সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর অষ্টম অধ্যায় কল্যাণ ও সহায়তা অনুচ্ছেদ অনুসারে শুধুমাত্র শুধুমাত্র হিন্দু কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে দত্তক পুত্র পরিবারের সদস্য হিসাবে গণ্য। এখানে হিন্দু কর্মচারীদের পালক বা দপ্তক পুত্রদের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু মুসলমান কর্মচরীদের ক্ষেত্রে সন্তান দত্তর নেয়া বিধান নেই। পালক নেওয়ার বিধান থাকলেও পিতা -মাতার নাম পূর্বের বা প্রকৃত পিতা মাতার নাম বহাল থাকবে। তাছাড়া ইসলামে দত্তক নেয়া নিষিদ্ধ।
অষ্টম অধ্যায়
কল্যাণ ও সহায়তা
২২। কল্যাণমূলক ব্যবস্থা:- (১) সরকার বা, ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মচারী ও তাহার পরিবারের সদস্যগণের কল্যাণে শিক্ষা, চিকিৎসা, আবাসন ও অনুরূপ অন্যান্য বিষয়ে কর্ম-কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘‘পরিবার” অর্থ-
(অ) কর্মচারী পুরুষ হইলে, তাহার স্ত্রী বা স্ত্রীগণ এবং কর্মচারী মহিলা হইলে, তাহার স্বামী; এবং
(আ) কর্মচারীর সহিত একত্রে বসবাসরত এবং তাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল সন্তান-সন্ততিগণ, পিতা, মাতা, দত্তক পুত্র (হিন্দু কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে), নাবালক ভাই এবং অবিবাহিতা, তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা বোন।
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি কর্মচারীগণকে অনুদান, সহায়তা, সুদমুক্ত ঋণ ও অগ্রিম প্রদান বা তাহাদের কল্যাণে স্বাস্থ্যবিমাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৩) সরকারি স্বার্থ রক্ষার্থে কোনো কর্মচারী শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, তিনি এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন।
২৩। কল্যাণ তহবিল, ভবিষ্য তহবিল, ইত্যাদি:- সরকারি কর্মচারীগণের কল্যাণমূলক ভবিষ্য তহবিল, কল্যাণ তহবিল, বিমা বা অনুরূপ অন্যান্য বিষয় আপাতত বলবৎ আইন দ্বারা নির্ধারিত হইবে।