যেসব ক্ষেত্রে মূল মঞ্জুরির পরিমাণ সংশােধিত বরাদ্দ হতে বেশি এবং ইতােমধ্যে সংশােধিত বরাদ্দের তুলনায় বেশী অর্থ ছাড় কিংবা ব্যবহার হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে সংশােধিত বরাদ্দের তুলনায় যে পরিমাণ অর্থ বেশী ছাড় কিংবা ব্যবহার হয়েছে সে পরিমাণ অর্থ অবিলম্বে সমর্পণ/সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে।
এরূপ সমর্পণ/জমাকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট পত্রাদির দু’টি প্রতিলিপি সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অবশ্যই অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ ব্যতীত কোন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর কিংবা অধঃস্তন অফিস কর্তৃক অর্থ প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত প্রেরিত পত্রাদি অর্থ বিভাগ কর্তৃক বিবেচিত হবে না।।
২০২১-২২ অর্থবছরের সংশােধিত বরাদ্দের অনুলিপি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ), বাংলাদেশ রেলওয়ে, কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকল উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব-এর নিকট প্রেরণ করা হল। সংশােধিত বরাদ্দের বিস্তারিত অর্থনৈতিক কোডভিত্তিক বিভাজন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব এবং প্রধান হিসাব রক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণের জন্য অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট যুগ্মসচিব/উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবদের অনুরােধ করা হলাে।
উল্লেখ্য, এ কৰ্তত্ব জারির পর যেসকল খাতে অর্থ বিভাগ কর্তৃক অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হবে সেসকল অতিরিক্ত বরাদ্দ এ সংশােধিত কর্তৃত্বের অংশ হিসেবে গণ্য হবে এবং পরবর্তীতে সম্পূরক/অতিরিক্ত আর্থিক বিবৃতির মাধ্যমে যথাসময়ে নিয়মিত করা হবে।
সূত্র: ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরির কর্তৃত্ব প্রদান।