বাংলাদেশের পে-স্কেলের সাথে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও কেনিয়ার পেস্কেলের সাথে একটি তুলনা করা হয়েছে। দেখানো হয়েছে তাদের পে স্কেলে যে গ্রেড ধাপ রয়েছে তার ব্যবধানের সাথে আমাদের দেশের পে স্কেলের ব্যবধানের শতকরা হার-সরকারি কর্মচারীগণ বঞ্চিত ২০২৪
বাংলাদেশের পে স্কেলে সুক্ষ্নভাবে কর্মচারীদের ঠকানো হয়েছে। সরকার যে সুবিধা প্রদান করছে তা গ্রেড অনুসারে তাই গ্রেড বৈষম্য বাংলাদেশের পে স্কেল জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বিদ্যমান ২০টি গ্রেড বাতিল করে ১০ গ্রেডে বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। সোমবার সংগঠনের তোপখানার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন পরিষদের মহাসচিব নোমানুজ্জামান আল আজাদ। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের গণকর্মচারীদের বেতন বৈষম্য সর্বোচ্চ এবং বেতন কাঠামো সর্বনিম্ন স্তরের বলেও দাবি করেন তিনি।
নেপাল | বেতন কাঠামো ২৮ হাজার টাকা দিয়ে শুরু হয়ে ৮টি গ্রেডে সর্বোচ্চ বেসিক ৭২ হাজার টাকা |
শ্রীলঙ্কা | সর্বনিম্ন স্তরে ৩৫ হাজার টাকায় শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি গ্রেডে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা |
ভারত | সর্বনিম্ন ১৮ হাজার টাকায় শুরু হয়ে ১৬টি গ্রেডে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা |
বাংলাদেশ | বেতন গ্রেড রয়েছে ২৩টি; সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকায় শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ হাজার টাকা। |
তিনি বলেন, এই বৈষম্য নিরসনে কর্মচারীদের দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতা চরম পর্যায়ের। এ অবস্থায় বিদ্যমান ২৩টি গ্রেড বাতিল করে ১০ গ্রেডে বেতন কাঠামো নির্ধারণের বিকল্প নেই। সূত্র সমকাল
বাংলাদেশের পে স্কেলে ১১-২০ তম গ্রেডে গড়ে ২-৪% ব্যবধান রাখা হয়েছে। যেখানে ভারত বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়ার পে স্কেলে সকল গ্রেডে প্রায় সমান ব্যবধান রাখা হয়েছে।
মূল বেতনের যেভাবে ঠকানো হয়েছে
অপর দিকে ১-১০তম গ্রেডে ২০-২৮% ব্যবধান রাখা হয়েছে প্রতি গ্রেড বা ধাপে। বাংলাদেশের পে স্কেলে কর্মকর্তাদের প্রধান্য দেয়া হয়েছে। অন্য দিকে ভারত বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়ার পে স্কেলে সকল গ্রেডে প্রায় সমান ব্যবধান রাখা হয়েছে।
সর্বনিম্ন কর্মচারীর বেতন ৮২৫০, কর্মকর্তার সর্বনিম্ন বেতন ২২০০০ টাকা করা হয়েছে তাতে কোন সমস্যা নেই। যদি গ্রেড ব্যবধান সমান রাখা হতো তাহলে কর্মচারীরা এই চরম বৈষম্যে পড়তো না।
বেতন বৈষম্য দূরীকরণে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি কমিটির সিদ্ধান্তগুলো কর্মচারীদের পক্ষে থাকে তবে এ সমস্যার সমাধান হতেও পারে।
মোবাইল ও টেলিফোন বিল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে
বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের বে সরকারী কর্মচারীরাও মোবাইল ভাতা পেয়ে থাকে। কিন্তু সরকারী ১১-২০ তম গ্রেডের কর্মচারীদের কোন প্রকার মোবাইল ভাতা ও টেলিফোন বিলের ন্যূনতম হার নির্ধারণ করা নাই। অথচ টুকটাক দাপ্তরিক ফোনকল কর্মচারী তথা ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদেরই সম্পন্ন করতে হয়।
অবিবেচনামূলক টিফিন ভাতা
বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারী তথা ১১-২০ তম গ্রেডের কর্মচারীদের এমন একটি টিফিন ভাতা হার নির্ধারণ করা হয়েছে যা অন্য কোন দেশে খুজে পাওয়া যায় না। ২০০ টাকা টিফিন ভাতা মাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশের বেসরকারী খাতেও খুজে পাওয়া যাবে না।
নামে মাত্র ধোলাই ভাতা নির্ধারণ
বাংলাদেশের হালনাগাদ সাজ পোষাক ভাতা যেখাতে দুই বছর অন্তর ১০-১৫০০০ টাকা করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর জুতা মোজা ছাতা রাখা হয়েছে। যেখানে অযুক্তিক মাসিক ১০০ টাকা হারে ধোলাই ভাতা ধরা হয়েছে।
যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকা যে কোন কাজে ব্যবহার করা হবে
শুধুমাত্র ১১-২০ তম গ্রেড ধারীদের জন্য মাসিক ৩০০ টাকা যাতায়ান ভাতা ধরা হয়েছে যা আবার উপজেলা লেভেল কার্যকর নয়। যেখানে সুদ মুক্ত ৩০ লক্ষ টাকা গাড়ি ঋণ সুবিধা পায় কর্মকর্তা তথা ০১-১০ তম গ্রেডের বড় বাবুরা যেখানে কর্মচারীদের মাসিক ৩০০ টাকা যাতায়াত ভাতা।
টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড না থাকায় আরও কুকরে মরছে তারা
টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড বহাল না থাকায় কর্মচারীরা ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১১-২০ তম গ্রেডে থেকেও টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড, উচ্চতর গ্রেড, ২টি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট এগুলো পেয়ে অনেক কর্মচারীর মূল বেতন ২৮-৩০ হাজার টাকায় উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। যা এখন আর সম্ভব নয়।
সূত্র: বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, কেনিয়া, পাকিস্তান
স্বাস্থ্য সহকারীগন ৩৩ – ৩৫ বছরেও একটা ে্রমোশন পায়নি। এমনও হচ্ছে চাকুরী শেষ হয়েছে কিন্তু একটা প্রমোশনো পায়নি। সারা বাংলাদেশে এধরণের হাজারো উদাহরন আছে।
হুম ঠিক বলেছেন।