বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি । উচ্চতর গ্রেড

২টি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হোক না হয় পদবী সংস্কার করা হোক।

অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় কর্তৃক বিভিন্ন স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে “জাতীয় পে স্কল, ২০১৫ এর বিধানমতে ০২ (দুই)টি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট প্রদানের সুযোগ নেই”। যার কারণে পে স্কেল, ২০১৫ জারি হওয়ার পূর্বে ২০১৪ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে তৎকালীন সময়ের নিয়োগপত্র ও বিধান অনুসারে প্রাপ্য অতিরিক্ত ২টি ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তির সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

দুটি ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ তে অস্পষ্টতা

জাতীয় পে স্কেল ২০০৯ এবং ২০১৫ তে একই ধরনের লাইন বা পুক্তিমালা থাকা সত্ত্বেও পে স্কেল ২০১৫ জারির পূর্ব পর্যন্ত স্বল্পবেতনভূক্ত সরকারি কর্মচারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকগণ ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালের পরিপত্র মোতাবেক দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট সুবিধা ভোগ করে আসছিল। পে স্কেল ২০১৫ জারির পরও বিভিন্ন দপ্তরে দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট পেয়ে আসছে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সকল প্রকার কম্পিউটার কাজে দক্ষতার সাথে কাজ সম্পন্ন করা এ কর্মচারীগুলো। আমার জানা মতে এখনও প্রশাসন ও হিসাব শাখাগুলো এই অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের কর্মচারীগুলোই দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ টাইপিং কাজ ও চিঠিপত্র সংক্রান্ত সকল প্রকার দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করে থাকে। জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ জারির পর ২০১৯ পর্যন্তও কিছু কিছু দপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের কর্মরতদের ২টি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং তা বহালও আছে। অনেক চাতুরতার সহিত অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত কোন পরিপত্র জারি না করে অফিস স্মারকের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরকে জানাচ্ছে যে, “জাতীয় পে স্কল, ২০১৫ এর বিধানমতে ০২ (দুই)টি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট প্রদানের সুযোগ নেই” ।

 

সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতে দপ্তরের সবাই এখন কম্পিউটার তথা টাইপিং জানেন

নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত বিসিএস কর্মকর্তা বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবাই এখন কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের কাজ করতে পারবে। সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনা ও হিসাব শাখার সবাই এখন টাইপিং কাজে দক্ষ। তাই বাদ দেওয়া হয়েছে, তুলে ফেলা হয়েছে কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের জন্য দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট সুবিধা। অথচ আমার জানা মতে একজন বিসিএস কর্মকর্তা বা সমপদে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন হিসাব সহকারী, গুদাম রক্ষন বা অন্য যে কোন পদের কম্পিউটার টাইপিংয়ের জন্য এই বঞ্চিত ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদেরই করে দিতে হয়। মুলত সবাই কম্পিউটার টাইপিংয়ের কাজে জ্ঞান থাকলেও তারা মূলত দক্ষ নয়। তাদের এ কাজে দক্ষ হতে ৩-৫ বছর সময় লেগেই যায়। অথচ কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট সুবিধা না থাকলেও লিখিত পরীক্ষার পর ব্যবহার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারপর মৌখিক পরীক্ষায় পাস করতে হয়।

গ্রেড যদি ১৬ ই থাকে তবে কাম কম্পিউার মুদ্রাক্ষরিক লেখাটি পদ থেকে মুছে দিয়ে অফিস সহকারী অংশটুকু বহাল রাখার অনুরোধ

১৬তম গ্রেডে হিসাব সহকারী, গুদাম রক্ষক বা আরও কিছু পদ রয়েছে যাদের গ্রেড ১৬ তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয় না। হিসাব সহকারী হতে যে পদগুলোতে পদোন্নতি রয়েছে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদ হতেও সেই একই পদগুলোতে পদোন্নতির বিধান রয়েছে। হিসাব সহকারীদের চাকরিতে ঢুকতে কোন ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হয় না। তবে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এই বেতন স্কেল, একই গ্রেড, কোন অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট না, তবে কেন অতিরিক্ত দক্ষতা নিয়ে এ পদে যোগদান করতে হবে? মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ রইল এ রকম ব্যবহারিক তথা দক্ষতাজনিত টাইপিং গতি টেস্ট পরীক্ষা থেকে।

যদি টাইপিং গতি পরীক্ষা নিয়োগের প্রারম্ভে দিতে হয় তবে কেন দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট হতে বঞ্চিত?

দপ্তরের সব ধরনের কাজেই যাদের অংশগ্রহণ করতে হয়, কর্তা ব্যক্তিরা যাদের ব্যক্তিগত কাজে পর্যন্ত যাদের ব্যবহার করেন। কেন তাদের এ সুবিধা হতে বঞ্চিত করা হবে? ১৬ গ্রেডে চাকরি করে অতিরিক্ত টাইপিং দক্ষতা থাকা সত্বেও কেন তাদের এ ক্ষুদ্র সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যদি সব ধরনের টাইপিং কাজ এদের দিয়ে করানোই হয় তবে দাবি রইল অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট সুবিধা বহাল রাখার।

যবনিকা: এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অফিস আদালতের সমস্ত চিঠিপত্র, হিসাব নিকাশ ও গুরুত্বপূর্ণ টাইপিং সংক্রান্ত কাজ সবাই জানলেও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকরে দ্বারস্ত হয় প্রায় সকলেই। কোন কাজের দ্রুত টাইপিংয়ের কাজ সারতে এই মুদ্রাক্ষরিকগণই সাহায্য করে থাকে। তাদের দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট বহাল রাখা হোক নতুন তাদের পদবী থেকে কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক লেখাটি তুলে দেওয়া হোক।

 

আরও দেখুন:

 

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *