১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী জাতীয় ফোরাম বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ১১-২০ গ্রেডের ১৪ লক্ষ (প্রায়) কর্মচারীদের প্রাণের দাবী চলমান বেতন বৈষম্য নিরসন সহ ৭ দফা দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচী দিয়ে আসছে- দাবী আদায়ের আমরা রাস্তায় নামতে চাই না এবং সরকারকে বিরক্ত করতে চাই না- যৌক্তিক দাবী পূরণে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি-বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল চাই ২০২৪
কেন ৫০% মহার্ঘ ভাতা চাই? সরকারি ১১-২০ গ্রেড চাকুরীজীবিরা দুই বেলা দুই মুটো ভাত খাওয়া অধিকার চায় যা বর্তমান বেতন দিয়ে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেক কর্মচারীই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে তাই দ্রুত নব পে কমিশন গঠ করে চলমান বেতন বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে নবম পে-স্কেল ঘোষনা ও বর্তমান বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী পে-স্কেল প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৫০% মহার্ঘভাতা প্রদান এবং নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন কমিটিতে ১১-২০ গ্রেড এর কর্মচারী প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
কেন উচ্চতর গ্রেড চাই না? একই পদে দশ বছর চাকুরী করার পর উচ্চতর স্কেল পেয়ে যদি কোন কর্মচারীর ১০(দশ)টাকা বেতন বাড়ে এটা কি উপহাস নয়? যারা এই নিয়ম চালু করেছেন, তারা কর্মচারীদের উপর জুলুম করেছেন। এমন দুঃখজনক বঞ্চনার অবসান চায় কর্মচারীগণ। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুন:বহাল সহ বিভিন্ন দপ্তরে বর্তমানে প্রচলিত অসংগতিপূর্ণ নিয়োগ বিধি পরিবর্তন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নীতকরণসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
কাজে আগ্রহী করতে পদোন্নতি চাই কেন? ব্লকপোস্ট প্রথা বিলুপ্ত করে সকল পদে সমহারে পদোন্নতি প্রদান, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৫ বছর এর অধীক সময় ধরে কর্মরত সকল প্রকল্প/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ করতে হবে। সকল দপ্তর অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেশনে কর্মরত কর্মচারীদের সচিবালয়ের ন্যায় পদ পদবী ও গ্রেড প্রদান করতে হবে।
একটা সিঙ্গারা এখন দাম ১০ টাকা । সেখানে সরকারি কর্মচারীদের দৈনিক টিফিন ৬ টাকা
মাসিক টিফিন ভাতা ২০০ টাকা এটি কেন পুন:নির্ধারণ করা হয়নি তা বোঝা খুবই সহজ যে, এটি কেবল মাত্র সরকারি কর্মচারীগণ পায় বরং কর্মকর্তারা নয়।
সরকারি কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনে দাবী ২০২৪ । ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের দাবী সমূহ
- পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করত হবে।
- ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
- সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।
- টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধঃস্তন আদালতের কর্মচারিদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
- আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর বেতন স্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
- বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
১ টাকার বিপরীতে কেন ৫০০ টাকা করা দরকার?
২০১৫ সালে ১ টাকার পরিবর্তে ২৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এখন ২০২৪ সালেও ১ টাকার পরিবর্তন ২৩০ টাকা বলবৎ রয়েছে। ১০ বছরে টাকা ন্যূনতম দ্বিগুন হয় এবং টাকার মান অর্ধেক হয়। তাই ১ টাকার পরিবর্তে ন্যূনতম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। সকল ভাতা বর্তমান বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুন:নির্ধারণ সহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত সকলকে ঝুকিঁভাতা প্রদান, টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত সকলকে টেকনিক্যাল স্কেল প্রদান, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম ভাতা প্রদানসহ ১০০% পেনশণ সমর্পণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রচলিত প্রহসনের ৫০ টাকা রেশনভাতা বাতিল করে ১১-২০ গ্রেডের সকল কর্মচারীদের বর্তমান বাজার ব্যবস্থা অনুযায়ী রেশন প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
তথ্য সূত্র: ফেসবুক পোস্ট
৯ম পে স্কেলসহ ০৭ দফা দাবি ২০২৪ । সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯ম পে স্কেল কেন জরুরি?