জাতীয় বেতন ও ভাতাদি আদেশ জারি করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। ১৯৭৩ সালের প্রথম পে স্কেল হতে চলতি পে স্কেল ২০১৫ পর্যন্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ৫ বছর অন্তর অন্তর পূর্বের পে স্কেলগুলো জারি হয়েছে-নবম পে স্কেলের সর্বশেষ খবর ২০২৪
চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত ৮ বছর চলমান থাকলেও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও সরকারের সদ্ব্যচিন্তার অভাবে এখনও পর্যন্ত পে স্কেল বা ৯ম জাতীয় বেতন ভাতাদি আদেশ জারি করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের কথা প্রাথমিকভাবে ভেবেছি। এর রূপরেখা কি হবে সেটা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবো।
পে স্কেল কেন জারি করার সময় হয়েছে? দেশের বাজারে পন্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থ বছরেও দেশের বাজারে মূল্যস্ফিতি ১০.১৮ ছাড়িয়েছে। প্রতিবছর ৫% হারে সরকারি কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়। সে হিসাবে দেখা যাবে যে, প্রতি বছর যে হারে মূল্যস্ফিতি বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় সেই হারে বেতন বৃদ্ধি হয়না। তাই দ্রব্য মূল্যের সাথে বেতন ভাতাদি এখন সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাছাড়া চলতি বছর দ্রব্যমূল্য ৫০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পে স্কেল জারি হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
এ বছর কি পে স্কেল জারি হবে? দ্রব্যমূল্যের গতির সাথে বেতন ভাতাদি যদিও পেরে উঠছে না তবুও সরকারি কর্মচারিদের আশা জাতীয় পে কমিশন গঠন করে একটি সূরাহা হবে। মহার্ঘ ভাতা যদি প্রদান করা না হয় নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীগণ ধার দেনায় ডুবে যাবে। তবে যেহারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলেছে গামেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি ঘোষণা আসলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতার উপর ৫০% মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা আসতে পারে সেটি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এখনও পর্যন্ত নতুন সরকার ব্যয় সংকোচন করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে তবে উপদেষ্টা মন্ডলীর পক্ষ আবাস পাওয়া গেছে তাই বলা যায় যে, চলতি বছর সরকার থেকে কোন একটি ঘোষণা আসবে।
নবম পে স্কেলের সম্ভাবনা । বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগতি কি হচ্ছে?
নবম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা, পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে টিপটপ ভাতা প্রদান, ১০০ ভাগ পেনশন পুনবহাল এবং পেনশন গ্র্যাচুইটির হার ১:৫০০ টাকা নির্ধারণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবেদন করেছেন। দাবিসমূহ নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদনের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্রঃ ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম
বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট কি ১০% হওয়া উচিৎ? সরকারি কর্মচারীগণ জাতীয় পে স্কেল মোতাবেক বার্ষিক প্রায় ৫% হারে ইনক্রিমেন্ট পেয়ে থাকে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ বেতন বৃদ্ধির ধাপগুলো সেভাবে সাজানো হয়েছে। মোট কথা বাজারে মূল্যস্ফিতির সাথে বেতন বৃদ্ধির সমন্বয় হচ্ছে না। গত ৭ বছরে ৪০% বেতন বৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফিতি বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০-১০০%। এ বছরের আরও ৫০% মূল্য বৃদ্ধি যোগ করা যেতে পারে তাহলে ৭ বছরে মূল্য বৃদ্ধি ২ দ্বিগুন থেকে তিনগুন পর্যন্ত ঠেকেছে। এমতাবস্থায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির ফলে নতুন পে কমিশন গঠনের মাধ্যমে ৯ম পে স্কেল ঘোষণাসহ অন্যান্য বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ন্যূনতম মহার্ঘ ভাতা ছাড়া কর্মচারীদের জীবন যাপন অসম্ভব হয়ে পড়বে। নতুন পে স্কেলে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট অবশ্যই ১০% এর নিচে রাখা ঠিক হবে না।
বর্তমান সরকার কি ইঙ্গিত দিয়েছে? নতুন চাকরিজীবীদের কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে এই কারণে যে নিচের গ্রেডে অর্থাৎ ১১-২০ গ্রেডে চাকরি করে সংসার চালাতে পারছে না। বর্তমানে বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে বেতন ভাতাদি প্রদান করা না হলে অনেক সরকারি কর্মচারী অর্ধাহারে থাকবে আবার কেউ কেউ আত্ম হননের পথও বেছে নিবে। এমতাবস্থাও সরকার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় পে স্কেল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে। সম্প্রতি প্রেস কার্যালয়ের সামনে মানবন্ধন হয়ে গেল এবং সামনে আরও কর্মসূচী ঘোষণা করা হচ্ছে।
নতুন পে স্কেল কবে হবে? নতুন পে স্কেল ২০২৪ আপতদৃষ্টিতে হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। সরকারের আলোচনা ও দৃষ্টি ভঙ্গি এমনটিই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই নতুন পে স্কেল ২০২৪ না বলে ২০২৫ বলাই উত্তম। ১৯৭৩ সাল হতে পে স্কেল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ২০২০ সালেই পে স্কেল ঘোষণা করা উচিৎ ছিল কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয়াদি বিবেচনা করে বৈরাচারী সরকার পে স্কেল ঘোষনা করেনি। পে স্কেল ঘোষণা করা হলেও কিছু সময় নিয়ে সে কাজ সম্পন্ন করবে বলে সরকার মনে হচ্ছে তবে মহার্ঘ ভাতা ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের জীবন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নাজেহাল।
পে কমিশনের সর্বশেষ খবর ২০২৩ । নতুন পে স্কেল আন্দোলন বা মানববন্ধনের ফলস্বরূপ!
ট্যাগ: নতুন পে স্কেল কবে হবে ২০২৪, পে কমিশনের সর্বশেষ খবর ২০২৪, নতুন পে স্কেল কবে হবে, আলোচনায় নতুন পে-স্কেল, ৯ম পে কমিশন ও মহগ্র ভাতা, প্রস্তাবিত পাই বেতন স্কেল, পে স্কেলের হিসাব, নবম পে স্কেল 2024
দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৫%, না জেনে ভূল কিছু লিখবেন না।
প্রমানক দিন। দৈনিক পত্রিকা থেকে দিবেন। আমি আপনি বললে না দেখলে হবে না। এসকল জিনিসের দাম তো ৬৫% বাড়েনি। রেফারেন্স দিন। যদিও আমি আপনার তথ্য মতে আপডেট করে দিলাম। কিন্তু জাতীয় দৈনিকের গত ৭ বা ৫ বছরের গড় রিপোর্ট প্রকাশ হতে হবে।
সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি। ধার দেনায় পরে যাচ্ছি , দেনাও শোধ করতে পারছিনা।কিভাবে বাঁচব?
সকল কর্মচারীরই একই অবস্থা। অর্থনীতির এরূপ পরিস্থিতিতে সরকারও কোন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
mansiamro@gmail.com
manob bondhon ki hoyeche ? paper e to kono news holo na .
প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পত্রিকাগুলো কোন নিউজ করেনি। ব্যাপার খুবই হতাশাজনক।
একজন নিম্ন গ্রেডের সরকারি চাকরি জিবি মাসে বেতন পায় ১৫-২০ হাজার টাকা। মাস শেষে দেখা যায় পরিবারের সংসার চালানো বাজার করা,বিদুৎ বিল গ্যাস বিল, বাসা ভাড়া,বাবা মা কে কিছু টাকা দেওয়া এগুলো খরচ করার পরে দেখা যায় হাতে অবশিষ্ট কোনো টাকা ই থাকে না পুরো মাস টা যে আমাকে চলতে হবে সেই টাকা টাই আমার হাতে থাকে না। অপর দিকে একজন রিকশা চালক ও দৈনিক ১০০০ টাকা করে ইনকাম করে থাকে কারন এখন ভাড়া অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই দিকে হিসেব করলে দেখা যাবে রিকশা চালক মাস শেষে ৩০,০০০ হাজার টাকা ইনকাম করছে, মাস মেষে তার কাছে টাকা থাকছে কিন্তু আমি সরকারি চাকরি করি আমার কাছে মাস চলার মতো টাকা নেই। এখন তো আমরা রিকশা চালকদের থেকে ও নিম্ন জায়গায় নেমে গেছি। দেশের বাজার দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি সব দিক বিবেচনা করলে সরকারি চাকরি জিবিদের ঘরে সবসময় টানা পোড়া লেগে ই থাকে। সবসময় ডিপ্রেশনে থাকতে হয় এক পর্জায়ে চাকরি ছেরে দেওয়ার প্রবনতা দেখা দেয়।
বর্তমান সময়ে অন্যান্য দেশের সরকারি চাকরীজিবিদের যেভাবে বেতন ভাতা দেওয়া হয় সেভাবে আমাদের বাংলাদেশে দেওয়া হয় না
বিষয় গুলো উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আশা দরকার
সহমত।
বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এর মাধ্যমে সরকারের টনক নাড়াতে হবে এজন্য বড় একটি সম্মেলন করা উচিত অতি দ্রুত।
সহমত। কিন্তু সরকার এখন রিজার্ভ ঘাটতি ও অর্থ কষ্টে আছে। সরকার চাইলে ব্যয় বৃদ্ধি করতে পারবে না। বাজেট ব্যবহারে সরকার এখন সতর্ক।
আমি এক জন স্কুলের এমএলএস পদে চাকরি করি আমার বেতন ১১০০০হাজার টাকা ২ ছেলে ও আমার মা বাবা আমরা চলবো এই টাকা বতমান বাজারে যেই অবস্থা
দেশের অবস্থা নাজুক। তাই সরকার বর্তমানে পে স্কেল নিয়ে ভাবছে না।
সহমত
Test Comment
বেতনের প্রায় সব টাকাই লোনের কিস্তি পরিশোধে ব্যয় হয়।৬ জনের সংসার কিভাব চালাই।
কথা সত্য।
এই অবস্থায় খুব দ্রুত পে স্কেল জরুরি
জি। সহমত।
শুধু সরকারি চাকরি জিবিদের কথায় চিন্তা করলে হবেনা, বেসরকারী অথবা মালিকানা কোম্পানিগুলোতে জব ম্যান আছে এদের কথাগুলোও ভাবতে হবে, কারন ওরাও তো মানুষ ওদের ও ফ্যামিলি আছে এবং তাদেরও সংসার খরচ আছে,,, তাদের বেতন স্কেল এর দিকেও নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
দূরত্ব নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন করার দাবি জানাচ্ছি
ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করাতে পারছি না
যা টাকা বেতন পাই
সেই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি
জি। এমন অবস্থা প্রায়দের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
জি। অবশ্যই
এই বেতন দিয়ে খরচ চালানো অনেক কষ্ট হয়। তার উপর আকস্মিক কোনো সমস্যা যেমন অসুখ-বিসুখ হলে তো কষ্টের সীমা অতিক্রম হয়ে যায়। মনে হয়, পড়ালেখা করে নিজের কত ক্ষতি করেছি এই দেশে।
সেটি অনেকেরই মনে হচ্ছে। কেউ কেউ চাকরি হারিয়ে নতুন চাকরিও ম্যানেজ করতে পারছে না। কম বেতন আর চাকরিহীনতা এখন শিক্ষিত যুবকদের অভিশাপরূপে আবির্ভূত হয়েছে।
আমি একজন মাধ্যমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আমার বেতন স্কেল ৮২৫০ টাকা সর্বসাকুল্যে পাই প্রায় ১০,০০০ টাকা এই বেতনে বাবা-মা স্ত্রী সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতেছি অনেক ধারদেনা করে তাই ৯ম জাতীয় পে স্কেল যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে জিবন যাপনে কিছুটা সস্থি পাবো
জি। আপনার মত অসংখ্যা কর্মচারী রয়েছে। আমরা আশা করছি সরকার অবশ্যই ব্যাপারটি দেখবে।
Payscal 2025 may be published news by the government in Bangladesh as a geiget.
. At Least per job holder get 25,000 TK & maximum 150000 Tk. So be patient.