চাকুরি হতে “সাময়িক বরখাস্ত হওয়া একজন সরকারী কর্মচারী ও একজন সরকারী কর্মচারী সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে যে সকল আর্থিক সহায়তা পাইয়া থাকেন তাহার বিবরণ নিয়ে প্রদত্ত হইল : (ক) সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১০-৫-১৯৮৩ তারিখের স্মারক নং ED(Reg. IV) 202/83/39 অনুযায়ী
(১) খােরাকী ভাতা পাইবেন মূল বেতনের অর্ধহারে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস, প্রথম খণ্ডের বিধি-৭১ অনুযায়ী)।
(২) সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে উত্তোলিত হারে পূর্ণ বাড়ীভাড়া ভাতা প্রাপ্য হইবেন।
(৩) সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে উত্তোলিত হারে পূর্ণ চিকিৎসা ভাতা প্রাপ্য হইবেন।
(৪) সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে উত্তোলিত মহার্ঘ ভাতার অর্ধেক প্রাপ্য হইবেন।
(৫) সাময়িক বরখাস্তের পূর্বের হারে বাড়ীভাড়া প্রদানের ভিত্তিতে সরকারী বাসভবনে বসবাস করিতে পারিবেন।
(খ) ক্ষতিপূরণ ভাতা প্রাপ্য হইবেন পূর্ণ হারে [অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২৪-৬-১৯৮০ তারিখের স্মারক নং অঃ মঃ/প্রবি-২/ভাতা-৮/৮০-১৬০ অনুযায়ী)।
(গ) সাময়িক বরখাস্তের পূর্বে আহরিত মূল বেতনের যে অংশ খােরাকী ভাতা হিসাবে প্রাপ্য সেই অংশের সমান উৎসব ভাতা প্রাপ্য হইবেন (অর্থ বিভাগের ৩০-৭১৯৮৪ তারিখের স্মারক নং অম-অবি (বা) ৪-এফ, বি-১২-৮৪ (অংশ)/১০৭ অনুযায়ী]।
(ঘ) “সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়” পরবর্তীতে কর্তব্যরত হিসাবে গণ্য করা হইলে এবং বিধি মােতাবেক বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রদান করা হইলে সেই ক্ষেত্রে বকেয়া উৎসব ভাতাও প্রাপ্য হইবে (অর্থ বিভাগের ৩০-৯-১৯৮৫ তারিখের স্মারক নং এম, এফ/এফ-ডি (বাস্তবায়ন)-৪-এফ-বি/১২/৮৪/১১৫ অনুযায়ী]।
সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় নিয়মিতকরণ পদ্ধতি
সরকারী কর্মচারী (শৃক্মখলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি-১৩(২) তে এই সম্পর্কিত বিধানে বর্ণিত আছে যে, “সাময়িক বরখাস্তকরণের পর পুনর্বহাল পংক্রান্ত বিষয় বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে।” | সাময়িক বরখাস্তের পর চাকুরীতে পুনর্বহাল সম্পর্কিত বিধান বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস্, প্রথম খণ্ডের বিধি-৭২-তে বর্ণনা করা হইয়াছে যাহা নিম্নে প্রদত্ত হইল :
বিধি-৭২। যখন কোন সরকারী কর্মচারীর সাময়িক বরখাস্ত অন্যায় হয় বা সম্পূর্ণ ন্যায়সঙ্গত না হয় অথবা যদি চাকুরীচ্যুত, অপসারিত বা সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারী চাকুরীতে পুনর্বহাল হয়, তাহা হইলে দণ্ড প্রদানকারী, আপীলেট বা পুনর্বিবেচনাকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত কর্মচারীর অনুপস্থিত কালের জন্য
(এ) সসম্মানে অব্যাহতির ক্ষেত্রে, তিনি চাকুরীচ্যুত, অপসারিত বা সাময়িক বরখাস্ত না হইলে যেরূপ পূর্ণ বেতন পাইতেন ঐরূপ পূর্ণ বেতন এবং পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ আদেশ দ্বারা চাকুরীচ্যুত, অপসারিত বা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পূর্বে প্রাপ্য ভাতাদি মঞ্জুর করিতে পারিবেন; অথবা
(বি) অন্যান্য ক্ষেত্রে দণ্ড প্রদানকারী, আপীলেট বা পুনর্বিবেচনাকারী কর্তৃপক্ষ বেতন ও ভাতাদির যে পরিমাণ অংশ নির্ধারণ করিবেন, ঐ পরিমাণ মঞ্জুর করিবেন।
(i) উপরে (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে কর্ম হইতে অনুপস্থিতি কর্মরত হিসাবে গণ্য হইবে।
(ii) উপরে (বি) অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে কর্ম হইতে অনুপস্থিতি কর্মরত হিসাবে বা ছুটি হিসাবে গণ্য করা যাইবে। কিন্তু দণ্ড প্রদানকারী, আপীলেট বা পুনর্বিবেচনাকারী কর্তৃপক্ষ ঐরূপ নির্দেশ প্রদান না করিলে তাহা কর্মরত বা ছুটি হিসাবে গণ্য করা যাইবে না।
জজকোর্টে দুদকের মামলা চলমান আছে। আবার বিভাগীয়মামলা দন্ড আরোপ করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এখন কি সাময়িক বরখাস্ত বলবৎ থাকিবে না কি পত্যাহার হয়ে গেছে।
প্রত্যাহার হবে।
জনাব এডমিন,
শুভ মেঘ-রোদ্দুর বিকেল।
মোবাইল নাম্বারে কানেক্ট হতে চাই -আমি আপনার সাথে। কেননা সরকারি চাকরির একটি বহুমাত্রিক সমস্যা ফেইস করছি।
নিম্ন নাম্বারে আমাকে কন্টাক্ট করার অনুরোধ-
০১৮৪-৬৪০০০০০০০
ভার্সেটাইল সংগীত শিল্পী, কথা সাহিত্যিক এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা, ঢাকা।
দু:খিত। অনুগ্রহ করে আপনি বিস্তারিত লিখে alaminmia.tangail@gmail.com এ মেইল করুন। আমি সাধ্যমত তথ্য সমেত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।