বৈষম্য । দাবীর খতিয়ান । পুন:বিবেচনা

সশস্ত্র বাহিনীর বেতন কাঠামো কমিটি ২০২৫ । সেনাবাহিনীর বেতন কাঠামো কি সিভিল থেকে আলাদা হয়?

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য একটি আলাদা বেতন কাঠামো কমিটি গঠন করেছে সরকার। সরকারি সূত্রে জানা যায়, জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের বেতন-ভাতা ও ভিন্ন ভিন্ন ভাতা সুবিধা নির্ধারণে এ কমিটি কাজ করবে। – সশস্ত্র বাহিনীর বেতন কাঠামো কমিটি ২০২৫

সশস্ত্রী বাহিনীর জন্য কি নতুন কমিটি হয়েছে? হ্যাঁ। বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বেতন কাঠামোর আলোকে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আলাদাভাবে নতুন প্রস্তাব তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ বাহিনীর কর্মপরিবেশ, ঝুঁকি, শৃঙ্খলা এবং বিশেষ দায়িত্ব পালনের কারণে তাদের ভাতা ও আর্থিক সুবিধা ভিন্নভাবে নির্ধারণ করার প্রয়োজন হয়।কমিটি সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণ করে একটি প্রস্তাবিত কাঠামো তৈরি করবে। এতে বেতন স্কেলের পাশাপাশি রেশন, ঝুঁকি ভাতা, অপারেশন ভাতা, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

কমিটির মূল দায়িত্ব কি থাকবে?  সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উপযুক্ত বেতন স্কেল নির্ধারণ করবে। জাতীয় বেতন কাঠামোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিশেষ ভাতা নির্ধারণ করবে।  বাহিনীর বিভিন্ন পদমর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন আর্থিক সুবিধা প্রস্তাব করবে। অবসরোত্তর সুবিধা ও কল্যাণমূলক তহবিল পুনঃবিন্যাস করবে। এই কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি, আর্থিক নিরাপত্তা এবং কর্মদক্ষতা আরও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জাতীয় বেতন কাঠামোর সঙ্গে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।

সেনা বাহিনীর বেতন কাঠামো কি আলাদা? হ্যাঁ।  সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো কমিটি গঠন করেছে সরকার। জাতীয় বেতন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও হালনাগাদ করার লক্ষ্যেই এ কমিটি কাজ করবে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বাহিনীর কর্মপরিবেশ, ঝুঁকি, শৃঙ্খলা ও বিশেষ দায়িত্ব পালনের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হবে। এ জন্য কমিটি সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশমালা তৈরি করবে।

সশন্ত্র বাহিনীর বেতন কমিটি ২০২৫ / বেতন কাঠামো নিয়ে নতুন প্রস্তাবনার বিষয়ে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি

সেনা বাহিনীর বেতন কাঠামো কি সিভিল হতে আলাদা? হ্যাঁ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি, আর্থিক নিরাপত্তা ও কর্মদক্ষতা আরও উন্নত হবে। একই সঙ্গে জাতীয় বেতন কাঠামোর সঙ্গে একটি সমন্বিত আর্থিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

Caption: ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি ২০২৫

সেনাবাহিনী এবং সিভিল (বেসামরিক) কর্মচারীদের বেতন কাঠামো আলাদা। যদিও উভয়ই সরকারি বেতন স্কেল অনুসরণ করে, সামরিক বাহিনীর জন্য কিছু বিশেষ সুবিধা এবং ভাতা যুক্ত থাকে, যা বেসামরিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। সামরিক ও বেসামরিক বেতন কাঠামোর মূল পার্থক্যগুলো হলো:

  1. ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা: সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বিশেষ ভাতা এবং সুবিধা থাকে।
  2. ঝুঁকি ভাতা (Hazardous Duty Pay): যুদ্ধের ঝুঁকি বা বিশেষ বিপজ্জনক দায়িত্বের জন্য এই ভাতা দেওয়া হয়।
  3. কমান্ড/অ্যাপয়েন্টমেন্ট ভাতা (Command/Appointment Pay): পদাধিকার অনুযায়ী বিশেষ দায়িত্বের জন্য এই ভাতা প্রদান করা হয়।
  4. বিশেষ দক্ষতা ভাতা (Special Skill Pay): বিশেষ দক্ষতা বা প্রশিক্ষণের জন্য এই ভাতা দেওয়া হয়, যেমন – প্যারাট্রুপার বা কমান্ডোদের জন্য।
  5. আবাসন ও রেশন সুবিধা: সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সাধারণত আবাসন এবং রেশন সুবিধা দেওয়া হয়, যা বেসামরিক কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নিয়মে প্রযোজ্য হতে পারে।
  6. গ্রেড ও পদমর্যাদা: যদিও উভয় ক্ষেত্রেই পদমর্যাদার ভিত্তিতে গ্রেড নির্ধারিত হয়, সামরিক বাহিনীর পদবি (যেমন- লেফটেন্যান্ট, ক্যাপ্টেন, মেজর) বেসামরিক পদবি (যেমন- সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্মসচিব) থেকে ভিন্ন এবং এদের মধ্যে সরাসরি তুলনা করা কঠিন। তবে, কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদবিকে নির্দিষ্ট গ্রেডের সমতুল্য ধরা হয়।
  7. পদোন্নতি ও সময়সীমা: সামরিক বাহিনীতে পদোন্নতির প্রক্রিয়া ও সময়সীমা বেসামরিক চাকরি থেকে ভিন্ন হতে পারে। সামরিক পেশায় পদোন্নতি সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের ওপর নির্ভর করে।
  8. পেনশন ও অবসর সুবিধা: সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য অবসর গ্রহণের বয়স এবং পেনশন সুবিধা বেসামরিক কর্মচারীদের তুলনায় ভিন্ন হতে পারে, যা তাদের চাকরির কঠোর প্রকৃতি এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
  9. সংক্ষেপে, সামরিক বাহিনীর বেতন কাঠামো শুধু মূল বেতন নিয়ে গঠিত নয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন ধরনের ভাতা, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুবিধা, যা বেসামরিক পেশার সঙ্গে তুলনা করলে সামরিক পেশাকে সামগ্রিকভাবে আরও বেশি লাভজনক করে তোলে।

সৈনিক পদে বর্তমান বেতন কত?

একজন নবনিযুক্ত সৈনিকের মূল বেতন সাধারণত মাসিক ৮,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে থাকে। এর সাথে বিভিন্ন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা যুক্ত হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে একজন রিক্রুটের (নবনিযুক্ত সৈনিক) মূল বেতন নির্দিষ্ট থাকে, যা সাধারণত প্রায় ৯,০০০ টাকা। প্রশিক্ষণ শেষে এবং চাকরির পদোন্নতির সাথে সাথে এই বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি পায়। বেতনের পাশাপাশি একজন সৈনিক আরও যেসকল সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেগুলো হলো:

বাড়ি ভাড়া ভাতা: অবিবাহিতদের জন্য মূল বেতনের ২০% এবং বিবাহিতদের জন্য মূল বেতনের ৪৫%।

চিকিৎসা ভাতা: মাসিক ১৫০০ টাকা।

প্রতিরক্ষা ভাতা: মাসিক ১৫০০ টাকা (৫ বছর পরপর ও পদোন্নতিতে বৃদ্ধি পায়)।

যাতায়াত ভাতা: মাসিক ৩০০০ টাকা।

রেশন ও আবাসন সুবিধা: বিনামূল্যে বা ভর্তুকি মূল্যে রেশন ও আবাসন সুবিধা প্রদান করা হয়। এই সুবিধাগুলো একজন সৈনিকের মোট আয়কে মূল বেতনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।

 

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

7 thoughts on “সশস্ত্র বাহিনীর বেতন কাঠামো কমিটি ২০২৫ । সেনাবাহিনীর বেতন কাঠামো কি সিভিল থেকে আলাদা হয়?

  • সশস্ত্রবাহিনীর বেতন কাঠামো খুব সুন্দর হয়েছে।।

  • ভাই যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকা ৩০০০ টাকা না আরো অনেক ভুল আছে

  • কি কি ভুল। অনুগ্রহ করে বলবেন কি?

  • যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকা হবে। যেটা লিখেছেন সেটা সৈনিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নহে।

  • যাতায়াত বাবদ কত টাকা পায়?

  • ভাই আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত নৌ সদস্য। ২০২৫ এর জুলাই আমি অবশ্য গ্রহণ করেছি দীর্ঘ 12 বছর চাকুরী করে। বর্তমানে আমি এলপিআর এ আছি। এক্ষেত্রে কি এবারের নতুন পে স্কেলের আওতায় অবসরপ্রাপ্ত অন্যান্য সদস্যরা কি কোন সুবিধা বা ভাতা পাবে কি? যদি একটু জানাতেন খুব উপকার হত!

  • অবশ্যই পাবে। কর্মরতরা নতুন পে স্কেল পেলে অবসর প্রাপ্তগণও তেমন হারে সুযোগ সুবিধা পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *