১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: মনোনয়ন ফরমের জটিলতা কাটাতে ইসির স্পষ্টীকরণ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম পূরণের বেশ কিছু বিষয়ে প্রার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া অস্পষ্টতা দূর করতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসির পক্ষ থেকে এই স্পষ্টীকরণ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট সকল রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ভোট ও গণভোট
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে ‘জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’-এর ওপর দেশব্যাপী গণভোট আয়োজনেরও প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন।
মনোনয়ন ফরমের গুরুত্বপূর্ণ স্পষ্টীকরণ
প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা ও ফরমের তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইসি কয়েকটি বিশেষ বিষয় স্পষ্ট করেছে:
নির্ভরশীলদের তথ্য: প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের (স্ত্রী/স্বামী, সন্তান বা অন্য কেউ) স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘর ফাঁকা রাখা যাবে না। প্রযোজ্য না হলে সেখানে ‘প্রযোজ্য নয়’ বা ‘শূন্য’ লিখতে হবে।
আয়ের উৎস: প্রার্থীর বার্ষিক আয়ের সুনির্দিষ্ট উৎস এবং নির্ভরশীলদের আয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মামলার তথ্য: প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে চলমান বা অতীতে ছিল—এমন সকল ফৌজদারি মামলার বিবরণ নির্ভুলভাবে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি
তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের পরবর্তী ধাপগুলো হলো:
মনোনয়নপত্র জমা: ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত (বিকেল ৫টা)।
বাছাই কার্যক্রম: ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, ২০২৬।
আপিল দায়ের: ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আপিল নিষ্পত্তি: ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি।
প্রার্থিতা প্রত্যাহার: ২০ জানুয়ারি।
প্রতীক বরাদ্দ: ২১ জানুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জানিয়েছে, নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং প্রার্থীদের তথ্য সাধারণ ভোটারদের কাছে সহজবোধ্য করতেই এই স্পষ্টীকরণ জারি করা হয়েছে। কোনো তথ্যের গরমিল বা অসম্পূর্ণতা পাওয়া গেলে বাছাইয়ের সময় মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।




