সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দশম অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৫১ এর উপ-অনুচ্ছেদ ৪ অনুসারে কর্মচারী অবসরে থাকা অবস্থায় যদি কোন গুরুতর অপরাধ করেন বা অসদাচরণ করেন তবে সরকার চাইলে তার পেনশন সুবিধা সংকুচিত, আংশিক বাতিল বা স্থগিত বা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।
৫১। অবসর সুবিধা স্থগিত, প্রত্যাহার ইত্যাদি । (১) কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের সংশ্লেষ রহিয়াছে এমন কোনো বিচারিক বা বিভাগীয় কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে, উহার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, তিনি, ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত তাহার চাঁদা এবং উহার সুদ ব্যতীত, অন্য কোনো অবসর সুবিধা প্রাপ্য হইবেন না।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অবসর সুবিধা, অনুরূপ কার্যধারায় প্রদত্ত আদেশ সাপেক্ষে প্রদেয় হইবে।(৩) কোনো সরকারি কর্মচারীকে, এই আইনের অধীন, চাকরি হইতে অপসারণ বা বরখাস্ত করা হইলে, তিনি ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত তাহার চাঁদা এবং উহার সুদ ব্যতীত, অন্য কোনো সুবিধা প্রাপ্য হইবেন না:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার বিশেষ বিবেচনায় অনুকম্পা হিসাবে এ সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী অর্থ প্রদান করিতে পারিবে।(৪) অবসর সুবিধা ভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হইলে, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, তাহার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ : ডাউনলোড
পুরাতন পোস্ট
ইভ্যালি একটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট এটি যাত্রা শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে। যাত্রা শুরুর ২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ই-কমার্সগুলোর জনপ্রিয়তার শীর্ষে তাদের অবস্থান। জনপ্রিয়তার পিছনে রয়েছে ক্যাশব্যাক অফার এবং সর্বোচ্চ ডিসকাউন্ট সুবিধা। সাধারণ গ্রহণ প্রায় অর্ধেক মূল্যে এবং ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাকে প্রডাক্ট গ্রহণ করেছে।
ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল বার বার লাইভে এসে কম মূল্যে পন্য সরবরাহের কৌশল তিনি ব্যাখ্যা করেছে, তিনি বলেছেন এই ক্যাশব্যাক কে আপনার পয়েন্ট হিসাবে গণ্য করতে পারেন, আমরা পয়েন্ট না হলে টাকা হিসাবে ট্রিট করছি। এই ক্যাশব্যাকের অর্থ আপনি আপনার পেমেন্ট ম্যাথড এ ফেরত পাবেন না, এটি আপনার ইভ্যালি একাউন্টে জমা হবে আপনি এই ক্যাশ ব্যাকের অর্থ বা পয়েন্ট যাই বলি না কেন, এটি দিয়ে যে কোন ইভ্যালি শপ থেকে পন্য কিনতে পারবেন।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্যাশব্যাকের টাকা ইভ্যালি হিসাবে জমা থাকা ক্যাশ ব্যাক দিয়ে পন্য কিনে অর্থ ক্যাশ করছিল। এ অবস্থায় ইভ্যালি সিইও ক্যাশব্যাক ব্যবহার শর্ত আরোপ করে যে, কোন রেগুলার পন্য ক্রয়ে আপনি ইভ্যালি ব্যালেন্স হতে মূল্যের ৬০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারবেন এবং অবশিষ্ট ৪০ ভাগ আপনাকে নতুন পেমেন্ট করতে হবে। নতুন পেমেন্টকৃত অর্থের উপর ২০% হারে নতুন ক্যাশব্যাক পাবেন। এটি মূলত করা হয়েছিল মার্কেটে ইভ্যালির টিকে থাকার স্বার্থে।
নতুন পেমেন্ট ম্যাথডে ইভ্যালির বেঁচে থাকার নিশ্চিয়তা হলেও গ্রাহক অসন্তোষ কিছু দেখা হয়। পরবর্তীতে অবশ্য গ্রাহকগণ ঠিকই বুঝতে পারে ইভ্যালির পলিসি। নতুন ভাবে শুরু হচ্ছিল ইভ্যালির যাত্রা। ইভ্যালি পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের ব্যবসা বানিজ্য। এমতাবস্থায় প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উঠে আসা ইভ্যালির অসঙ্গতি অনলাইন ক্রেতাদের মধ্যে একটি আতঙ্কের সৃষ্টি করে। হ্যাঁ, ইভ্যালির সিইও বার বারই লাইভে এসে তাদের সীমাবদ্ধতার কথা প্রকাশ করেছেন। গ্রাহকদের আশস্ত করেছেন তাদের ক্রমউন্নতির কথা।
আমি নিজেও ইভ্যালি থেকে কিছু পন্য ক্রয় করেছি সেগুলো পেতে কিছুটা বিলম্ব হলেও ৪০-৫০% ডিসকাউন্টে পন্য ঠিকই হাতে পেয়েছি। যেক্ষেত্রে পন্য হাতে পাইনি রিফান্ড পেয়ে গেছি। বাংলাদেশের গতানুগতিক অনলাইন ব্যবসার বিপরীতে ইভ্যালি হাটছিল বলেই আমরা খুবই কমমূল্যে পন্য পাচ্ছিলাম। ৫ শতাংশ গ্রাহক সময় মত পন্য হাতে না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া অনলাইনে ব্যাক্ত করলেও সেই গ্রাহকই পন্য হাতে পেয়ে অনলাইলে পোস্ট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এমন নজিরও পাওয়া গেছে।
আমার মনে আছে, আমি যেদিন তেজগাঁও টিভিাএস সার্ভিস সেন্টারে বাইক রিসিভ করতে যাই, সেদিন আমরা প্রায় ৫০-৬০ জন গ্রাহক ইভ্যালির বাইক রিসিভ করতে যাই। ঐ একদিনে আমার জানামতে ১০০ বাইক ডেলিভারী হয় অথচ ঐ দিন আমিসহ মাত্র দুইজন বাইকার বাইক রিসিভ করে ইভ্যালির ফেসবুক পেইজে ইভ্যালিতে ধন্যবাদ জানিতে পোস্ট করি। এই ১০০ জনের মধ্যে ০১ জনও যদি সেদিন বাইক না পেতে তবে ঐ দিন রাতে এসে সে ফেসবুকে ঝড় তুলতো এটি আমাদের দেশে রীতিনীতি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত ইভ্যালির এতো বিশাল পরিমাণ গ্রাহকের ৫% শতাংশ গ্রাহক ডেলিভারীর বিষয়ে অশন্তোষ থাকাটা আহামরি বড় ব্যাপার না একটি গ্রোয়িং অনলাইন শপিং মলের জন্য।
ইভ্যালি শুধুমাত্র প্রি-পেইড পেমেন্ট মেথড-ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং চালু রেখে ছিল, অতীতেও ক্যাশ অন ডেলিভারী অপশনটি চালু গ্রাহকের চাহিদায় ছিল।
বর্তমানে ইভ্যালি, সিইও ও চেয়ারম্যানের একাউন্ট এর লেনদেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ০১ মাসের জন্য স্থগিত করায় ইভ্যালি লেনদেন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এক্ষেত্রে ইভ্যালি Cash On Delivery Method অনুসরণ করে বিক্রি চালিয়ে যাওয়া ঘোষনা দিয়েছে তাদের ফেসবুক পেইজ এ। ক্যাশ অন ডেলিভারী পদ্ধতিতে সেলারগণ পন্য ডেলিভারীর সময় নগদ অর্থ গ্রহণ করে পন্য সরবরাহ করবেন। এক্ষেত্রে ইভ্যালি ব্যালেন্সধারী ও গিফটকার্ড হোল্ডারগণ পন্য মূল্যের ৩০% তাদের ব্যালেন্স হতে পেমেন্ট করতে পারবেন। অবশিষ্ট অংশ বা পূর্ণ মূল্যে কুরিয়ার কোম্পানীর মাধ্যমে সেলারগণ ক্রেতার নিকট হতে স্বশরীরে সংগ্রহ করবেন।
ইভ্যালির জরুরি বিজ্ঞপ্তি
- ইভ্যালি’র অগণিত সম্মানিত গ্রাহকদের জানানো যাচ্ছে যে, আগামীকাল (শুক্রবার) শুধুমাত্র ফুড এবং এক্সপ্রেস শপ বন্ধ থাকবে।
- শনিবার থেকে পারশিয়াল ব্যালেন্স এবং পারশিয়াল ক্যাশ অন ডেলিভারিতে সার্ভিস শুরু হবে।
- পেমেন্ট করা যাবে সম্পূর্ণ ক্যাশ অন ডেলিভারিতে।
- এছাড়াও একটা অর্ডারে ইভ্যালি ব্যালেন্স বা গিফট কার্ড ব্যালেন্স ইউজ করা যাবে সর্বোচ্চ ৩০%, বাকি অ্যামাউন্ট ক্যাশ অন ডেলিভারি মেথডে পেমেন্ট করা যাবে।
ব্যালেন্সধারী, কার্ড হোল্ডারগণ এবং অর্ডার করা গ্রাহকগণ যদি ইভ্যালি’র অসময়ে ধৈর্য ধারণ করতে পারে তবেই আমাদের দেশীয় ই-কমার্সটি প্রাণ ফিরে পেতে পারেন। সবাইকে ধৈর্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আগামীকাল শনিবার ২৯/০৮/২০২০ তারিখ থেকে শুধু ফুড এবং এক্সপ্রেস শপগুলো বন্ধ থাকবে। পন্য ডেলিভারীতে বিলম্বের একটি প্রধান কারণ বাল্ক আকারে বা বিপুল সংখ্যক প্রডাক্ট যেমন ১০০০ পিস বা ৫০০০ পিস এক লটে কিনলেই কেবল ডিসকাউন্টেড রেটে কেনা যায়। এক্ষেত্রে টার্গেটকৃত অর্ডার না পড়া পর্যন্ত ইভ্যালিকে অপেক্ষা করতে হয়। ফলে গ্রাহকেরও পন্য ডেলিভারী পেতে দেরী হয়ে যায়।
দেশী উদ্যোক্তাদের কথা বিবেচনা করে বানিজ্য মন্ত্রণালয় সকল প্রতিবন্ধকতা গুলো কাটিয়ে উঠার সুযোগ দিবে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষকে; বিষয়টি শুধু আমার না, অনেকেরই চাওয়া। হঠাৎ আমার কাছে এই কথা শোনে অনেকেই অবাক হচ্ছেন। অনেকেই আমাকে ভুল বুঝবেন তারপরও বলছি হাতের নখ বড় হলে আমরা হাত না কেটে নখ কেটে ছোট করি। আশা করছি ই-ভ্যালিও সুযোগ পাবে নিজেদের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ভোক্তাদের মানসম্মত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করবে এবং লেনদেনের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিবে।