পে-স্কেলের দাবিতে উত্তাল কর্মচারী সমাজ ২০২৫ । পথে পথে ১১-২০ গ্রেডের ‘সহযোদ্ধারা’, আজ লাখো মানুষের সমাবেশ?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের এক দফা দাবিতে আজ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক বিশাল মহাসমাবেশ। সরকারি ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের এই ঐতিহাসিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। রাতভর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
🌙 গভীর রাতেও থামেনি প্রস্তুতি
কর্মচারী সমাজের মধ্যে বর্তমানে বিরাজ করছে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা ও গভীর প্রত্যাশা। চট্টগ্রাম থেকে ১১-২০ ফোরামের “সহযোদ্ধারা” ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। অন্যদিকে, মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে অবস্থান করছেন ১১-২০ গ্রেডের প্রিয়জনেরা, যারা দুপুরের দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে রাজধানী পৌঁছাবেন।
এ প্রসঙ্গে একজন কর্মচারী গভীর রাতে আবেগঘন মন্তব্য করে বলেন, “রাত জেগে ভাবছি আমাদের মতো কর্মচারীদের কষ্ট কবে লাঘব হবে। হে আল্লাহ, এই গভীর রজনীতে প্রার্থনা, তুমি আমাদের পে-স্কেলকে কবুল করে নাও (আমিন)।” রাত ১টা বাজলেও কর্মচারীরা ক্লান্তিহীনভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মহাসমাবেশ সফল করার জন্য।
🤝 সংহতি প্রকাশ: “আমরা দাস, তাই রাস্তায় নামতে পারছি না”
সমাবেশে অংশ নিতে না পারা কর্মচারী এবং বিভিন্ন “বাহিনীতে কর্মরত সৈনিকদের” পক্ষ থেকে জোরালো সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা বলছেন, “আমরা যদিও আপনাদের সমাবেশে আসতে পারছি না, কিন্তু দোয়া ও ভালোবাসা সব সময় থাকবে আপনাদের প্রতি। আমরা আপনাদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা করব।”
তবে তাদের এই অপারগতার পেছনের কারণটিও স্পষ্ট করেছেন তারা। কর্মরত একজন সৈনিক বলেন, “আমরা আন্দোলন করলে হবে বিদ্রোহ, তাই রাস্তায় নামতে পারছি না। আমরা দাস হিসেবে আছি বাহিনীতে কর্মরত।” এই মন্তব্যটি কর্মরত কর্মচারীদের পেশাগত সীমাবদ্ধতা এবং একই সাথে পে-স্কেলের দাবির প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থনকে তুলে ধরে।
🏛️ সরকারের প্রতি প্রত্যাশা
কর্মচারী সমাজ আশা প্রকাশ করছে যে সরকার তাদের দীর্ঘদিনের এই ন্যায্য দাবিটি বিবেচনা করবেন। আন্দোলনের মূল বার্তা হলো— নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তায় থাকবেন।
আগামীকালকের এই মহাসমাবেশে প্রায় লক্ষাধিক কর্মচারী অংশ নিবেন বলে আয়োজকরা প্রত্যাশা করছেন। সকলের দৃষ্টি এখন এই সমাবেশের দিকে, যা বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।
এবার লাখ লাখ কর্মচারীগণ জমায়েত হবে কি?
হ্যাঁ, কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েক লাখ কর্মচারী এই মহাসমাবেশে উপস্থিত হবেন বলে দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আপনার তথ্যের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে যা জানা যাচ্ছে:
সংগঠনের ঘোষণা: ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ’-এর মতো আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতারা দাবি করেছেন যে সারাদেশ থেকে কয়েক লাখ কর্মচারী এই সমাবেশে যোগ দেবেন এবং পুরো ঢাকা শহর সরকারি কর্মচারীদ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে।
ব্যাপক প্রস্তুতি: আপনার দেওয়া তথ্যেও দেখা যাচ্ছে যে চট্টগ্রাম এবং ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা ট্রেনের মতো গণপরিবহন ব্যবহার করে ইতোমধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত এই প্রস্তুতি চলছে।
দাবির তীব্রতা: এটি নবম পে-স্কেলের গেজেট জারির এক দফা দাবি, যা কর্মচারীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও তীব্র ক্ষোভের ফসল। এই এক দফা দাবি আদায়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় জনসমাগম প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অতএব, আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী, এই মহাসমাবেশে লক্ষাধিক কর্মচারী জমায়েত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্মচারী ও সরকারি ফোরামগুলোর আন্দোলন সাধারণত নির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক স্লোগান ব্যবহার করে। এবারের নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের এক দফা দাবি নিয়ে যে মহাসমাবেশ হচ্ছে, তার প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হতে পারে এমন কিছু সম্ভাব্য স্লোগান নিচে তুলে ধরা হলো।
এই স্লোগানগুলো কর্মচারীদের মূল দাবি, তাদের গ্রেডভিত্তিক অবস্থান, এবং সরকারের প্রতি তাদের প্রত্যাশা প্রতিফলিত করে:
📢 মূল দাবি ও লক্ষ্যভিত্তিক স্লোগান
নবম পে-স্কেল, করতে হবে দিতে হবে! (বাস্তবায়নের মূল দাবি)
১১ থেকে ২০ গ্রেড, বৈষম্য আর নয়! (গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য নিরসনের দাবি)
বৈষম্যের প্রাচীর ভাঙো, নবম পে-স্কেল দাও!
পে-স্কেলের গেজেট চাই, গেজেট চাই!
আমাদের দাবি একটাই, নবম পে-স্কেল চাই!
🤝 ঐক্যের বার্তা ও সংহতিমূলক স্লোগান
১১-২০ ফোরাম, এক হও, এক হও!
কর্মচারী-শ্রমিক ভাই ভাই, পে-স্কেল আমরা সবাই চাই!
দাবি মোদের ন্যায্য, আমরা সবাই সরব!
আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ, পূরণ করো আমাদের দাবি! (আপনার বক্তব্যে উল্লেখিত প্রার্থনার প্রেক্ষাপটে)
⚠️ দৃঢ়তা ও সতর্কতামূলক স্লোগান
দাবি মোরা ছাড়বো না, রাস্তা থেকে সরবো না! (আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার)
পে-স্কেল না হলে, ঘরে আমরা ফিরব না!
পে-স্কেল নিয়ে টালবাহানা, মানবে না এই জনতা!
🚀 আবেগ ও রওয়ানার স্লোগান (আপনার তথ্য অনুযায়ী)
চট্টগ্রাম-ঈশ্বরদী রওয়ানা, পে-স্কেল এনে তবেই ফেরা!
সকল বাহিনীর সংহতি, আমাদের জয়ের শক্তি! (সহযোগিতা প্রদানকারী সৈনিকদের উদ্দেশ্য করে)
এই স্লোগানগুলো মহাসমাবেশের মূল সুর হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।


