তাদের জন্য কল্যাণ ভাতা, যৌথ বীমা, দাফন অনুদান ইত্যাদি সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিজ বা পরিবারকে মাসিক কল্যাণ ভাতা প্রদান করা হয়। এই ভাতা ১৫ বছর বা কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবসর গ্রহণের পর ১০ বছর যা আগে আসে পর্যন্ত দেওয়া হয়। যৌথ বীমা সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য যৌথ বীমা সুবিধা রয়েছে। এটি তাদের পরিবারকে আর্থিক নিরাপত্তা দিতে সাহায্য করে। দাফন অনুদান কোনো কর্মচারী মারা গেলে তার পরিবারকে দাফন অনুদান দেওয়া হয়। অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, যেমন- সন্তানদের জন্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এই সুবিধাগুলো সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরকালে আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে।