আইবাস++ । পে ফিক্সেশন । ই-ফাইলিং

হিসাব রক্ষণ অফিসে হার্ড কপি পাঠানো বাধ্যতামূলক কিনা?

বাংলাদেশ সরকার কাগজের ব্যবহার কমাতে অর্থাৎ অফিসকে পেপারলেস অফিস বানাতে সদা তৎপর। সেদিক বিবেচনা করে এবং হিসাবের সচ্ছ্বতা আনয়নের জন্য iBAS++ চালু করা হয়েছে। আইবাস ++ হিসাব রক্ষণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনার একটি সমন্বিত সফটওয়ার যা দ্বারা সহজেই হিসাব কার্য ও হিসাব রক্ষণ কার্য সম্পাদন সহজ হয়েছে। অপরদিকে অফিস গুলোতে ফাইল ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। 

iBAS++ বিভিন্ন হিসাব রক্ষণ অফিস ইতোমধ্যে চালু করেছে। অপরদিকে সরকার আগামী জুন/২০২০ এর মধ্যে সকল অফিসে আইবাস++ চালুর নির্দেশনা জারি করেছে। এতে করে সরকারী কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি বা যে কোন বিল দাখিল, পাস ও ক্যাশ করা আরও সহজতর হয়ে যাবে। ই-ফাইলিং ব্যবস্থা গুটি কতোগুলি দপ্তরে বর্তমানে চালু রয়েছে যার ফলে কিছু বিষয় অনলাইন হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে হার্ড কপি প্রেরণ করতে হচ্ছে।

প্রশ্ন: অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি, অনলাইনে যদি বেতন বিল সাবমিট করে তবে হার্ড কপি স্বাক্ষর করে পাঠাতে হয় কেন?

উত্তর: যেহেতু ই-ফাইলিং ব্যবস্থা আপনার দপ্তরে চালু নাই। তাই বিলে ভাউচার নম্বর ও তারিখ বসিয়ে হার্ড কপি হিসাব রক্ষণ অফিসে প্রেরণ করতে হচ্ছে। আরও একটি বিষয় রয়েছে আপনার সংশ্লিষ্ট দপ্তর বাজেট নিয়ন্ত্রণ করবে কি করে যদি আপনি আপনার বেতন ভাতার হার্ড কপি প্রেরণ না করেন। যেহেতু অনেক কিছু এখনও অফলাইন রয়ে গেছে তাই কিছু দিন বা ঐ সময় পর্যন্ত আপনাকে হার্ড কপি স্বাক্ষরযুক্ত করে প্রেরণ করতেই হবে।

প্রশ্ন: হার্ড কপি স্ক্যান করে পাঠালে সেটি কেন গ্রহণযোগ্য হয় না?

উত্তর: অতীত ঘাটলে দেখা যায়, কোন কিছুই আগে ইমেইলে প্রেরণ করলে গ্রহণ করা হতো না, মূল হার্ড কপি না আসা পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত না। ক্রমান্বয়ে সরকারি দপ্তরগুলো অনলাইন ব্যবস্থা বা ওয়েবসাইট ব্যবস্থাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলছে। আপতত ইমেইল হার্ড কপি গ্রহণযোগ্য না হলেও ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু হলে অবশ্যই স্ক্যান কপি হার্ড কপি হিসাবে গ্রহণ করা হবে। ধীরে ধীরে কিছু বিষয়ে হার্ড কপি প্রেরণ না করলেও চলবে।

প্রশ্ন: কেউ বা বলেই উঠেন যে, যদি হার্ড কপিই প্রেরণ করতে হয় তাহলে কিসের ডিজিটাল?

উত্তর: আসলে অনেক কিছুতেই এখন হয়রানি কমে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে জীবন যাপন মান উন্নয়ন হচ্ছে। একটু ধৈর্য্য ধরুন, iBAS++ পূর্নাঙ্গ ভাবে চালু হওয়ার পর এবং সকল দপ্তরে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা কার্যকর হলে আপনার মনোবাসনা পূর্ন হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে আর হার্ড কপি প্রেরণ করতে হবে না।

প্রশ্ন: অনেকেরই তো হার্ড কপি প্রেরণ ছাড়া বেতন হচ্ছে, তাহলে আমার হবে না কেন?

উত্তর: খোজ নিয়ে দেখুন, যারা হার্ড কপি প্রেরণ না করেও বেতন পাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু আছে। হিসাবরক্ষণ অফিস পূর্নাঙ্গভাবে ডিজিটাল হয়ে গেছে তাই তারা হার্ড কপি না পেলেও বিল পাস করছে।

প্রশ্ন: যারা সংযুক্তিতে বা বিদেশ প্রেষনে তারা কি হার্ড কপি ছাড়া বেতন ভাতাদি পাবে না?

উত্তর: আপাতত না পেলেও অনলাইন বিষয়বস্তু হিসাব রক্ষণ অফিসে একটি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে সেদিন আর হার্ড কপি প্রেরণ করতে হবে।

তাহলে কি, অনলাইনে বিল Submit করার পরে হিসাব রক্ষণ অফিসে হার্ড কপি পাঠানো বাধ্যতামূলক? হ্যাঁ, কোন ব্যবস্থা পূর্নাঙ্গভাবে চালু না হওয়া পর্যন্ত কিছু জটিলতা থেকেই যায়। একটি বিষয় কোন আদেশ বা পত্রের মাধ্যমে হার্ডকপি প্রেরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

আরও দেখুন: 

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *