এ চালান ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড ও কাউন্টারের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হয় – ভ্যাট ই-পেমেন্ট বা এ-চালান ২০২৪
এ চালান বা ই চালান কি?–বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার ফি অনলাইনে জমা দিতে চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় চালান সিস্টেম (এ-চালান পদ্ধতি)। এখন থেকে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার ফি অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে, প্রাথমিকভাবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে (পাসপোর্ট ফি, ট্যাক্স, ভ্যাট) এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ চালানে কিউআর কোড সংযোজিত থাকায় এটি যাচাই করা সহজ।
এ চালান কেন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে? অনলাইন নির্ভর আধুনিক ভ্যাট ব্যবস্থা গড়িয়া তোলার কার্যক্রম চলমান রহিয়াছে এবং যেহেতু, আধুনিক ই-পেমেন্ট বা এ-চালান পদ্ধতি ব্যবহার করিয়া ব্যবসায়ীগণ নির্বিঘ্নে দ্রুততম সময়ে রাজস্ব পরিশোধ করিতে পারিবেন এবং ইহার মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে রাজস্ব জমা নিশ্চিত হইবে। যেহেতু ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা অধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর করিবার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুসক জমা প্রদান ও জাল-জালিয়াতি রোধ নিশ্চিত করা সম্ভব।
কত লক্ষ টাকা হলে ভ্যাট আবশ্যিকভাবে এ চালানে দিতে হবে? জনস্বার্থে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৫ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২৫ এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১১৮ক এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, কোন নির্দিষ্ট কর মেয়াদে কোন প্রতিষ্ঠানের নীট প্রদেয় মূসকের পরিমাণ ১০ (দশ) লক্ষ টাকা বা তদূর্ধ্ব হইলে উক্ত ক্ষেত্রে যেই পরিমাণ মূসক ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে পরিশোধযোগ্য হয়, সেই পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর ই-পেমেন্ট বা এ-চালান এর মাধ্যমে জমা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ চালান বা অটোমেটিক চালান বা ই পেমেন্ট / কত টাকা হলে ভ্যাট ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক
উৎসে কর্তিত ভ্যাট জমাদানের সময়সীমাঃ ভ্যাট কর্তনের ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
এ চালানে ফি পরিশোধের নিয়ম ২০২৪ । যেভাবে আপনি এ চালান ব্যবহার করে পাসপোর্ট ফি বা আয়কর পরিশোধ করবে
- অনলাইনে এ চালান পেমেন্ট করার জন্য Automated Challan System Bangladesh (A Challan) সিস্টেমে ভিজিট করুন।
- পাসপোর্ট অপশন থেকে ই পাসপোর্ট ফি সিলেক্ট করুন অথবা আয়কর দিতে চাইলে এনবিআর এর জমাতে ক্লিক করুন।
- টিআইএন নম্বর, কর বর্ষ, ধরণ, রিটার্ণ দাখেলের সাথে দেয়, টাকার পরিমান ইত্যাদি তথ্য দিয়ে Ok করলেই নাম ঠিকানা অটো নিয়ে নিবে। ই পাসপোর্টের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের ধরণ, মেয়াদ ও ডেলিভারীর ধরণ বাছাই করুন। স্বয়ংক্রীয়ভাবে টাকার পরিমাণ ও ভ্যাটসহ মোট টাকার পরিমাণ দেখাবে। নিচ থেকে OK বাটন ক্লিক করুন।
- আপনি চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা জন্ম নিবন্ধন বা টিআএন যে কোন একটি সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারেন। পাসপোর্টের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির পক্ষ থেকে এ চালান পরিশোধ করা হবে, তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর সনাক্তকরণ নম্বর হিসেবে দিতে হবে।যদি জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বারা পাসপোর্টের আবেদন করা হয় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিবেন। আর যাদের বয়স ২০ বছরের কম, জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিবেন। অর্থ পরিশোধের বিবরণ থেকে পেমেন্ট অপশন – অনলাইন ব্যাংকিং বাছাই করুন । সোনালী ব্যাংক একাউন্ট, যেকোন ব্যাংকের ভিসা, মাস্টারকার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, অথবা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চাইলে ব্যাংক অপশনে SONALI BANK LTD গেটওয়ে সিলেক্ট করুন। তারপর মোট টাকার পরিমাণ লিখে Add বাটনে ক্লিক করুন। এখানে সর্বমোট প্রদেয় টাকার পরিমাণ দেখাবে।
- Now Save বাটনে ক্লিক করুন। আপনাকে সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়েতে নেয়া হবে।
- Bank Account অথবা Visa/ Master Card/ Amex Card অথবা Mobile Banking অপশন সিলেক্ট করে পেমেন্ট করুন। চালান কপি প্রিন্ট করতে না পারলে, চালান নম্বর দিয়ে এ চালান ভেরিফিকেশন ওয়েবসাইট থেকে প্রিন্ট নিতে পারবেন। ব্যাংকে গিয়ে প্রিন্টকৃত ফরম নিয়ে টাকা জমা দেয়া যাবে।
কি কি মাধ্যমে এ চালানে টাকা জমা দেওয়া যায়?
অনলাইনে এ চালান পেমেন্ট করার বেশ কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে তা হল সোনালী ব্যাংক/ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট, যেকোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড, ডিবিবিএল নেক্সাস কার্ড – DBBL Nexus Card, মোবাইল ব্যাংকিং- রকেট ও বিকাশ ইত্যাদি। এ চালান লেনদেনের সময় বর্তমানে, এ চালান লেনদেনের সময় সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে কারণ সিস্টেমটি খুবই নতুন। শীঘ্রই এটি ২৪/৭ পাওয়া যাবে তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে চেষ্টা করুন।
এ চালান- অটোমেটেড চালান সিস্টেম ২০২৩ । অনলাইনে চালান জমা ও ফরম পূরণ করার নিয়ম কি?
